Skip to main content

مَنْ كَانَ يَظُنُّ اَنْ لَّنْ يَّنْصُرَهُ اللّٰهُ فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ فَلْيَمْدُدْ بِسَبَبٍ اِلَى السَّمَاۤءِ ثُمَّ لْيَقْطَعْ فَلْيَنْظُرْ هَلْ يُذْهِبَنَّ كَيْدُهٗ مَا يَغِيْظُ   ( الحج: ١٥ )

Whoever
مَن
যে
[is]
كَانَ
ছিলো
thinks
يَظُنُّ
ধারণা করতো
that
أَن
যে
not
لَّن
কখনও না
Allah will help him
يَنصُرَهُ
তাকে (রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে) সাহায্য করবেন
Allah will help him
ٱللَّهُ
আল্লাহ
in
فِى
মধ্যে
the world
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
and the Hereafter
وَٱلْءَاخِرَةِ
ও আখিরাতে
then let him extend
فَلْيَمْدُدْ
তাহ'লে সে লম্বা করুক
a rope
بِسَبَبٍ
নিয়ে একটি রশিকে
to
إِلَى
পর্যন্ত
the sky
ٱلسَّمَآءِ
আকাশ
then
ثُمَّ
এরপর (সেখানে পৌঁছে)
let him cut off
لْيَقْطَعْ
যেন তা কেটে দেয় (ওহীর ধারা)
then let him see
فَلْيَنظُرْ
অতঃপর দেখুক
whether
هَلْ
কি
will remove
يُذْهِبَنَّ
দূর করতে পারবে
his plan
كَيْدُهُۥ
তার কৌশল
what
مَا
যা
enrages
يَغِيظُ
রাগান্বিত করে (তাকে)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যে কেউ ধারণা করে যে আল্লাহ তাকে (অর্থাৎ তাঁর রসূলকে) কক্ষনো দুনিয়া ও আখিরাতে সাহায্য করবেন না, তাহলে সে আকাশ পর্যন্ত একটা দড়ি ঝুলিয়ে নিক, অতঃপর তা কেটে দিক, অতঃপর সে দেখুক তার কলা-কৌশল তার রাগের কারণ দূর করে কিনা। (রসূলের দুশমন নিজের ঝুলানো দড়িটাই কাটুক, কেননা সে তো রসূলের প্রতি আল্লাহর সাহায্যের দড়িটা কক্ষনো কাটতে পারবে না।)

English Sahih:

Whoever should think that Allah will not support him [i.e., Prophet Muhammad (^)] in this world and the Hereafter – let him extend a rope to the ceiling, then cut off [his breath], and let him see: will his effort remove that which enrages [him]?

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যে মনে করে, আল্লাহ তাঁকে (রসূলকে) কখনই ইহকালে ও পরকালে সাহায্য করবেন না, সে আকাশের দিকে একটি রশি বিলম্বিত করুক, পরে তা বিচ্ছিন্ন করুক; অতঃপর দেখুক তার কৌশল তার আক্রোশের হেতু দূর করে কি না। [১]

[১] এর একটি অর্থ এই করা হয়েছে যে, এমন ব্যক্তি যে মনে করে আল্লাহ তাঁর নবীকে সাহায্য না করুন, কারণ তাঁর বিজয়লাভে তার বড় কষ্ট হয়, সে যেন ঘরের ছাদ হতে একটি রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করুক, হয়তো বা আত্মহত্যা তাকে সেই ক্ষোভ ও রাগ হতে রক্ষা করবে, যা সে আল্লাহর রসূলের বর্ধমান প্রভাব-প্রতিপত্তি দেখে অন্তরে অনুভব করে। এই অর্থ নিলে السَّمَاء বলতে ঘরের ছাদ বুঝাবে। আর দ্বিতীয় অর্থ হল এই যে, সে একটি রশি নিয়ে আকাশে চড়ুক ও আকাশ হতে অহী ও সাহায্য আসা বন্ধ করে দিক (যদি সে তা করতে পারে)। অতঃপর সে লক্ষ্য করুক যে, এতে তার কলিজা ঠান্ডা হল কি না? ইমাম ইবনে কাসীর প্রথম ও ইমাম শাওকানী দ্বিতীয় তাৎপর্যকে বেশি পছন্দ করেছেন। অবশ্য পূর্বাপর আলোচনা হতে দ্বিতীয় তাৎপর্যই সঠিকতার বেশি নিকটতর মনে হয়।