وَيَجْعَلُوْنَ لِمَا لَا يَعْلَمُوْنَ نَصِيْبًا مِّمَّا رَزَقْنٰهُمْۗ تَاللّٰهِ لَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا كُنْتُمْ تَفْتَرُوْنَ ( النحل: ٥٦ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তার একাংশ তারা ঐ সবের জন্য নির্ধারিত করে যাদের সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। আল্লাহর শপথ! তোমাদের এই মিথ্যে উদ্ভাবন সম্পর্কে তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে
English Sahih:
And they assign to what they do not know [i.e., false deities] a portion of that which We have provided them. By Allah, you will surely be questioned about what you used to invent.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আমি তাদেরকে যে জীবিকা দান করি, তারা তার এক অংশ নির্ধারিত করে তাদের (বাতিল উপাস্যদের) জন্য, যাদের সম্বন্ধে তারা কিছুই জানে না।[১] শপথ আল্লাহর! তোমরা যে মিথ্যা উদ্ভাবন কর, সে সম্বন্ধে তোমাদের অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। [২]
[১] অর্থাৎ, যাদেরকে এরা বিপত্তারণ, সমস্যা দূরকারী, মা'বুদ মনে করে তারা তো মাটি বা পাথরের মূর্তি, জীন বা শয়তান, তাদের প্রকৃতত্বের জ্ঞান তাদের নেই। অনুরূপ কবরে শায়িত ব্যক্তির প্রকৃতত্বও কারো জানা নয় যে, তার সাথে কবরে কি আচরণ করা হচ্ছে? সে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের তালিকাভুক্ত, নাকি অপ্রিয় বান্দাদের? এ সব কথা কেউ জানে না। কিন্তু এই যালেমরা তাদের প্রকৃতত্ব না জানা সত্ত্বেও (কেবল ধারণাবশে ঐশ্বরিক মর্যাদা দিয়ে) তাদেরকে আল্লাহর শরীক করে রেখেছে এবং আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদের (নযর-নিয়াযের মাধ্যমে) কিছু অংশ তাদের জন্য ধার্য করে থাকে। বরং আল্লাহর অংশ বাকী থাকলে অসুবিধা নাই; কিন্তু তাদের অংশ কম করা চলবে না। যেমন সূরা আনআমের ৬;১৩৬ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
[২] তোমরা আল্লাহর উপরে যে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছ যে, তাঁর এক বা একাধিক শরীক আছে --এ সম্পর্কে তোমরা কিয়ামতে জিজ্ঞাসিত হবে।