Skip to main content

وَاِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً قَالُوْا وَجَدْنَا عَلَيْهَآ اٰبَاۤءَنَا وَاللّٰهُ اَمَرَنَا بِهَاۗ قُلْ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاۤءِۗ اَتَقُوْلُوْنَ عَلَى اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ   ( الأعراف: ٢٨ )

wa-idhā
وَإِذَا
And when
এবং যখন
faʿalū
فَعَلُوا۟
they do
তারা করে
fāḥishatan
فَٰحِشَةً
immorality
অশ্লীল কাজ
qālū
قَالُوا۟
they say
তারা বলে
wajadnā
وَجَدْنَا
"We found
আমরা পেয়েছি
ʿalayhā
عَلَيْهَآ
on it
এসবের উপর
ābāanā
ءَابَآءَنَا
our forefathers
আমাদের বাপ-দাদাদেরকে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
and Allah
এবং আল্লাহ
amaranā
أَمَرَنَا
(has) ordered us
আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন
bihā
بِهَاۗ
of it"
এর সম্পর্কে
qul
قُلْ
Say
তুমি বলো
inna
إِنَّ
"Indeed
"নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
لَا
(does) not
না
yamuru
يَأْمُرُ
order
নির্দেশ দেন
bil-faḥshāi
بِٱلْفَحْشَآءِۖ
immorality
অশ্লীলতার ব্যাপারে
ataqūlūna
أَتَقُولُونَ
Do you say
তোমরা কি বলছো
ʿalā
عَلَى
about
সম্পর্কে
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহর
مَا
what
যা
لَا
not?"
না"
taʿlamūna
تَعْلَمُونَ
you know?"
তোমরা জানো"

Wa izaa fa'aloo faahishatan qaaloo wajadnaa 'alaihaaa aabaaa'ana wallaahu amaranaa bihaa; qul innal laaha laa yaamuru bilfahshaaa'i a-taqooloona 'alal laahi mmaa laa ta'lamoon (al-ʾAʿrāf ৭:২৮)

English Sahih:

And when they commit an immorality, they say, "We found our fathers doing it, and Allah has ordered us to do it." Say, "Indeed, Allah does not order immorality. Do you say about Allah that which you do not know?" (Al-A'raf [7] : 28)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যখন কোন অশ্লীল কাজ করে তখন তারা বলে- ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এ কাজই করতে দেখেছি, আর আল্লাহ আমাদেরকে এসব কাজ করার আদেশ দিয়েছেন।’ বল, ‘আল্লাহ অশ্লীলতার নির্দেশ দেন না, আল্লাহর সম্বন্ধে তোমরা কি এমন কথা বলছ যা তোমরা জান না?’ (আল আ'রাফ [৭] : ২৮)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যখন তারা কোন অশ্লীল আচরণ করে, তখন বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষগণকে এটা করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।’ বল, ‘আল্লাহ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ, যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই?’ [১]

[১] ইসলামের পূর্বে মুশরিকরা উলঙ্গ অবস্থায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করত এবং বলত যে, আমরা সেই সময়ের অবস্থাকে অবলম্বন করে তাওয়াফ করি, যে অবস্থায় আমাদের মায়েরা আমাদেরকে প্রসব করেছিল। কেউ কেউ বলেছেন, তারা এর (উলঙ্গ অবস্থায় তাওয়াফ করার) ব্যাখ্যা এই করত যে, আমরা যে পোশাক পরে থাকি তাতে আমরা আল্লাহর অবাধ্যতার কাজ অনেক করি। অতএব, এই পোশাকে তাওয়াফ করা উচিত নয়। তাই পোশাক খুলে তাওয়াফ করত এবং মহিলারাও উলঙ্গ তাওয়াফ করত। কেবল নিজেদের লজ্জাস্থানের উপর কাপড়ের অথবা চামড়ার কোন টুকরা রেখে নিত। নিজেদের এই লজ্জাকর কাজের জন্য আরো দু'টি ওজুহাত তারা পেশ করত। একটি হল, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এইভাবে করতে দেখেছি। আর দ্বিতীয়টি হল, আল্লাহই আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের কথা খন্ডন করে বলেন, এটা কিভাবে সম্ভব যে, তিনি নির্লজ্জতার নির্দেশ দেবেন? অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর উপর এমন কথা চাপিয়ে দিচ্ছ, যা তিনি বলেননি। এই আয়াতে সেই অন্ধ অনুকরণকারীদেরকে কঠোরভাবে তিরস্কার করা হয়েছে, যারা বাপ-দাদা ও পীর-বুযুর্গদের অন্ধ অনুকরণ এবং ব্যক্তিপূজায় ডুবে রয়েছে। তাদেরকেও যখন হক কথা শুনানো হয়, তখন তারাও এই ওজুহাত পেশ করে বলে যে, আমাদের বুযর্গরা এইভাবেই করেছেন অথবা আমাদের ইমাম, পীর বা শায়খের এটাই নির্দেশ। আর এটাই হল এমন অভ্যাস, যার কারণে ইয়াহুদীরা ইয়াহুদী ধর্মের উপর, খ্রিষ্টানরা খ্রিষটধর্মের উপর এবং বিদআতীরা তাদের বিদআতী কার্যকলাপের উপর কায়েম রয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)