Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِنَّمَا الْمُشْرِكُوْنَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هٰذَا ۚوَاِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيْكُمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖٓ اِنْ شَاۤءَۗ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ   ( التوبة: ٢٨ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O you who believe!
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
O you who believe!
যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
O you who believe!
ঈমান এনেছো
innamā
إِنَّمَا
Indeed
মূলতঃ
l-mush'rikūna
ٱلْمُشْرِكُونَ
the polytheists
মুশরিকরা
najasun
نَجَسٌ
(are) unclean
অপবিত্র
falā
فَلَا
so let them not come near
অতএব না
yaqrabū
يَقْرَبُوا۟
so let them not come near
তারা নিকটবর্তী হবে
l-masjida
ٱلْمَسْجِدَ
Al-Masjid Al-Haraam
মাসজিদে
l-ḥarāma
ٱلْحَرَامَ
Al-Masjid Al-Haraam
হারামের
baʿda
بَعْدَ
after
পরে
ʿāmihim
عَامِهِمْ
this, their (final) year
তাদের বছরের
hādhā
هَٰذَاۚ
this, their (final) year
এই
wa-in
وَإِنْ
And if
এবং যদি
khif'tum
خِفْتُمْ
you fear
তোমরা ভয় করো
ʿaylatan
عَيْلَةً
poverty
দারিদ্র্যের
fasawfa
فَسَوْفَ
then soon
তবে শীঘ্রই
yugh'nīkumu
يُغْنِيكُمُ
Allah will enrich you
তোমাদের অভাবমুক্ত করবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah will enrich you
আল্লাহ
min
مِن
from
দিয়ে
faḍlihi
فَضْلِهِۦٓ
His Bounty
তাঁর অনুগ্রহ
in
إِن
if
যদি
shāa
شَآءَۚ
He wills
তিনি ইচ্ছে করেন
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌ
(is) All-Knower
সর্বজ্ঞ
ḥakīmun
حَكِيمٌ
All-Wise
মহাবিজ্ঞ

Yaaa aiyuhal lazeena aamanooo innamal mushrikoona najasun falaa yaqrabul Masjidal Haraama ba'da 'aamihim haaza; wa in khiftum 'ailatan fasawfa yughnee kumul laahu min fadliheee in shaaa'; innallaaha 'Aleemun hakeem (at-Tawbah ৯:২৮)

English Sahih:

O you who have believed, indeed the polytheists are unclean, so let them not approach al-Masjid al-Haram after this, their [final] year. And if you fear privation, Allah will enrich you from His bounty if He wills. Indeed, Allah is Knowing and Wise. (At-Tawbah [9] : 28)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ওহে বিশ্বাসীগণ! মুশরিকরা হল অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন মাসজিদে হারামের নিকট না আসে। তোমরা যদি দরিদ্রতার ভয় কর, তবে আল্লাহ ইচ্ছে করলে অচিরেই তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাব-মুক্ত করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী। (আত তাওবাহ [৯] : ২৮)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসিগণ! অংশীবাদীরা তো অপবিত্র।[১] সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মাসজিদুল হারামের নিকট না আসে।[২] যদি তোমরা দারিদ্রে্র আশঙ্কা কর, তাহলে জেনে রাখ, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাঁর নিজ করুণায় তিনি তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। [৩] নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

[১] অংশীবাদী বা মুশরিকরা অপবিত্র কথার অর্থ হল, আকীদা-বিশ্বাস ও আমল হিসাবে তারা (অভ্যন্তরীণভাবে) অপবিত্র। কারো কারো নিকটে মুশরিক বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক উভয়ভাবে অপবিত্র। কেননা, তারা পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার সেইরূপ খেয়াল রাখে না, যেরূপ শরীয়ত নির্দেশ করেছে।

[২] এটা সেই হুকুম যা সন ৯ হিজরীতে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণার সাথে করা হয়েছিল। যার বিস্তারিত বর্ণনা পূর্বে (১-২নং আয়াতে) উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কেবল মাসজিদুল হারামের জন্য। নচেৎ প্রয়োজন মোতাবেক মুশরিকরা অন্যান্য মসজিদে প্রবেশ করতে পারে। যেমন নবী (সাঃ) সুমামাহ বিন উসালকে মসজিদে নববীর থামে বেঁধে রেখেছিলেন। পরিশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর হৃদয়ে ইসলাম ও নবীর মহব্বত সৃষ্টি করেন এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। পরন্তু অধিকাংশ উলামাগণের নিকট এখানে 'মাসজিদুল হারাম' থেকে উদ্দেশ্য পূর্ণ হারাম এলাকা। অর্থাৎ, হারাম-সীমানার ভিতর মুশরিকদের প্রবেশ নিষেধ। কিছু আসার (সাহাবার উক্তি ও কর্ম) অনুসারে এই হুকুম থেকে যিম্মী ও খাদেমদেরকে পৃথক করা হয়েছে। উমার বিন আব্দুল আযীয (রঃ) আলোচ্য আয়াতের ভিত্তিতে নিজ রাজত্বকালে ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকেও মুসলিমদের মসজিদে প্রবেশ না করার আদেশ জারী করেছিলেন। (ইবনে কাসীর)

[৩] মুশরিকদের উপর হারাম প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারী হওয়ার কারণে কিছু মুসলিমদের মনে চিন্তা হল যে, হজ্জের মৌসুমে অধিকাধিক লোক জমা হওয়ার কারণে যে ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে, তাতে প্রভাব পড়তে পারে। আল্লাহ তাআলা বললেন, দারিদ্রে্র ভয় করো না। তিনি অতিসত্বর নিজ অনুগ্রহে তোমাদেরকে ধনবান বানিয়ে দেবেন। সুতরাং বিভিন্ন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার ফলে বহু গনীমতের মাল মুসলিমদের হস্তগত হল। অতঃপর ধীরে ধীরে সারা আরববাসী মুসলমান হয়ে গেল। পরিণামে হজ্জের মৌসুমে হাজীদের গমনাগমন ঠিক সেইরূপ হয়ে গেল যেমন পূর্বে ছিল; বরং তার থেকেও বেশী হল। আর সেই সংখ্যাবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত।