يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُوْلَ فَقَدِّمُوْا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوٰىكُمْ صَدَقَةً ۗذٰلِكَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَاَطْهَرُۗ فَاِنْ لَّمْ تَجِدُوْا فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ( المجادلة: ١٢ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন রসূলের সঙ্গে গোপনে কথা বল, তখন গোপনে কথা বলার আগে সদাক্বাহ দাও, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম ও অতি পবিত্র পন্থা। আর যদি সদাক্বাহ জোগাড় করতে না পার, তাহলে আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
English Sahih:
O you who have believed, when you [wish to] privately consult the Messenger, present before your consultation a charity. That is better for you and purer. But if you find not [the means] – then indeed, Allah is Forgiving and Merciful.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা রসূলের সাথে চুপিচুপি কথা বলতে চাইলে তার পূর্বে কিছু সাদকা প্রদান কর।[১] এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় ও পবিত্রতর;[২] যদি তাতে অক্ষম হও, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
[১] প্রত্যেক মুসলিম নবী (সাঃ)-এর সাথে নির্জনে কথা বলার আশা রাখত। এতে রসূল (সাঃ)-এর বেশ কষ্ট হত। কেউ কেউ বলেন, মুনাফিকবরা খামখা নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে চুপিচুপি কথোপকথনে ব্যস্ত থাকত; যাতে মুসলিমরা কষ্ট অনুভব করতেন। এই জন্য মহান আল্লাহ এই নির্দেশ অবতীর্ণ করলেন। যাতে নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে চুপিচুপি কথা বলার প্রবণতা শেষ হয়ে যায়।
[২] শ্রেয় ও উত্তম এই জন্য যে, সাদকায় তোমাদেরই অন্যান্য গরীব মুসলিম ভাইদের উপকার হয়। আর পবিত্রতর এই জন্য যে, এটা হল এক সৎকর্ম এবং আল্লাহর আনুগত্য, যার দ্বারা মানুষের আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। এ থেকে এটাও জানা গেল যে, এ নির্দেশ ছিল 'মুস্তাহাব' (যা করা ভাল, না করলে কোন দোষ হয় না)এর পর্যায়ভুক্ত, ওয়াজেব ছিল না।