Skip to main content

وَّاَنَّهٗ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ يَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًاۖ  ( الجن: ٦ )

wa-annahu
وَأَنَّهُۥ
And that
এবং যে
kāna
كَانَ
(there) were
ছিল
rijālun
رِجَالٌ
men
কিছু লোক
mina
مِّنَ
among
মধ্যে
l-insi
ٱلْإِنسِ
mankind
মানুষের
yaʿūdhūna
يَعُوذُونَ
who sought refuge
আশ্রয় চাইত
birijālin
بِرِجَالٍ
in (the) men
কিছু লোকের
mina
مِّنَ
from
মধ্যের
l-jini
ٱلْجِنِّ
the jinn
জিন্নদের
fazādūhum
فَزَادُوهُمْ
so they increased them
এভাবে তাদের বাড়িয়েছিল
rahaqan
رَهَقًا
(in) burden
অহংকার

Wa annahoo kaana rijaa lum minal insi ya'oozoona birijaalim minal jinni fazaa doohum rahaqaa (al-Jinn ৭২:৬)

English Sahih:

And there were men from mankind who sought refuge in men from the jinn, so they [only] increased them in burden [i.e., sin]. (Al-Jinn [72] : 6)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আরো এই যে, কতক মানুষ কতক জ্বিনের আশ্রয় নিত, এর দ্বারা তারা জ্বিনদের গর্ব অহঙ্কার বাড়িয়ে দিয়েছে। (আল জিন [৭২] : ৬)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর কতিপয় মানুষ কতক জ্বিনদের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করত,[১] ফলে তারা জ্বিনদের অহংকার[২] বাড়িয়ে দিত।

[১] জাহেলিয়াতের যুগে একটি প্রচলন এও ছিল যে, যখন তারা সফরে কোথাও যেত, তখন যে উপত্যকায় তারা অবস্থান করত, সেখানকার জ্বিনদের কাছে আশ্রয় কামনা করত; যেমন, অঞ্চলের বিশেষ ব্যক্তি এবং সরদারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। ইসলাম এ প্রচলন বাতিল ঘোষণা করে কেবলমাত্র এক আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার উপর তাকীদ করেছে।

[২] অর্থাৎ, যখন জ্বিনরা লক্ষ্য করল যে, মানুষ আমাদেরকে ভয় পায় এবং আমাদের কাছে আশ্রয় কামনা করে, তখন তাদের ঔদ্ধত্য ও অহংকার আরো বেড়ে গেল। এখানে رَهَقًا এর অর্থ হল ঔদ্ধত্য, অবাধ্যতা এবং অহংকার। এর আসল অর্থ হল, (ঢাকা) পাপ এবং হারাম কাজ সম্পাদন করা। (এর এক অর্থ ভয় করাও হয়। অর্থাৎ, মানুষরা জ্বিনদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে, জ্বিনরা মানুষদের ভয় বৃদ্ধি করত। দ্রঃ ফাতহুল ক্বাদীর -সম্পাদক)