وَكَاَيِّنْ مِّنْ دَاۤبَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَاۖ اللّٰهُ يَرْزُقُهَا وَاِيَّاكُمْ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ( العنكبوت: ٦٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এমন অনেক জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মজুদ রাখে না, আল্লাহই তাদেরকে রিযক দান করেন আর তোমাদেরকেও। তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।
English Sahih:
And how many a creature carries not its [own] provision. Allah provides for it and for you. And He is the Hearing, the Knowing.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এমন বহু জীব-জন্তু আছে[১] যারা নিজেদের রুযী বহন করে না; [২] আল্লাহই ওদেরকে এবং তোমাদেরকে রুযী দান করেন।[৩] আর তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।[৪]
[১] كأين শব্দটিতে কাফ (তাশবীহ) সাদৃশ্য বর্ণনার জন্য। এখানে এর অর্থ হল কতক বা অনেক।
[২] কারণ, উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাই তাদের নেই, অনুরূপ তারা সঞ্চয় করে রাখতেও পারে না। উদ্দেশ্য হল, রুযী কোন নির্দিষ্ট স্থানে বিশেষভাবে রাখা হয়নি; বরং আল্লাহর রুযী তার সৃষ্টির জন্য ব্যাপক। তাতে সে যেই হোক আর যেখানেই থাক। বরং আল্লাহ তাআলা হিজরতকারী (মুহাজির) সাহাবায়ে কেরামকে পূর্বের চেয়ে অধিক প্রশস্ত ও পবিত্র রুযী প্রদান করেছিলেন। এ ছাড়া অতি অল্প দিন পরেই তাঁদেরকে আরবের বিভিন্ন এলাকার গভর্নর বানিয়ে দিয়েছিলেন। (رضي الله عنهم أجمعين)
[৩] অর্থাৎ, কেউ অক্ষম হোক বা সক্ষম, (রুযী অর্জনের) অসীলা ও উপকরণ প্রাপ্ত হোক অথবা না হোক, স্বদেশে থাক অথবা মুহাজির অবস্থায় বিদেশে, সকলের রুযীর ব্যবস্থাপক সেই আল্লাহ, যিনি পিপীলিকাকে ভূমির বিভিন্ন প্রান্তে, পাখিকে হাওয়াতে ও মাছ ও অন্যান্য জলচর জীব-জন্তুকে সমুদ্রের গভীরে রুযী পৌঁছান। এখানে উদ্দেশ্য হল, দরিদ্রতার ভয় যেন হিজরত করাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। কারণ আল্লাহ তাআলা তোমাদের এবং সকল সৃষ্টিকুলের রুযীর দায়িত্ব নিয়েছেন।
[৪] তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম এবং বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক সব কিছু জ্ঞাত আছেন। সুতরাং শুধু তাঁকেই ভয় কর এবং তিনি ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করো না। তাঁরই আনুগত্যে সুখ ও পরিপূর্ণতা আছে এবং তাঁর অবাধ্যতায় আছে দুঃখ ও দুর্দশা।