আল মু'মিনূন আয়াত ২২
وَعَلَيْهَا وَعَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُوْنَ ࣖ ( المؤمنون: ٢٢ )
Wa 'alaihaa wa'alal fulki tuhmaloon (al-Muʾminūn ২৩:২২)
English Sahih:
And upon them and on ships you are carried. (Al-Mu'minun [23] : 22)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর ওতে আর নৌযানে তোমরা আরোহণ কর। (আল মু'মিনূন [২৩] : ২২)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এবং তোমরা তাতে ও নৌযানে আরোহণও করে থাক। [১]
[১] অর্থাৎ প্রভুর সেই সমস্ত অনুগ্রহ হতে তোমরা উপকৃত হও। তাহলে তিনি কি এর উপযুক্ত নন যে তোমরা তার কৃতজ্ঞতা আদায় কর এবং তাঁরই উপাসনা ও আনুগত্য কর?
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর তাতে ও নৌযানে তোমাদের বহনও করা হয়ে থাকে [১]।
[১] এখানে সবশেষে জানোয়ারদের আরও একটি মহা উপকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে, তোমরা তাদের পিঠে আরোহণও কর এবং মাল পরিবহনেরও কাজে নিযুক্ত কর। এই শেষ উপকারের মধ্যে জন্তুদের সাথে নদীতে চলাচলকারী নৌকাও শরীক আছে। মানুষ নৌকায় আরোহণ করে এবং একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। তাই এর সাথে নৌকার আলোচনা করা হয়েছে। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এখানে গবাদি পশু ও নৌযানকে একত্রে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে, আরববাসীরা আরোহণ ও বোঝা বহন উভয় কাজের জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে উট ব্যবহার করতো এবং উটের জন্য “স্থল পথের জাহাজ’’ উপমাটি অনেক পুরানো। [দেখুন, আদওয়াউল বায়ান]
3 Tafsir Bayaan Foundation
আর এসব পশু ও নৌকায় তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।
4 Muhiuddin Khan
তাদের পিঠে ও জলযানে তোমরা আরোহণ করে চলাফেরা করে থাক।
5 Zohurul Hoque
আর তাদের উপরে এবং জাহাজে তোমাদের বহন করা হয়।
6 Mufti Taqi Usmani
এবং তাতে ও নৌযানে তোমাদেরকে সওয়ারও করানো হয়ে থাকে।
7 Mujibur Rahman
এবং তোমরা তাতে এবং নৌযানে আরোহণও করে থাক।
8 Tafsir Fathul Mazid
১৮-২২ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করেন, এতে বেশিও থাকে না, আবার কমও থাকে না। বেশি হলে বন্যা বয়ে যাবে আর কম হলে প্রয়োজন পূরণ হবে না। পানি বর্ষণ করে জমিনে সংরক্ষণ করে রাখেন, যেমন খাল-বিল, নদী-নালা ইত্যাদি পানি দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেন। যাতে সে সময় কাজে লাগাতে পারে যখন বৃষ্টি হয় না বা যে এলাকায় বৃষ্টি কম হয়েছে। সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা সতর্ক করে দিচ্ছেন, তিনি চাইলে এ পানি অপসারিত করতে সক্ষম। বৃষ্টির পর পানি জমিনে তলিয়ে যাবে, খুঁজেও পাওয়া যাবে না। সুতরাং নেয়ামত পেয়ে নেয়ামতের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে এবং আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
(فَأَنْشَأْنَا لَكُمْ بِه)
অর্থাৎ বৃষ্টির পানি দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা খেজুর-আঙ্গুরসহ অনেক ফল-ফলাদির বাগান তৈরি করেন। এসব ফল-ফলাদি তোমরা খেয়ে থাক। যে সম্পর্কে পূর্বে সূরা নাহলে আলোচনা করা হয়েছে।
(وَشَجَرَةً تَخْرُجُ)
অর্থাৎ এ বৃষ্টির পানি দ্বারা একটি গাছও উৎপন্ন হয় যা যায়তুন গাছ নামে পরিচিত। যার ফল পিষে তেল বের হয় এবং তা খাওয়া ও জ্বালানো হয়। যয়তুন ফলও তরকারী বা আচাররূপে ব্যবহার হয়। তরকারী বলা হয়েছে যেহেতু রুটিকে তার তরকারীতে ডুবিয়ে রঙানো হয় তাই। সিনাই পর্বত ও তার আশপাশের এলাকা বিশেষ করে উক্ত গাছের জন্য বড়ই উৎকৃষ্ট ভূমি।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা যায়তূনের তেল খাও ও লাগাও, কেননা এটা কল্যাণময় গাছ হতে বের হয়ে থাকে। (মুসতাদারাক হাকিম ২/৩৯৮)
(وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْأَنْعَامِ لَعِبْرَةً)
“এবং তোমাদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয় বিষয় আছে চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে’’ অতঃপর এর কিছু বিবরণ এভাবে দেয়া হয়েছেন
(نُسْقِيْكُمْ مِّمَّا فِيْ بُطُوْنِهَا)
অর্থাৎ এসব জন্তুর পেটে আমি তোমাদের জন্য পাক-সাফ দুধ তৈরি করেছি, যা মানুষের উৎকৃষ্ট খাদ্য। এরপর বলা হয়েছে: শুধু দুধই নয়,
(وَلَكُمْ فِيْهَا مَنَافِعُ كَثِيْرَةٌ)
এসব জন্তুর মধ্যে তোমাদের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। এদের দেহের প্রতিটি অংশ প্রতিটি লোম মানুষের কাজে আসে এবং জন্তুদের পশম, অস্থি, অন্ত্র এবং সমস্ত অংশ দ্বারা মানুষ প্রয়োজনীয় কত যে সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র তৈরি করে, তা গণনা করা কঠিন। এসব উপকার ছাড়া আরো একটি বড় উপকার এই যে, হালাল জন্তুদের মাংসও মানুষের এক প্রকার উৎকৃষ্ট খাদ্য
(وَّمِنْهَا تَأْكُلُوْنَ)
পরিশেষে জন্তু-জানোয়ারের আরো একটি মহা উপকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, তোমরা তাদের পিঠে আরোহণও কর এবং মাল পরিবহনের কাজেও নিযুক্ত কর। এ জন্তুদের সাথে নদীতে চলাচলকারী নৌকাও শরীক আছে। মানুষ নৌকায় আরোহণ করে এবং মালপত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। তাই এর সাথে নৌকার কথাও আলোচনা করে বলা হয়েছেন
(وَعَلَيْهَا وَعَلَي الْفُلْكِ تُحْمَلُوْنَ)
চাকার মাধ্যমে চলে এমন সব যানবাহনও এগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. বৃষ্টি বর্ষণ করা এবং তা দ্বারা জমিন থেকে ফসল উৎপন্ন করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
২. আল্লাহ তা‘আলা ফল-ফলাদি সৃষ্টি করেছেন মানুষের রিযিকের জন্য।
৩. চতুষ্পদ জন্তুর উপকারিতা সম্পর্কে জানা গেল।
৪. যায়তূন বৃক্ষের মর্যাদা সম্পর্কে জানা গেল।
9 Fozlur Rahman
তাদের পিঠে ও নৌযানে তোমাদেরকে বহন করা হয়।
10 Mokhtasar Bangla
২২. স্থলভাগে গৃহপালিত পশু তথা উট এবং সাগরে জাহাজের উপর তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।
11 Tafsir Ibn Kathir
১৮-২২ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা'আলার তো অসংখ্য নিয়ামত রয়েছে, কিন্তু এখানে তিনি তাঁর কতকগুলো বড় বড় নিয়ামতের বর্ণনা দিচ্ছেন। তিনি বলেন যে, তিনি প্রয়োজন অনুপাতে আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকেন। তিনি এতো বেশী বৃষ্টি বর্ষণ করেন না যে, তার ফলে যমীন খারাপ হয়ে যায় এবং শস্য পচে সড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আবার এতো কমও নয় যে, ফল, শস্য ইত্যাদি জন্মেই না। বরং এমন পরিমিতভাবে তিনি বৃষ্টি দিয়ে থাকেন যে, এর ফলে শস্যক্ষেত্র সবুজ-শ্যামল থাকে এবং ফলের বাগান তরুতাজা হয়। পুকুর-পুষ্করিণী, নদ-নদী এবং খাল-বিল পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে নিজেদের পান করা এবং গবাদি পশুগুলোকে পান করানোর কোন অসুবিধা হয় না। যেখানে পানির বেশী প্রয়োজন সেখানে বেশী পানি বর্ষিত হয় এবং যেখানে কম প্রয়োজন সেখানে কম। আর যেখানকার ভূমি এর যোগ্যতাই রাখে না সেখানে পানি মোটেই বর্ষিত হয় না। কিন্তু নদী-নালার সাহায্যে সেখানে পানি পৌছিয়ে দেয়া হয় এবং এভাবে সেখানকার ভূমিকে পরিতৃপ্ত করা হয়। যেমন মিসর অঞ্চলের মাটি, যা নীল নদীর পানিতে পরিতৃপ্ত হয়ে সদা সবুজ-শ্যামল ও সতেজ থাকে। ঐ পানির সাথে লাল মাটি আকর্ষণ করা হয়, যা হাবশা বা আবিসিনিয়া অঞ্চলে থাকে। সেখানকার বৃষ্টির সাথে থাকার মাটি বয়ে চলে আসে যা জমিতে এসে থেকে যায় এবং এর ফলে জমি চাষের উপযোগী হয়ে ওঠে। আসলে কিন্তু তথাকার মাটি লবণাক্ত এবং চাষের মোটেই উপযোগী নয়। আল্লাহ তা'আলার কি মহিমা! সূক্ষ্মদর্শী, সর্বজ্ঞাতা, ক্ষমাশীল ও দয়ালু আল্লাহর কি ক্ষমতা ও নিপুণতা যে, তিনি পানিকে জমিতে স্থির রাখেন এবং জমিকে ঐ পানি শোষণ করার ক্ষমতা দান করেন, যাতে ওটা ওর মধ্যেই বীজকে পানি পৌছিয়ে দিতে পারে।
এরপর তিনি বলেনঃ আমি ঐ পানিকে অপসারিত করতেও সক্ষম অর্থাৎ আমি ইচ্ছা করলে পানি বর্ষণ নাও করতে পারি। আমি ইচ্ছা করলে ঐ পানি কংকরময় ভূমিতে এবং পাহাড়ে ও জঙ্গলে বর্ষাতে পারি। আমি যদি চাই তবে পানিকে তিক্ত ও লবণাক্ত করতে পারি। ফলে তা তোমরা নিজেরাও পান করতে পারবে না, তোমাদের গবাদি পশুকেও পান করাতে পারবে না এবং ঐ পানি দ্বারা ফসল উৎপাদন করতেও সক্ষম হবে না। আর তোমরা ঐ পানিতে গোসলও করতে পারবে না। আমি ইচ্ছা করলে মাটিতে ঐ শক্তি দিবো না যার সাহায্যে সে পানি শোষণ করতে পারে। বরং ঐ পানি মাটির উপরেই ভেসে বেড়াবে। এটাও আমার অধিকারে আছে যে, আমি এ পানি এমন দূর-দূরান্তের বিলে বর্ষিয়ে দিবো যে, তা তোমাদের কোনই কাজে আসবে না, তোমাদের কোনই উপকার হবে না। এটা আমার এক বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ যে, মেঘ হতে আমি সুমিষ্ট, উত্তম, হালকা ও সুস্বাদু পানি বর্ষণ করে থাকি। অতঃপর ওটা জমিতে পৌছিয়ে দিই। ফলে জমিতে ফসল হয় এবং বাগানে পানি বর্ষণের ফলে বাগানের গাছ-পালাগুলো সতেজ হয়। তোমরা নিজেরা এই পানি পান কর, জীব-জন্তুকে পান করাও এবং এই পানিতে গোসল করে দেহ-মন পবিত্র করে থাকো। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।
আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করে বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহ তা'আলা তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করেন। জমি শস্য-শ্যামল হয়ে ওঠে। ফলের বাগান সবুজশ্যামল আকার ধারণ করে। বাগান তখন সুন্দর ও সুদৃশ্য হয় এবং সাথে সাথে খুব উপকারী হয়। মহান আল্লাহ আরববাসীর পছন্দনীয় ফল খেজুর ও আঙ্গুর জন্মিয়ে থাকেন। অনুরূপভাবে প্রত্যেক দেশবাসীর জন্যেই তিনি বিভিন্ন প্রকারের ফলের ব্যবস্থা করে দেন। পুরোপুরিভাবে এগুলোর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ক্ষমতা কারো নেই। বহু ফল আল্লাহ মানুষকে দান করেছেন। যেগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে তারা ওগুলোর স্বাদও গ্রহণ করে থাকে।
এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ যায়তুন গাছের বর্ণনা দিচ্ছেন। ভূরে সীনা হলো ঐ পাহাড় যার উপর আল্লাহ তা'আলা হযরত মূসা (আঃ)-এর সাথে কথা বলেছিলেন এবং ওর আশে পাশের পাহাড়গুলো। দূর ঐ পাহাড়কে বলে যাতে গাছপালা থাকে এবং থাকে সদা সবুজ-শ্যামল। এরূপ না হলে ওকে ‘জাবাল’ বলবে, তূর বলবে না। সুতরাং ভূরে সীনায় যে যায়তুন গাছ জন্মে তার থেকে তেল বের হয় এবং ওটা ভোজনকারীদের জন্যে তরকারীর কাজ দেয়। যেমন হযরত মালিক ইবনে রাবীআ সায়েদী আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা যায়তুনের তেল খাও এবং (শরীরে) লাগাও, কেননা এটা কল্যাণময় গাছ হতে বের হয়ে থাকে। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)
বর্ণিত আছে যে, একবার একজন লোক আশুরা দিবসে হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ)-এর বাড়ীতে অতিথি হন। তিনি তখন তাকে উটের মাথা (এর গোশ্ত) ও যায়তুনের তেল খেতে দেন। অতঃপর তিনি লোকটিকে বলেনঃ “এটা হচ্ছে ঐ বরকতময় গাছের তেল যার বর্ণনা আল্লাহ তা'আলা তাঁর নবী (সঃ)-এর কাছে দিয়েছেন।” (এটা আবুল কাসেম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
এরপর মহান আল্লাহ চতুষ্পদ জন্তুর বর্ণনা দিচ্ছেন এবং ঐগুলোর দ্বারা মানুষ যে উপকার লাভ করে থাকে ঐসব নিয়ামতের কথা উল্লেখ করছেন। তিনি বলেনঃ তোমরা ওগুলোর দুধ পান করে থাকো, গোশ্ত ভক্ষণ কর এবং লোমে বা পশম দ্বারা পোষাক তৈরী করে থাকো। আর তোমরা ওগুলোর উপর ওয়ার হও, ওগুলোর উপর তোমাদের আসবাবপত্র চাপিয়ে দিয়ে দূর-দূরান্তে পৌঁছিয়ে থাকো। যদি এগুলো না থাকতো তবে তোমাদের এসব জিনিসপত্র অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর হতো। সত্যি মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর খুবই দয়ালু ও অনুগ্রহশীল। যেমন তিনি বলেনঃ وَ تَحْمِلُ اَثْقَالَكُمْ اِلٰى بَلَدٍ لَّمْ تَكُوْنُوْا بٰلِغِیْهِ اِلَّا بِشِقِّ الْاَنْفُسِ اِنَّ رَبَّكُمْ لَرَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ অর্থাৎ “এবং ওগুলো তোমাদের ভার বহন করে নিয়ে যায় দূর দেশে যেখানে প্রাণান্ত ক্লেশ ব্যতীত তোমরা পৌছতে পারবে না; তোমাদের প্রতিপালক অবশ্যই দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।” (১৬:৭) অন্যত্র বলেনঃ اَوَ لَمْ یَرَوْا اَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِّمَّا عَمِلَتْ اَیْدِیْنَاۤ اَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مٰلِكُوْنَ ـ وَ ذَلَّلْنٰهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوْبُهُمْ وَ مِنْهَا یَاْكُلُوْنَ ـ وَ لَهُمْ فِیْهَا مَنَافِعُ وَ مَشَارِبُ اَفَلَا یَشْكُرُوْنَ
অর্থাৎ “তারা কি লক্ষ্য করে না যে, নিজ হাতে সৃষ্ট বস্তুগুলোর মধ্য হতে তাদের জন্য আমি সৃষ্টি করেছি চতুষ্পদ জন্তু এবং তারাই এগুলোর অধিকারী? আর আমি এগুলোকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি; এগুলোর কতক তাদের বাহন এবং ওদের কতক তারা আহার করে। তাদের জন্যে এগুলোতে আছে বহু উপকার আর আছে পানীয় বস্তু; তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?” (৩৬:৭১-৭৩)