اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يُسَبِّحُ لَهٗ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَالطَّيْرُ صٰۤفّٰتٍۗ كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهٗ وَتَسْبِيْحَهٗۗ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌۢ بِمَا يَفْعَلُوْنَ ( النور: ٤١ )
Alam tara annal laaha yusabbihu lahoo man fissamaawaati wal ardi wat tairu saaaffaatim kullun qad 'alima Salaatahoo wa tasbeehah; wallaahu 'aleemum bimaa yaf'aloon (an-Nūr ২৪:৪১)
English Sahih:
Do you not see that Allah is exalted by whomever is within the heavens and the earth and [by] the birds with wings spread [in flight]? Each [of them] has known his [means of] prayer and exalting [Him], and Allah is Knowing of what they do. (An-Nur [24] : 41)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তুমি কি দেখ না, তিনি হলেন আল্লাহ, আসমান ও যমীনে যারা আছে সকলেই যাঁর প্রশংসা গীতি উচ্চারণ করে আর (উড়ন্ত) পাখীরাও তাদের ডানা বিস্তার ক’রে? তাদের প্রত্যেকেই তাদের ‘ইবাদাত ও প্রশংসাগীতির পদ্ধতি জানে, তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে খুবই অবগত। (আন-নূর [২৪] : ৪১)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তুমি কি দেখ না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা এবং উড়ন্ত পাখীদল[১] আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? সকলেই তাঁর প্রশংসা এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে।[২] আর ওরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত।[৩]
[১] صَافَّات এর অর্থ بَاسِطات কর্তৃকারক, এর কর্মকারক ঊহ্য আছে, আর তা হল أجنِحتها অর্থাৎ, নিজেদের ডানা মেলে (উড়ন্ত)। 'আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে' এই ব্যাপক কথাতে পাখীদলও শামিল ছিল। কিন্তু এখানে তাদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করার কারণ হল, অন্যান্য সৃষ্টি হতে এদের এক বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যারা আল্লাহর পূর্ণ কুদরতে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থলে উড়ন্ত অবস্থায় আল্লাহর তসবীহ করে থাকে। এরা উড়তে পারে এবং পৃথিবীর উপর চলা-ফেরাও করতে পারে; পক্ষান্তরে অন্যান্য জন্তুরা উড়ার বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত।
[২] অর্থাৎ, আল্লাহ প্রতিটি সৃষ্টিকে এই জ্ঞান দান করেছেন যে, তারা আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কিভাবে করবে? যার অর্থ হল, এটি কোন ভাগ্যচক্রের কথা নয়। বরং আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টির আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করা, নামায পড়া --এসব তাঁরই কুদরতের বহিঃপ্রকাশ। যেমন তাদের সৃষ্টিও তাঁর এক বৈচিত্রময় শিল্প নিপুণতা, যা করার আল্লাহ ছাড়া আর কারো শক্তি নেই।
[৩] অর্থাৎ, পৃথিবী ও আকাশবাসীরা যেভাবে আল্লাহর আদেশ পালন ও তাঁর মহিমা বর্ণনা করে, সব কিছুই তাঁর জ্ঞানায়ত্তে রয়েছে। এ কথা বলে যেন মানব-দানবকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, তোমাদেরকে আল্লাহ বিবেক ও ইচ্ছার স্বাধীনতা দান করেছেন। অতএব আল্লাহর মহিমা, প্রশংসা ও আনুগত্য অন্যান্য সৃষ্টির তুলনায় তোমাদেরকে বেশী করা উচিত। কিন্তু বাস্তব তার বিপরীত। অন্য সৃষ্টিরা আল্লাহর মহিমা-গানে ব্যস্ত থাকে; কিন্তু বিবেক ও ইচ্ছাশক্তি দ্বারা সুশোভিত সৃষ্টি এতে অলসতার শিকার। যার কারণে তারা অবশ্যই আল্লাহর পাকড়াও-যোগ্য।