حَتّٰىٓ اِذَآ اَتَوْا عَلٰى وَادِ النَّمْلِۙ قَالَتْ نَمْلَةٌ يّٰٓاَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوْا مَسٰكِنَكُمْۚ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمٰنُ وَجُنُوْدُهٗۙ وَهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ ( النمل: ١٨ )
hattaaa izaaa ataw 'alaa waadin namli qaalat namlatuny yaaa aiyuhan namlud khuloo masaakinakum laa yahtimannakum Sulaimaanu wa junooduhoo wa hum laa yash'uroon (an-Naml ২৭:১৮)
English Sahih:
Until, when they came upon the valley of the ants, an ant said, "O ants, enter your dwellings that you not be crushed by Solomon and his soldiers while they perceive not." (An-Naml [27] : 18)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যখন তারা পিপীলিকার উপত্যকায় আসল তখন একটি পিপীলিকা বলল- ‘ওহে পিঁপড়ার দল! তোমাদের বাসস্থানে ঢুকে পড়, যাতে সুলাইমান ও তার সৈন্যবাহিনী তাদের অগোচরে তোমাদেরকে পদপিষ্ট ক’রে না ফেলে। (নমল [২৭] : ১৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যখন ওরা পিপীলিকা অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছল, তখন এক পিপীলিকা বলল, ‘হে পিপীলিকাদল! তোমরা তোমাদের বাসায় প্রবেশ কর, নচেৎ সুলাইমান এবং তার বাহিনী তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পদতলে পিষে ফেলবে।’ [১]
[১] এখান হতে জানা গেল যে, জীব-জন্তুরও এক বিশেষ বুঝশক্তি আছে, যা মানুষের থেকে অনেক কম ও ভিন্নতর। দ্বিতীয়তঃ সুলাইমান (আঃ) এত মহত্ত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও গায়বের খবর জানতেন না। সেই জন্যই তো পিপীলিকার এই ভয় হল যে, তাঁদের অজান্তে আমরা যেন তাঁদের পদপিষ্ট না হয়ে পড়ি। তৃতীয়তঃ জীব-জন্তুরাও এই শুদ্ধ আকীদায় বিশ্বাসী যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ গায়েব জানেন না। চতুর্থতঃ সুলাইমান (আঃ) পাখী ছাড়া অন্য জীবের ভাষাও বুঝতেন। এই জ্ঞান মহান আল্লাহ মু'জিযাস্বরূপ তাঁকে প্রদান করেছিলেন। যেমন জীনদের তাঁর অধীনস্থ করে দেওয়াও ছিল এক মু'জিযা।