وَيَوْمَ يُنْفَخُ فِى الصُّوْرِ فَفَزِعَ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَمَنْ فِى الْاَرْضِ اِلَّا مَنْ شَاۤءَ اللّٰهُ ۗوَكُلٌّ اَتَوْهُ دَاخِرِيْنَ ( النمل: ٨٧ )
Wa Yawma yunfakhu fis Soori fafazi'a man fis samaawaati wa man fil ardi illaa man shaaa'al laah; wa kullun atawhu daakhireen (an-Naml ২৭:৮৭)
English Sahih:
And [warn of] the Day the Horn will be blown, and whoever is in the heavens and whoever is on the earth will be terrified except whom Allah wills. And all will come to Him humbled. (An-Naml [27] : 87)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর যে দিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন যারা আকাশে আছে আর যারা যমীনে আছে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ যাদের জন্য ইচ্ছে করবেন তারা বাদে। সবাই তাঁর কাছে আসবে বিনয়ে অবনত হয়ে। (নমল [২৭] : ৮৭)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যে দিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে সেদিন আল্লাহ যাদের ভীতিগ্রস্ত করতে চাইবেন না তারা ব্যতীত[১] আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সকলেই ভীতবিহব্বল হয়ে পড়বে[২] এবং সকলেই তাঁর নিকট লাঞ্ছিত অবস্থায় উপস্থিত হবে।
[১] এখানে যাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁরা কারা? কেউ কেউ বলেন, তাঁরা নবী ও শহীদগণ। কেউ বলেন, ফিরিশতাগণ। আবার কেউ বলেন, সকল মু'মিনগণ। ইমাম শাওকানী (রঃ) বলেন, হতে পারে এখানে উল্লিখিত সকলেই শামিল। কারণ সত্যিকার ঈমানদারগণ ভয় হতে সুরক্ষিত থাকবে। (যেমন, এর বর্ণনা পরে আসছে)
[২] صُور (সূর) বলতে ঐ শিঙ্গাকে বুঝানো হয়েছে, যাতে ইস্রাফীল (আঃ) আল্লাহর আদেশক্রমে ফুৎকার দেবেন। আর এই ফুৎকার দুই বা তার অধিক হবে। প্রথম ফুৎকারে পৃথিবীর সকল জীব ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। দ্বিতীয় ফুৎকারে সবাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। আর তৃতীয় ফুৎকারে সমস্ত মানুষ কবর হতে উঠে পড়বে। কেউ কেউ বলেন, চতুর্থবার ফুৎকার দেওয়া হবে, যাতে সবাই হাশরের মাঠে জমা হয়ে যাবে। এখানে কোন্ ফুৎকারের কথা বলা হয়েছে? ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) বলেন, প্রথম ফুৎকার এবং ইমাম শাওকানী (রঃ) বলেন, তৃতীয় ফুৎকারের কথা; যখন মানুষ কবর হতে উঠবে।