Skip to main content

وَّرَبَطْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ اِذْ قَامُوْا فَقَالُوْا رَبُّنَا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ لَنْ نَّدْعُوَا۟ مِنْ دُوْنِهٖٓ اِلٰهًا لَّقَدْ قُلْنَآ اِذًا شَطَطًا  ( الكهف: ١٤ )

warabaṭnā
وَرَبَطْنَا
And We made firm
এবং আমরা দৃঢ় করেছিলাম
ʿalā
عَلَىٰ
[on]
উপর
qulūbihim
قُلُوبِهِمْ
their hearts
অন্তরগুলো তাদের
idh
إِذْ
when
যখন
qāmū
قَامُوا۟
they stood up
তারা দাঁড়িয়েছিলো
faqālū
فَقَالُوا۟
and said
তখন তারা বলেছিলো
rabbunā
رَبُّنَا
"Our Lord
"আমাদের রব
rabbu
رَبُّ
(is) the Lord
রব
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
(of) the heavens
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِ
and the earth
এবং পৃথিবীর
lan
لَن
Never
কখনও না
nadʿuwā
نَّدْعُوَا۟
we will invoke
আমরা ডাকবো
min
مِن
besides Him
ছাড়া
dūnihi
دُونِهِۦٓ
besides Him
তাকে
ilāhan
إِلَٰهًاۖ
any god
(অন্য) ইলাহকে
laqad
لَّقَدْ
Certainly
নিশ্চয়ই (যদি করি)
qul'nā
قُلْنَآ
we would have said
আমরা বলবো
idhan
إِذًا
then
তাহ'লে
shaṭaṭan
شَطَطًا
an enormity
গর্হিত (কথা)

Wa rabatnaa 'alaa quloo bihim iz qaamoo faqaaloo Rabbunaa Rabbus samaawaati wal ardi lan nad'uwa min dooniheee ilaahal laqad qulnaaa izan shatataa (al-Kahf ১৮:১৪)

English Sahih:

And We bound [i.e., made firm] their hearts when they stood up and said, "Our Lord is the Lord of the heavens and the earth. Never will we invoke besides Him any deity. We would have certainly spoken, then, an excessive transgression. (Al-Kahf [18] : 14)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর তাদের দিল মযবুত করে দিয়েছিলাম যখন তারা (মুশরিক রাজা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে) দাঁড়িয়ে গেল তখন বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তো তিনিই যিনি আসমানসমূহ যমীনের প্রতিপালক। আমরা কক্ষনো তাঁকে ত্যাগ করে অন্য কোন ইলাহকে ডাকব না। যদি আমরা ডাকি তাহলে মহা অপরাধের কথাই বলা হবে। (কাহফ [১৮] : ১৪)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর আমি তাদের অন্তরকে সুদৃঢ় করেছিলাম;[১] তারা যখন উঠে দাঁড়াল[২] তখন বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক; আমরা কখনই তাঁর পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করব না; যদি করে বসি তাহলে তা অতিশয় গর্হিত হবে। [৩]

[১] অর্থাৎ, হিজরত করার কারণে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন থেকে পৃথক এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন থেকে বঞ্চিত হওয়ার ধাক্কা যেহেতু তাদের উপর আসছে, তাই আল্লাহ তাদের অন্তরকে সুদৃঢ় করে দিলেন। যাতে তারা তাদের জীবনের বিপদ-আপদকে খুশী মনে বরণ করে নিতে পারে। অনুরূপ হক বলার দায়িত্বকেও যেন সাহস ও উৎসাহের সাথে পালন করতে পারে।

[২] এই দাঁড়ানো অধিকাংশ মুফাসসিরের নিকট রাজার দরবারে ছিল, তারা রাজার সামনে দাঁড়িয়ে তাওহীদের ওয়ায করেছিল। কেউ কেউ বলেন, শহর থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আপোসে একে অপরকে তাওহীদের সেই কথা শুনাতে লাগলেন, যা এক এক করে প্রত্যেকের অন্তরে ভরে দেওয়া হয়েছিল এবং এইভাবে তারা আপোসে একত্রিত হয়ে গেল।

[৩] شَطَطًا অর্থ, মিথ্যা অথবা সীমালঙ্ঘন করা।