Skip to main content

يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلٰۤىِٕكَةَ لَا بُشْرٰى يَوْمَىِٕذٍ لِّلْمُجْرِمِيْنَ وَيَقُوْلُوْنَ حِجْرًا مَّحْجُوْرًا   ( الفرقان: ٢٢ )

(The) Day
يَوْمَ
যেদিন
they see
يَرَوْنَ
তারা দেখবে
the Angels
ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ
ফেরেশতাদেরকে
no
لَا
না
glad tidings
بُشْرَىٰ
সুসংবাদ (থাকবে)
(will be) that Day
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
for the criminals
لِّلْمُجْرِمِينَ
জন্যে অপরাধীদের
and they will say
وَيَقُولُونَ
এবং তারা বলবে (আছে কি)
"A partition
حِجْرًا
"কোন আড়াল
forbidden"
مَّحْجُورًا
দুর্ভেদ্য"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাবে, অপরাধীদের জন্য সেদিন কোন সুখবর থাকবে না, আর (ফেরেশতাগণ বলবে তোমাদের সুখ-শান্তির পথে আছে) দুর্লঙ্ঘ বাধা।

English Sahih:

The day they see the angels – no good tidings will there be that day for the criminals, and [the angels] will say, "Prevented and inaccessible."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যেদিন তারা ফিরিশতাদের প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন অপরাধীদের জন্য কোন সুসংবাদ থাকবে না[১] এবং ওরা বলবে, ‘রক্ষা কর, রক্ষা কর।’[২]

[১] 'সেদিন' বলতে মৃত্যুর দিনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, এ সব কাফেররা ফিরিশতাদের সাক্ষাৎ কামনা করছে কিন্তু মৃত্যুর সময় এরা ফিরিশতাদেরকে দেখবে, তখন তাদের জন্য কোন খুশী বা আনন্দ হবে না। কারণ ঐ সময় ফিরিশতা তাদেরকে জাহান্নামের আযাবের সতর্কবাণী শোনান এবং বলেন, 'হে খবীস আত্মা! খবীস দেহ হতে বের হয়ে আয়।' যার পর আত্মা দেহের ভিতরে দৌড়তে ও পালাতে থাকে। যার জন্য ফিরিশতা তাকে মারতে থাকেন। যেমন, সূরা আনফাল ৮;৫০নং আয়াতে ও সূরা আনআম ৬;৯৩নং আয়াতে এ কথা রয়েছে। পক্ষান্তরে মৃত্যুর সময় মু'মিনের অবস্থা এরূপ হয় যে, ফিরিশতা তাকে জান্নাত ও তার সুখ-শান্তির সুসংবাদ দেন। যেমন, সূরা হা-মীম সাজদাহ ৪১;৩০-৩২নং আয়াতে এসেছে। আর হাদীসেও এসেছে যে, ফিরিশতা মু'মিনের রূহকে সম্বোধন করে বলেন, 'হে পবিত্র রূহ! পবিত্র দেহ থেকে বেরিয়ে এসো এবং এমন জায়গায় চলো, যেখানে আল্লাহর নিয়ামত ও তাঁর সন্তুষ্টি রয়েছে।' বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন। (মুসনাদে আহমাদ ২ খন্ড ৩৬৪-৩৬৫ পৃঃ, ইবনে মাজাহ যুহদ অধ্যায়, মরণকে স্মরণ পরিচ্ছেদ) কেউ কেউ বলেন এখানে 'সেদিন' বলতে কিয়ামতের দিনকে বুঝানো হয়েছে। ইমাম ইবনে কাসীর (রহঃ) বলেন, উভয় উক্তিই সঠিক। কারণ ঐ দু'টি দিন এমন, যেদিন ফিরিশতা মু'মিন ও কাফেরদের সামনে আসবেন এবং মু'মিনদেরকে আল্লাহর দয়া ও সন্তুষ্টির সুসংবাদ দেবেন, আর কাফেরদেরকে ধ্বংস ও অসফলতার খবর দেবেন।

[২] উক্ত কথা কাফেররা বলবে। অন্য ব্যাখ্যায় ফিরিশতারা বলবেন, (তোমাদের জন্য) বঞ্চনা আর বঞ্চনা। حجر শব্দের আসল অর্থ হল মানা (নিষেধ) করা বাধা দেওয়া। যেমন, কাযী কাউকে নির্বোধ বা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কারণে তার মাল ব্যবহার করতে বাধা দিলে বলা হয়, حجر القاضى على فلان (কাযী অমুককে তার মাল ব্যবহার করতে বাধা দিয়েছেন)। এই অর্থেই কা'বাগৃহের 'হাত্বীম' নামক (ঘেরা) সেই জায়গাকেও 'হিজর' বলা হয়, যে জায়গাকে কুরাইশরা কা'বাগৃহের মধ্যে শামিল করেনি। সেই কারণে তাওয়াফকারীদের জন্য উক্ত জায়গার ভিতরে ঢুকে তাওয়াফ করা নিষেধ। তওয়াফ করার সময় ওর বাইরে থেকে যাওয়া আসা করতে হবে, যাকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে আলাদা রাখা হয়েছে। মানুষের বুদ্ধিকেও 'হিজর' বলা হয়। কারণ বুদ্ধিও মানুষকে এমন কাজে বাধা দেয়, যা করা তার জন্য উচিত নয়। অর্থ এই যে, ফিরিশতা কাফেরদেরকে বলে যে, তোমরা ঐ সমস্ত জিনিস হতে বঞ্চিত যার সুসংবাদ পরহেযগারদের দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এটি حراما محرما عليكم অর্থে ব্যবহার হয়েছে। আজ জান্নাতুল ফিরদাউস ও তার নিয়ামতসমূহ তোমাদের জন্য হারাম। এর যোগ্য একমাত্র মু'মিন ও পরহেযগার বান্দারা।