Skip to main content

وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ الَّيْلِ ۗاِنَّ الْحَسَنٰتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّاٰتِۗ ذٰلِكَ ذِكْرٰى لِلذَّاكِرِيْنَ  ( هود: ١١٤ )

And establish
وَأَقِمِ
এবং প্রতিষ্ঠা করো
the prayer
ٱلصَّلَوٰةَ
সালাত
(at the) two ends
طَرَفَىِ
দুই প্রান্তে
(of) the day
ٱلنَّهَارِ
দিনের
and (at) the approach
وَزُلَفًا
এবং (প্রথম) অংশে
of
مِّنَ
থেকে
the night
ٱلَّيْلِۚ
রাতের
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
the good deeds
ٱلْحَسَنَٰتِ
সৎকাজগুলো
remove
يُذْهِبْنَ
দূর করে দেয়
the evil deeds
ٱلسَّيِّـَٔاتِۚ
মন্দকাজগুলোকে
That
ذَٰلِكَ
এটা
(is) a reminder
ذِكْرَىٰ
উপদেশ
for those who remember
لِلذَّٰكِرِينَ
উপদেশগ্রহণকারীদের জন্যে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তুমি নামায প্রতিষ্ঠা কর দিনের দু’ প্রান্ত সময়ে আর কিছুটা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর, পূণ্যরাজি অবশ্যই পাপরাশিকে দূর করে দেয়, এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।

English Sahih:

And establish prayer at the two ends of the day and at the approach of the night. Indeed, good deeds do away with misdeeds. That is a reminder for those who remember.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নামায কায়েম কর দিবসের দু’প্রান্তে ও রাত্রির কিছু অংশে;[১] নিঃসন্দেহে পুণ্যরাশি পাপরাশিকে মুছে ফেলে; [২] এটা হচ্ছে উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য একটি উপদেশ।

[১] দু'প্রান্ত থেকে কেউ কেউ ফজর ও মাগরেবের নামায, কেউ কেউ শুধু এশা এবং কেউ কেউ মাগরেব ও এশা উভয় নামাযের সময় উদ্দেশ্য নিয়েছেন। ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) বলেন যে, সম্ভবতঃ এই আয়াতটি মি'রাজের পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। কারণ তার পূর্বে শুধু দুই নামায ওয়াজিব ছিল, প্রথম সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে এবং দ্বিতীয় সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে। আর রাতের শেষাংশে তাহাজ্জুদের নামায ছিল। পরে তাহাজ্জুদ নামাযের অপরিহার্যতা উম্মতের জন্য মাফ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকের মতে তাহাজ্জুদ নামাযের অপরিহার্যতা নবী (সাঃ)-এর জন্যও মাফ করে দেওয়া হয়েছিল। (ইবনে কাসীর) আর আল্লাহই ভালো জানেন।

[২] যেমন হাদীসসমূহে তা পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে। "পাঁচ ওয়াক্তের নামায, এক জুমআহ থেকে অপর জুমআহ পর্যন্ত এবং এক রমযান থেকে অপর রমযান পর্যন্ত, তার মধ্যবর্তী পাপসমূহকে মিটিয়ে দেয়; যদি কাবীরা গুনাহ থেকে দূরে থাকা হয় তবে।" (মুসলিম) অন্য আর এক হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "বল দেখি, যদি তোমাদের কারো দরজার সামনে একটি নদী প্রবাহিত হয় এবং সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?" সাহাবায়ে-কিরামগণ বললেন, না। তিনি বললেন, "পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দৃষ্টান্ত হচ্ছে এটিই। এই নামাযগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা গুনাহসমূহ মুছে ফেলেন।" (বুখারী ও মুসলিম) সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ)-এর সাথে একটি গাছের নিচে ছিলাম। তিনি আমার সামনে গাছের একটি শুষ্ক ডাল ধরে হিলিয়ে দিলেন। এতে তার সমস্ত পাতা খসে পড়ল। অতঃপর বললেন, "হে সালমান! তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না কি যে, কেন আমি এরূপ করলাম?" আমি বললাম, 'কেন করলেন?' তিনি উত্তরে বললেন, "মুসলিম যখন সুন্দরভাবে ওযু করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, তখন তার পাপরাশি ঠিক ঐভাবেই ঝরে যায়, যেভাবে এই পাতাগুলো ঝরে গেল।" আর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন। (আহমাদ, নাসাঈ, তাবারানী, সহীহ তারগীব ৩৫৬নং) এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুম্বন দিয়ে ফেলে। পরে সে নবী (সাঃ)-এর নিকট এসে বিষয়টি জানায়। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন; "দিনের দুপ্রান্ত সকাল ও সন্ধ্যায় এবং রাতের প্রথম ভাগে নামায কায়েম কর। নিশ্চয়ই পুণ্যরাশি পাপরাশিকে মিটিয়ে দেয়।" (সূরা হূদ ১১;১১৪) লোকটি জিজ্ঞেস করল, 'হে আল্লাহর রসূল! একি শুধু আমার জন্য?' তিনি বললেন, "না, এ সুযোগ আমার সকল উম্মতের জন্য।" (বুখারী ও মুসলিম)