Skip to main content

وَّبَرًّاۢ بِوَالِدَتِيْ وَلَمْ يَجْعَلْنِيْ جَبَّارًا شَقِيًّا   ( مريم: ٣٢ )

wabarran
وَبَرًّۢا
And dutiful
এবং অনুগত
biwālidatī
بِوَٰلِدَتِى
to my mother
আমার মায়ের
walam
وَلَمْ
and not
এবং নি
yajʿalnī
يَجْعَلْنِى
He (has) made me
আমাকে করেন
jabbāran
جَبَّارًا
insolent
উদ্ধত
shaqiyyan
شَقِيًّا
unblessed
হতভাগ্য

Wa barram biwaalidatee wa lam yaj'alnee jabbaaran shaqiyyaa (Maryam ১৯:৩২)

English Sahih:

And [made me] dutiful to my mother, and He has not made me a wretched tyrant. (Maryam [19] : 32)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর (তিনি আমাকে করেছেন) আমার মাতার প্রতি সদয়, তিনি আমাকে দাম্ভিক হতভাগ্য করেননি। (মারইয়াম [১৯] : ৩২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

এবং আমার মাতার প্রতি অনুগত থাকতে।[১] আর তিনি আমাকে করেননি উদ্ধত, হতভাগ্য। [২]

[১] শুধু মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার কথা উল্লেখ হওয়াতেও স্পষ্ট যে, ঈসা (আঃ)-এর পিতা ছিল না। বরং তাঁর জন্ম বিনা পিতায়, এক অলৌকিক মু'জিযার ব্যাপার। অন্যথা তিনিও য়্যাহয়্যা (আঃ)-এর মত بَرًا بوالدَيه (পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারকারী) বলতেন এবং শুধু মাতার সাথে সদ্ব্যবহারকারী বা মাতার অনুগত হিসাবে উল্লেখ করতেন না।

[২] এর মর্মার্থ এই যে, যে ব্যক্তি মাতা-পিতার সেবাকারী ও অনুগত হয় না, তার স্বভাব-চরিত্রে ঔদ্ধত্য এবং ভাগ্যে দুর্ভাগ্যই নির্ধারিত থাকে। ঈসা (আঃ) সমস্ত কথোপকথনের শব্দে অতীত কাল ব্যবহার করেছেন; যদিও এ সমস্ত কথার সম্পর্ক হচ্ছে ভবিষ্যতের সাথে। আর তখন তিনি ছিলেন সবে মাত্র দুধ খাওয়া শিশু। তা এই কারণেই যে, আল্লাহর লিখিত তকদীরের এমন অটল ফায়সালা ছিল যে, যদিও তার কিছু বর্তমানে প্রকাশ পায়নি, তবুও ভবিষ্যতে এ সবের সত্য হয়ে প্রকাশ এমন সুনিশ্চিত ছিল, যেমন অতীত কালের ঘটে যাওয়া ঘটনায় সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না।