Skip to main content

قَدْ فَرَضَ اللّٰهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ اَيْمَانِكُمْۚ وَاللّٰهُ مَوْلٰىكُمْۚ وَهُوَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ   ( التحريم: ٢ )

Indeed
قَدْ
নিশ্চয়
has ordained
فَرَضَ
নির্দিষ্ট করেছেন
Allah
ٱللَّهُ
আল্লাহ
for you
لَكُمْ
তোমাদের জন্যে
(the) dissolution
تَحِلَّةَ
মুক্তির ব্যবস্থা
(of) your oaths
أَيْمَٰنِكُمْۚ
তোমাদের শপথগুলোর
And Allah
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
(is) your Protector
مَوْلَىٰكُمْۖ
তোমাদের মনিব
and He
وَهُوَ
এবং তিনিই
(is) the All-Knower
ٱلْعَلِيمُ
সর্বজ্ঞ
the All-Wise
ٱلْحَكِيمُ
প্রজ্ঞাময়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ তোমাদের জন্য নিজেদের কসমের বাধ্যবাধকতা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ তোমাদের মালিক-মনিব-রক্ষক, আর তিনি সর্বজ্ঞাতা, মহা প্রজ্ঞার অধিকারী।

English Sahih:

Allah has already ordained for you [Muslims] the dissolution of your oaths. And Allah is your protector, and He is the Knowing, the Wise.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে অব্যাহতি লাভের ব্যবস্থা করেছেন,[১] আল্লাহ তোমাদের সহায় এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

[১] অর্থাৎ, কাফফারা আদায় করে সেই কাজ করার অনুমতি দিলেন, যে কাজ না করার জন্য তিনি কসম খেয়েছিলেন। কসমের এই কাফফারা সূরা মায়েদা ৫;৮৯ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। তাই নবী (সাঃ)ও কাফফারা আদায় করলেন। (ফাতহুল ক্বাদীর) এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে যে, কেউ যদি কোন জিনিসকে নিজের উপর হারাম করে নেয়, তাহলে তার বিধান কি? কোন কোন উলামার নিকট স্ত্রী ছাড়া কোন জিনিসকে হারাম করে নিলে, না সে জিনিস হারাম হবে, আর না তার কাফফারা আদায় করতে হবে। (কিন্তু আলোচ্য আয়াত তাঁদের বিপক্ষে দলীল। যেহেতু এখানে মধু হারাম করার পর কাফফারা আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।) পক্ষান্তরে যদি স্ত্রীকে নিজের উপর হারাম করে নেয় এবং এতে যদি তার উদ্দেশ্য তালাক হয়, তাহলে তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তবে সঠিক উক্তি অনুযায়ী এটা কসম হবে এবং কসমের কাফফারা আদায় করা তার উপর জরুরী হবে। (আইসারুত তাফাসীর)