Skip to main content

وَاِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلٰۤىِٕكَةِ ِانِّيْ جَاعِلٌ فِى الْاَرْضِ خَلِيْفَةً ۗ قَالُوْٓا اَتَجْعَلُ فِيْهَا مَنْ يُّفْسِدُ فِيْهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاۤءَۚ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ ۗ قَالَ اِنِّيْٓ اَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ  ( البقرة: ٣٠ )

wa-idh
وَإِذْ
And when
এবং (স্মরণ করো) যখন
qāla
قَالَ
said
বলেছিলেন
rabbuka
رَبُّكَ
your Lord
তোমার রব
lil'malāikati
لِلْمَلَٰٓئِكَةِ
to the angels
ফেরেশতাদের উদ্দেশে
innī
إِنِّى
"Indeed, I (am)
''নিশ্চয়ই আমি
jāʿilun
جَاعِلٌ
going to place
সৃষ্টিকারী
فِى
in
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
the earth
পৃথিবীতর
khalīfatan
خَلِيفَةًۖ
a vicegerent
প্রতিনিধি
qālū
قَالُوٓا۟
they said
তারা বলেছিলো
atajʿalu
أَتَجْعَلُ
"Will You place
'আপনি কি সৃষ্টি করবেন
fīhā
فِيهَا
in it
তার মধ্যে (পৃথিবীতে)
man
مَن
(one) who
যে
yuf'sidu
يُفْسِدُ
will spread corruption
বিপর্যয় সৃষ্টি করবে
fīhā
فِيهَا
in it
তার মধ্যে
wayasfiku
وَيَسْفِكُ
and will shed
ও ঝরাবে
l-dimāa
ٱلدِّمَآءَ
[the] blood[s]
রক্ত
wanaḥnu
وَنَحْنُ
while we
এবং আমরাইতো
nusabbiḥu
نُسَبِّحُ
[we] glorify (You)
পবিত্র মহিমা ঘোষণা করি
biḥamdika
بِحَمْدِكَ
with Your praises
আপনার প্রশংসা
wanuqaddisu
وَنُقَدِّسُ
and we sanctify
ও মহিমা ঘোষণা করি
laka
لَكَۖ
[to] You
আপনার
qāla
قَالَ
He said
তিনি বলেছিলেন
innī
إِنِّىٓ
"Indeed, I
''নিশ্চয়ই আমি
aʿlamu
أَعْلَمُ
[I] know
জানি
مَا
what
যা
لَا
(do) not
না
taʿlamūna
تَعْلَمُونَ
you know"
তোমরা জান''

Wa iz qaala rabbuka lil malaaa'ikati innee jaa'ilun fil ardi khaleefatan qaalooo ataj'alu feehaa mai yufsidu feehaa wa yasfikud dimaaa'a wa nahnu nusabbihu bihamdika wa nuqaddisu laka qaala inneee a'lamu maa laa ta'lamoon (al-Baq̈arah ২:৩০)

English Sahih:

And [mention, O Muhammad], when your Lord said to the angels, "Indeed, I will make upon the earth a successive authority." They said, "Will You place upon it one who causes corruption therein and sheds blood, while we exalt You with praise and declare Your perfection?" He [Allah] said, "Indeed, I know that which you do not know." (Al-Baqarah [2] : 30)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক যখন ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘আমি যমীনে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি’; তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকেও পয়দা করবেন যে অশান্তি সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? আমরাই তো আপনার প্রশংসামূলক তাসবীহ পাঠ ও পবিত্রতা ঘোষণা করি’। তিনি বললেন, ‘আমি যা জানি, তোমরা তা জান না’। (আল বাকারা [২] : ৩০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর (স্মরণ কর) যখন তোমার প্রতিপালক ফিরিশতাদেরকে (১) বললেন, ‘আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি (২) সৃষ্টি করছি।’ তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকেও সৃষ্টি করবেন যে অশান্তি ঘটাবে ও রক্তপাত করবে? অথচ আমরাই তো আপনার সপ্রশংস মহিমা কীর্তন ও পবিত্রতা ঘোষণা করি।’ তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি যা জানি তা তোমরা জান না।’ (৩)


(১) مَلائِكة (ফিরিশতা) জ্যোতি থেকে সৃষ্ট আল্লাহর এক সৃষ্টি; যাঁদের বাসস্থান আসমান। যাঁরা আল্লাহর নির্দেশ পালনে এবং তাঁর প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনায় ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা তাঁর কোন নির্দেশের অবাধ্যাচরণ করেন না।

(২) خَلِيفَة (খলীফা) এর অর্থ এমন জাতি যারা একে অপরের পরে আসবে। পক্ষান্তরে 'মানুষ দুনিয়াতে আল্লাহর খলীফা ও প্রতিনিধি' এ কথা বলা ভুল।

(৩) ফিরিশতাদের এমন বলা হিংসা ও অভিযোগমূলক ছিল না, বরং সত্য ও যৌক্তিকতা জানার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে, হে আমাদের প্রতিপালক! এই সম্প্রদায় সৃষ্টি করার যৌক্তিকতা কি? অথচ এদের মধ্যে এমন লোকও হবে যারা ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি এবং খুনাখুনি করবে? যদি উদ্দেশ্য এই হয় যে, তোমার ইবাদত হোক, তাহলে এই কাজের জন্য তো আমরা রয়েছি। আর আমাদের নিকট থেকে সে বিপদের আশঙ্কাও নেই, যা নতুন সৃষ্টি থেকে হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বললেন, আমি জানি তাদের কল্যাণের দিক যেহেতু তোমাদের উল্লিখিত ফাসাদের দিক থেকেও বেশী তাই তাদেরকে সৃষ্টি করছি। আর এ কথা তোমরা জানো না। কেননা, এদের মধ্যে আম্বিয়া, শহীদ, সৎশীল এবং বড় ইবাদতকারী মানুষও হবেন। (ইবনে কাসীর)

আদম-সন্তানের ব্যাপারে ফিরিশতাগণ কিভাবে জানলেন যে তারা ফিতনা ও ফাসাদ সৃষ্টি করবে? এই অনুমান তাঁরা মানুষ সৃষ্টির পূর্বে যে (জ্বিন) সম্প্রদায় ছিল তাদের কার্যকলাপ দ্বারা অথবা অন্য কোন ভাবে করে থাকবেন। কেউ কেউ বলেছেন, আল্লাহ তাআলাই বলে দিয়েছিলেন যে, তারা এ রকম এ রকম কাজও করবে। তাঁরা বলেন, বাক্যে কিছু শব্দ উহ্য আছে, আসল বাক্য হল, {إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيْفَةً يَفْعَلُ كَذَا وَكَذَا} "আমি পৃথিবীতে এমন প্রতিনিধি বানাবো যে এ রকম এ রকম করবে।" (ফাতহুল ক্বাদীর)