Skip to main content

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْرِيْ نَفْسَهُ ابْتِغَاۤءَ مَرْضَاتِ اللّٰهِ ۗوَاللّٰهُ رَءُوْفٌۢ بِالْعِبَادِ   ( البقرة: ٢٠٧ )

wamina
وَمِنَ
And of
এবং মধ্য হতে
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
the people
লোকদের (এমনও আছে)
man
مَن
(is the one) who
যে
yashrī
يَشْرِى
sells
বিক্রি করে
nafsahu
نَفْسَهُ
his own self
তার প্রাণ
ib'tighāa
ٱبْتِغَآءَ
seeking
উদ্দেশ্যে
marḍāti
مَرْضَاتِ
pleasure
সন্তুষ্টির
l-lahi
ٱللَّهِۗ
(of) Allah
আল্লাহর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
And Allah
এবং আল্লাহ
raūfun
رَءُوفٌۢ
(is) full of Kindness
খুব দয়ালু
bil-ʿibādi
بِٱلْعِبَادِ
to His servants
এ ধরনের দাসদের সাথে

Wa minan naasi mai yashree nafsahub tighaaa'a mardaatil laah; wallaahu ra'oofum bil'ibaad (al-Baq̈arah ২:২০৭)

English Sahih:

And of the people is he who sells himself, seeking means to the approval of Allah. And Allah is Kind to [His] servants. (Al-Baqarah [2] : 207)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

মানুষের মধ্যে এমন আছে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে নিজের প্রাণ দিয়ে থাকে, বস্তুতঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যধিক দয়ালু। (আল বাকারা [২] : ২০৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

পক্ষান্তরে এমন লোকও আছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মবিক্রয় করে দেয় [১] এবং আল্লাহ নিজ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র।

[১] এই আয়াত সম্পর্কে বলা হয় যে, সুহায়ব রূমী (রাঃ)-এর ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। যখন তিনি হিজরত করেন, তখন মক্কার কাফেররা বলল, এই ধন-সম্পদ এখানকারই উপার্জিত, বিধায় আমরা তা সাথে করে নিয়ে যেতে দেবো না। সুহায়ব (রাঃ) সমস্ত ধন-সম্পদ তাদেরকে সমর্পণ করে দ্বীন নিয়ে রসূল (সাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে গেলেন। তিনি তাঁর ঘটনা শুনে বললেন, "সুহায়ব অতীব লাভদায়ক ব্যবসা করেছে।" কথাটি তিনি দু'বার বলেছিলেন। (ফাতহুল ক্বাদীর) কিন্তু এ আয়াতও ব্যাপক অর্থের, যা সমস্ত মু'মিন, আল্লাহভীরু এবং দুনিয়ার মোকাবেলায় দ্বীনকে প্রাধান্য দানকারী সকলকেই শামিল করে থাকে। কেননা, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবতীর্ণ হওয়া সমস্ত আয়াতের ব্যাপারে নীতি হল, 'বাচ্যার্থের ব্যাপকতাই লক্ষণীয়, অবতীর্ণের কারণবিষয়ক ঘটনার বিশেষত্ব নয়'। অর্থাৎ, আয়াতের যে অর্থ তার ব্যাপকতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে, বিশেষ কোন কারণে নাযিল হয়ে থাকলেও অর্থ কেবল তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। সুতরাং আখনাস বিন শুরাইক (যার কথা পূর্বের আয়াতে এসেছে) মন্দ চরিত্রের একটি নমুনা। যারাই এই চরিত্রের অধিকারী হবে, তারা সকলেই তার শ্রেণীভুক্ত হবে। অনুরূপ যারা উত্তম গুণাবলী এবং পূর্ণ ঈমানের গুণে গুণান্বিত হবে, তাঁদের সকলের জন্য নমুনা হবেন সুহায়ব (রাঃ)।