ثَمٰنِيَةَ اَزْوَاجٍۚ مِنَ الضَّأْنِ اثْنَيْنِ وَمِنَ الْمَعْزِ اثْنَيْنِۗ قُلْ ءٰۤالذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ اَمِ الْاُنْثَيَيْنِ اَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ اَرْحَامُ الْاُنْثَيَيْنِۗ نَبِّئُوْنِيْ بِعِلْمٍ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ( الأنعام: ١٤٣ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
(নর-মাদী চার) জোড়ায় আট প্রকার, মেষের দু’টি, ছাগলের দু’টি। বল, তিনি কি নর দু’টি হারাম করেছেন, না মাদী দু’টি কিংবা মাদী দু’টির গর্ভে যা আছে তা? এ সম্পর্কিত জ্ঞানের ভিত্তিতে জবাব দাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।
English Sahih:
[They are] eight mates – of the sheep, two and of the goats, two. Say, "Is it the two males He has forbidden or the two females or that which the wombs of the two females contain? Inform me with knowledge, if you should be truthful."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(তিনি সৃষ্টি করেছেন) আট প্রকার[১] পশুঃ মেষ হতে দু’টি ও ছাগল হতে দু’টি।[২] বল, নর দু’টি কিংবা মাদি দু’টিই কি তিনি নিষিদ্ধ করেছেন অথবা মাদি দু’টির গর্ভে যা আছে তা? [৩] যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে প্রমাণসহ আমাকে জানাও। [৪]
[১] অর্থাৎ, أَنْشأَ ثَمَانِيَةَ أَزْوَاجِ (সেই আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন আটটি নর ও মাদী)। أَزْوَاجٌ হল زَوْجٌ-এর বহুবচন। একই জাতের নর ও মাদীকে زوج (জোড়া, যুগল) বলা হয় এবং এই উভয়ের এক একটিকেও زوج বলা হয়। কেননা, প্রত্যেকে অপরের জন্য জোড়া। কুরআনের এই স্থানে أزواج (জোড়া-জোড়া) أفراد (এক একটি প্রকার) অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, আট প্রকার জন্তু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। যারা আপোসে পরস্পরের জোড়া। এখানে 'আট জোড়া সৃষ্টি করেছি' অর্থে ব্যবহার হয়নি। কেননা, এই অর্থে আটের পরিবর্তে ১৬ হয়ে যাবে, যা আয়াতের পরবর্তী অংশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
[২] এটা হল, ثَمَانِيَةَ এর বদল (পূর্বের বিশেষ্যের ব্যাখ্যাকারী)। আর দু'প্রকার বলতে, নর ও মাদী। অর্থাৎ, ভেড়া থেকে নর ও মাদী এবং ছাগল থেকেও নর ও মাদী সৃষ্টি করেছেন। (দুম্বা ভেড়ার মধ্যেই শামিল।)
[৩] মুশরিকরা যে নিজের পক্ষ থেকেই কোন কোন পশুকে হারাম করে নিত, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ জিজ্ঞাসা করছেন যে, আল্লাহ তাআলা কি ঐ পশুগুলোর নর অথবা মাদী কিংবা সেই বাচ্চাকে হারাম করেছেন, যা মাদীর পেটে থাকে? অর্থ হল, আল্লাহ কোন কিছুই হারাম করেননি।
[৪] তোমাদের কাছে হারাম সাব্যস্ত করার কোন সুনিশ্চিত দলীল থাকলে নিয়ে এসে দেখাও যে, بَحِيْرَةٍ، سَآئِبَةٍ، وَصِيْلَةٍ এবং حَامٍ ইত্যাদি এই সুনিশ্চিত দলীলের ভিত্তিতে হারাম।