Skip to main content

وَقَدِمْنَآ اِلٰى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَاۤءً مَّنْثُوْرًا   ( الفرقان: ٢٣ )

waqadim'nā
وَقَدِمْنَآ
And We will proceed
এবং আমরা অগ্রসর হবো (বিবেচনা করবো)
ilā
إِلَىٰ
to
(তার) প্রতি
مَا
whatever
যা
ʿamilū
عَمِلُوا۟
they did
তারা করেছে
min
مِنْ
of
কোন
ʿamalin
عَمَلٍ
(the) deed(s)
কাজ
fajaʿalnāhu
فَجَعَلْنَٰهُ
and We will make them
অতঃপর তা আমরা পরিণত করবো
habāan
هَبَآءً
(as) dust
ধুলিকণায়
manthūran
مَّنثُورًا
dispersed
বিক্ষিপ্ত

Wa qadimnaaa ilaa maa 'amiloo min 'amalin faja'alnaahu habaaa'am mansooraa (al-Furq̈ān ২৫:২৩)

English Sahih:

And We will approach [i.e., regard] what they have done of deeds and make them as dust dispersed. (Al-Furqan [25] : 23)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা (দুনিয়ায়) যে ‘আমাল করেছিল আমি সেদিকে অগ্রসর হব, অতঃপর তাকে বানিয়ে দেব ছড়ানো ছিটানো ধূলিকণা (সদৃশ)। (আল-ফুরকান [২৫] : ২৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি ওদের কৃতকর্মগুলির প্রতি অভিমুখ করে সেগুলিকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণা (স্বরূপ নিষ্ফল) করে দেব। [১]

[১] هباء এমন ধূলিকণাকে বলা হয়, যা শুধু কোন ছিদ্র দিয়ে ঘরের ভিতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করলে দেখা যায়। কিন্তু হাত দিয়ে ধরা যায় না। কাফেরদের আমলও কিয়ামতের দিন ঐ সমস্ত ধূলিকণার মত নগণ্য ও মূল্যহীন হবে। কারণ তা ছিল ঈমান ও ইখলাস হতে খালি ও শরীয়তের বিপরীত। অথচ কোন আমল গৃহীত হওয়ার জন্য দুটি শর্ত জরুরী, ঈমান, ইখলাস ও শরীয়তের নিয়ম মাফিক হওয়া। এখানে কাফেরদের আমলকে যেমন মূল্যহীন ধূলিকণার সাথে তুলনা করা হয়েছে, অনুরূপ অন্যান্য জায়গায় কোথাও ছাই, কোথাও মরীচিকা আবার কোথাও মসৃণ পাথরের মত বলা হয়েছে। উক্ত সকল উদাহরণ পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।

(দেখুনঃ সূরা বাকারাহ ২;২৬৪, সূরা ইবরাহীম ১৪;১৮ ও সূরা নূর ২৪;৩৯ নং আয়াত)