كَذٰلِكَۚ وَاَوْرَثْنٰهَا بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ ۗ ( الشعراء: ٥٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এভাবেই ঘটেছিল, আমি বানী ইসরাঈলকে এসব কিছুর উত্তরাধিকারী করে দিয়েছিলাম।
English Sahih:
Thus. And We caused to inherit it the Children of Israel.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এরূপই ঘটল এবং বনী-ইস্রাঈলকে এ সমুদয়ের অধিকারী করলাম। [১]
[১] অর্থাৎ, যে ক্ষমতা ও রাজত্ব ফিরআউন অর্জন করেছিল, তা তার কাছ হতে ছিনিয়ে নিয়ে বনী-ইস্রাঈলকে দিয়ে দিলেন। কেউ কেউ বলেন যে, এর অর্থ এই যে, মিসরের মত রাজ্য ও পার্থিব সুখ বনী-ইস্রাঈলকে (অন্যত্র) দান করলাম। কারণ বনী-ইস্রাঈল মিসর হতে বের হয়ে যাওয়ার পর তারা দ্বিতীয়বার মিসরে ফিরে আসেনি। তাছাড়া সূরা দুখানে (৪৪;২৮ নং আয়াতে) বলা হয়েছে, {كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ} অর্থাৎ, অন্য জাতিকে আমি তার উত্তরাধিকারী বানালাম। (আইসারুততাফসীর) প্রথমোক্ত বিদ্বানগণ বলেন যে, قومًا آخَرين এর মধ্যে قوم শব্দটি যদিও ব্যাপক, কিন্তু এখানে সূরা শুআরাতে বনী-ইস্রাঈলকে উত্তরাধিকারী করার কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। অতএব মিসরের উত্তরাধিকারী বনী-ইস্রাঈল জাতিই হবে। কিন্তু খোদ কুরআনের স্পষ্ট বর্ণনা অনুযায়ী বুঝা যায় যে, বনী-ইস্রাঈলদের মিসর হতে বের হওয়ার পর তাদেরকে পবিত্র ভূমিতে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। আর তাদের অস্বীকার করার কারণে চল্লিশ বছর তাদেরকে তীহ ময়দানে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল। তারপর তারা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করেছিল। সুতরাং মূসা (আঃ)-এর কবর মি'রাজের হাদীস অনুসারে বায়তুল মাকদিসের নিকটই রয়েছে। এই কারণে এর সঠিক অর্থ এই যে, যেমন দুনিয়ার ভোগ-সামগ্রী মিসরে ফিরআউনদের ছিল, অনুরূপ ভোগ-সামগ্রী বনী-ইস্রাঈলকেও দান করা হয়েছিল। কিন্তু তা মিসরে নয়; বরং প্যালেস্টাইনে।