Skip to main content

وَكَذٰلِكَ اَعْثَرْنَا عَلَيْهِمْ لِيَعْلَمُوْٓا اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّاَنَّ السَّاعَةَ لَا رَيْبَ فِيْهَاۚ اِذْ يَتَنَازَعُوْنَ بَيْنَهُمْ اَمْرَهُمْ فَقَالُوا ابْنُوْا عَلَيْهِمْ بُنْيَانًاۗ رَبُّهُمْ اَعْلَمُ بِهِمْۗ قَالَ الَّذِيْنَ غَلَبُوْا عَلٰٓى اَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيْهِمْ مَّسْجِدًا  ( الكهف: ٢١ )

wakadhālika
وَكَذَٰلِكَ
And similarly
এবং এভাবে
aʿtharnā
أَعْثَرْنَا
We made known
আমরা জানিয়ে দিলাম
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
about them
তাদের সম্পর্কে
liyaʿlamū
لِيَعْلَمُوٓا۟
that they might know
যেন তারা জানে
anna
أَنَّ
that
যে
waʿda
وَعْدَ
(the) Promise
প্রতিশ্রুতি
l-lahi
ٱللَّهِ
(of) Allah
আল্লাহ্‌র
ḥaqqun
حَقٌّ
(is) true
সত্য
wa-anna
وَأَنَّ
and that
এবং (এও) যে
l-sāʿata
ٱلسَّاعَةَ
(about) the Hour
ক্বিয়ামাত আসবেই
لَا
(there is) no
নেই
rayba
رَيْبَ
doubt
কোনো সন্দেহ
fīhā
فِيهَآ
in it
তার মধ্যে
idh
إِذْ
When
যখন
yatanāzaʿūna
يَتَنَٰزَعُونَ
they disputed
তারা পরস্পরে বিতর্ক করছিলো
baynahum
بَيْنَهُمْ
among themselves
তাদের মাঝে
amrahum
أَمْرَهُمْۖ
about their affair
তাদের কাজে
faqālū
فَقَالُوا۟
and they said
তখন তারা বলেছিলো
ib'nū
ٱبْنُوا۟
"Construct
"তোমরা নির্মাণ করো
ʿalayhim
عَلَيْهِم
over them
তাদের উপর
bun'yānan
بُنْيَٰنًاۖ
a structure
সৌধ
rabbuhum
رَّبُّهُمْ
Their Lord
তাদের রব
aʿlamu
أَعْلَمُ
knows best
ভালো জানেন
bihim
بِهِمْۚ
about them"
তাদের সম্বন্ধে
qāla
قَالَ
Said
বললো
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
ghalabū
غَلَبُوا۟
prevailed
প্রবল হয়েছিলো
ʿalā
عَلَىٰٓ
in
উপর
amrihim
أَمْرِهِمْ
their matter
তাদের মতের
lanattakhidhanna
لَنَتَّخِذَنَّ
"Surely we will take
"অবশ্যই আমরা নির্মাণ করবো
ʿalayhim
عَلَيْهِم
over them
তাদের উপর
masjidan
مَّسْجِدًا
a place of worship"
মাসজিদ"

Wa kazaalika a'sarnaa 'alaihim liya'lamooo anna wa'dal laahi haqqunw wa annas Saa'ata laa raiba feehaa iz yatanaaza'oona bainahum amrahum faqaalub noo 'alaihim bunyaanaa; Rabbuhum a'lamu bihim; qaalal lazeena ghalaboo 'alaaa amrihim lanat takhizanna 'alaihim masjidaa (al-Kahf ১৮:২১)

English Sahih:

And similarly, We caused them to be found that they [who found them] would know that the promise of Allah is truth and that of the Hour there is no doubt. [That was] when they disputed among themselves about their affair and [then] said, "Construct over them a structure. Their Lord is most knowing about them." Said those who prevailed in the matter, "We will surely take [for ourselves] over them a masjid." (Al-Kahf [18] : 21)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি এভাবে তাদের ব্যাপারটা লোকেদেরকে ওয়াকিফহাল করে দিলাম যাতে তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, আর ক্বিয়ামাতের দিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা (অর্থাৎ নগরবাসীরা) নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করছিল, (কতক) বলল, ‘তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’ তাদের প্রতিপালক তাদের সম্পর্কে ভাল জানেন। তাদের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে যাদের মতামত প্রাধান্য লাভ করল তারা বলল, ‘আমরা তাদের উপর অবশ্য অবশ্যই মাসজিদ নির্মাণ করব।’ (কাহফ [১৮] : ২১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

এভাবে আমি লোকেদেরকে তাদের বিষয় জানিয়ে দিলাম,[১] যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য এবং কিয়ামতে কোন সন্দেহ নেই।[২] যখন তারা তাদের কর্তব্য বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করছিল[৩] তখন অনেকে বলল, ‘তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’[৪] তাদের প্রতিপালক তাদের বিষয়ে ভাল জানেন।[৫] তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল, ‘আমরা তো নিশ্চয়ই তাদের উপর মসজিদ নির্মাণ করব।’[৬]

[১] অর্থাৎ, যেভাবে আমি তাদেরকে ঘুম পাড়িয়েছি ও জাগিয়েছি, অনুরূপভাবে মানুষদেরকেও তাদের ব্যাপারে অবহিত করিয়েছি। কোন কোন বর্ণনা অনুযায়ী এই অবহিত করণ এইভাবে সুসম্পন্ন হয় যে, যখন গুহা অধিবাসীদের একজন রূপার সেই মুদ্রা নিয়ে শহরে গেল, যা ৩০০ বছর পূর্বের রাজা দাকয়ানুসের আমলে প্রচলিত ছিল এবং সেই মুদ্রা সে একজন দোকানদারকে দিল, তখন সে বিস্মিত হল। সে পাশের দোকানদারকেও দেখাল। তারাও আশ্চর্যানিত হল। এদিকে এ লোক তাদেরকে বলছিল যে, আমি এই শহরেরই অধিবাসী, গত কালই এখান থেকে গেছি। কিন্তু এই 'কাল'এর যে তিন শতাব্দি অতিবাহিত হয়ে গেছে। অতএব মানুষ কিভাবে তার কথা মেনে নিবে? লোকদের এই সন্দেহ হল যে, হতে পারে এ লোক কোন গুপ্ত ধন-ভান্ডার পেয়েছে। পরিশেষে ধীরে ধীরে এ কথা রাজা বা শাসক পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং সে (গুহা অধিবাসীদের) এই সঙ্গীর সাহায্যে গুহা পর্যন্ত যায় এবং তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে। পরে মহান আল্লাহ পুনরায় তাদেরকে সেখানেই মৃত্যু দেন। (ইবনে কাসীর)

[২] অর্থাৎ, গুহার অধিবাসীদের এই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার এবং মৃত্যুর পর আল্লাহর পুনরুত্থানের ওয়াদা সত্য। অস্বীকারকারীদের জন্য রয়েছে এই ঘটনার মধ্যে আল্লাহর মহাশক্তির এক নিদর্শন।

[৩] إِذْ হয় أَعْثَرْنَا (ক্রিয়াপদের) এর 'যারফ' (যার দ্বারা সময়-কাল বুঝানো হয়)। অর্থাৎ, আমি তাদেরকে সেই সময় এদের ব্যাপারে জানালাম, যখন তারা মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের এবং কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে আপোসে বিতর্কে লিপ্ত ছিল। অথবা এখানে أذْكُرْ ক্রিয়া ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, সেই সময়কে স্মরণ কর, যখন তারা আপোসে বিতর্ক করছিল।

[৪] এ কথা কে বলেছিল? কেউ বলেন, সেই যুগের ঈমানদাররা। কেউ বলেন, বাদশাহ ও তার সাথের লোকেরা যখন সেখানে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করল এবং এরপর আল্লাহ তাদেরকে পুনরায় ঘুম পাড়িয়ে দিলেন, তখন বাদশাহ ও তার সাথীরা বলল যে, এদের হেফাযতের জন্য একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে দেওয়া যাক।

[৫] বিতর্ককারীদেরকে মহান আল্লাহ বললেন যে, তাদের ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান কেবল আল্লাহই রাখেন।

[৬] এই প্রবল দলটি ঈমানদারদের ছিল, না কাফের ও মুশরিকদের? ইমাম শওকানী প্রথম মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং ইমাম ইবনে কাসীর দ্বিতীয় মতকে। কারণ, নেক লোকদের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা আল্লাহর পছন্দ নয়। রসূল (সাঃ) বলেছেন, ((لَعَنَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ)) "ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের আম্বিয়াদের কবরগুলোকে মসজিদে পরিণত করেছে।" (বুখারীঃ জানাযা অধ্যায়, মুসলিমঃ মাসাজিদ অধ্যায়) উমার (রাঃ)-এর খেলাফত কালে ইরাকে দানিয়াল (আঃ)-এর কবর পাওয়া গেল। তিনি নির্দেশ দিলেন যে, গোপনে সেটাকে সাধারণ কবরে পরিণত করা হোক। যাতে মানুষ যেন জানতে না পারে যে, এটা কোন নবীর কবর। (তাফসীর ইবনে কাসীর)