عَسٰى رَبُّهٗٓ اِنْ طَلَّقَكُنَّ اَنْ يُّبْدِلَهٗٓ اَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمٰتٍ مُّؤْمِنٰتٍ قٰنِتٰتٍ تٰۤىِٕبٰتٍ عٰبِدٰتٍ سٰۤىِٕحٰتٍ ثَيِّبٰتٍ وَّاَبْكَارًا ( التحريم: ٥ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
নবী যদি তোমাদের সবাইকে তালাক দিয়ে দেয় তবে সম্ভবতঃ তার প্রতিপালক তোমাদের পরিবর্তে তাকে দিবেন তোমাদের চেয়ে উত্তম স্ত্রী- যারা হবে আত্মসমপর্ণকারিণী মু’মিনা অনুগতা, তাওবাহকারিণী, ‘ইবাদাতকারিণী, রোযা পালনকারিণী, অকুমারী ও কুমারী।
English Sahih:
Perhaps his Lord, if he divorced you [all], would substitute for him wives better than you – submitting [to Allah], believing, devoutly obedient, repentant, worshipping, and traveling – [ones] previously married and virgins.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যদি সে (নবী) তোমাদেরকে পরিত্যাগ করে, তবে তার প্রতিপালক সম্ভবতঃ তাকে দেবেন তোমাদের অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্ত্রী;[১] যারা হবে আত্মসমর্পণকারিণী, বিশ্বাসিনী, আনুগত্যশীলা, তওবাকারিণী, উপাসনাকারিণী, রোযা পালনকারিণী, অকুমারী এবং কুমারী। [২]
[১] এটা সতর্কতাস্বরূপ নবী (সাঃ)-এর পবিত্রা স্ত্রীদেরকে বলা হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ তাঁর নবীকে তোমাদের চেয়েও উত্তম স্ত্রী দান করতে পারেন।
[২] ثَيِّبَاتٍ শব্দটি হল, ثَيِّبٌ এর বহুবচন। (অর্থ হল ফিরে আসা) অকুমারী পতিহীনা মহিলাকে ثَيِّبٌ এই জন্য বলা হয় যে, সে স্বামী থেকে ফিরে আসে এবং ঐরূপ স্বামীহীনা হয়ে যায়, যেমন সে বিবাহের পূর্বে ছিল। أَبْكَارٌ হল بِكْرٌ এর বহুবচন। অর্থ হল কুমারী মেয়ে। তাকে কুমারী এই জন্য বলা হয় যে, সে এখন পর্যন্ত সেই অবস্থাতেই থাকে, যার উপর তার সৃষ্টি হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর) কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, ثَيِّبٌ বলতে আসিয়াহ (ফিরআউনের স্ত্রী)-কে এবং بِكْرٌ বলতে মারয়্যাম (ঈসা (আঃ)-এর মা)-কে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, জান্নাতে এই উভয় মহিলাকে নবী (সাঃ)-এর স্ত্রী বানিয়ে দেওয়া হবে। এরূপ হতে পারে। কিন্তু এই বর্ণনাগুলোর ভিত্তিতে এ রকম ধারণা পোষণ করা অথবা বর্ণনা করা ঠিক নয়। কেননা, সনদের দিক দিয়ে এই বর্ণনাগুলো নির্ভরযোগ্য নয়।