Skip to main content

فَكَذَّبُوْهُ فَاَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ ۗاِنَّهٗ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ   ( الشعراء: ١٨٩ )

But they denied him
فَكَذَّبُوهُ
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করলো
so seized them
فَأَخَذَهُمْ
তখন ধরলো তাদেরকে
(the) punishment
عَذَابُ
শাস্তি
(of the) day
يَوْمِ
দিনের
(of) the shadow
ٱلظُّلَّةِۚ
(ছায়াওয়ালা) মেঘাচ্ছন্ন
Indeed it
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই তা
was
كَانَ
ছিলো
(the) punishment
عَذَابَ
শাস্তি
(of) a Day
يَوْمٍ
দিনের
Great
عَظِيمٍ
ভয়াবহ

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কিন্তু তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করল। ফলে তাদেরকে এক মেঘাচ্ছন্ন দিবসের শাস্তি পাকড়াও করল। তা ছিল এক মহা দিবসের ‘আযাব।

English Sahih:

And they denied him, so the punishment of the day of the black cloud seized them. Indeed, it was the punishment of a terrible day.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অতঃপর ওরা তাকে মিথ্যাজ্ঞান করল, পরে ওদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিনের শাস্তি গ্রাস করল।[১] নিশ্চয় তা ছিল এক ভীষণ দিনের শাস্তি।

[১] তারাও মক্কার কাফেরদের মত আকাশ হতে আযাব চেয়েছিল। সেই মত আল্লাহও তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করেন। আর তা ছিল এইরূপঃ এক বর্ণনা সূত্রে মহান আল্লাহ আযাবস্বরূপ তাদের উপর সাত দিন পর্যন্ত কঠিন গরম এবং রৌদ্র অব্যাহত রাখেন। তারপর একটি মেঘখন্ড ভেসে এল। আর তারা গরম রৌদ্র থেকে বাঁচার জন্য সকলেই সেই ছায়াতলে জমা হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল। কিন্তু পরক্ষণেই আকাশ হতে আগুনের বৃষ্টি শুরু হল। যমীন ভূকম্পনে কেঁপে উঠল এবং এক বিকট শব্দ এসে তাদেরকে চিরনিদ্রায় শুইয়ে দিল। এভাবে তাদের উপর তিন ধরনের আযাব আসল। আর তা সেই দিন আসল, যেদিন মেঘখন্ড তাদেরকে ছায়া দ্বারা আচ্ছাদিত করেছিল। সেই জন্য বলা হয়েছে মেঘাচ্ছন্ন বা ছায়ার দিনের আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল।

নোটঃ ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) বলেছেন, মহান আল্লাহ শুআইব (আঃ)-এর জাতির ধ্বংসের বিবরণ তিন জায়গায় উল্লেখ করেছেন এবং তিন জায়গাতেই ভিন্ন ভিন্ন তিন আযাবের কথার বর্ণনা করেছেন। সূরা আ'রাফের ৭;৯১ নং আয়াতে ভূমিকম্পের কথা, সূরা হূদের ১১;৯৪ নং আয়াতে বিকট শব্দের কথা আর এখানে সূরা শুআরাতেও আকাশখন্ড ফেলার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, তিন ধরনের আযাব ঐ জাতির উপর এসেছিল।