Skip to main content

وَاِذْ غَدَوْتَ مِنْ اَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِيْنَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ ۗ وَاللّٰهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌۙ  ( آل عمران: ١٢١ )

wa-idh
وَإِذْ
And when
এবং (স্মরণ কর) যখন
ghadawta
غَدَوْتَ
you left early morning
তুমি সকালে বের হয়েছিলে
min
مِنْ
from
হতে
ahlika
أَهْلِكَ
your household
তোমার পরিবার
tubawwi-u
تُبَوِّئُ
to post
মোতায়েন করছিলে
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
the believers
ঈমানদারদেরকে
maqāʿida
مَقَٰعِدَ
(to take) positions
ঘাঁটিসমূহে
lil'qitāli
لِلْقِتَالِۗ
for the battle
লড়াইয়ের জন্য
wal-lahu
وَٱللَّهُ
And Allah
এবং আল্লাহ
samīʿun
سَمِيعٌ
(is) All-Hearing
সবকিছু শুনেন
ʿalīmun
عَلِيمٌ
All-Knowing
সব কিছু জানেন

Wa iz ghadawta min ahlika tubawwi'ul mu'mineena maqaa'ida lilqitaal; wallaahu samee'un 'aleem (ʾĀl ʿImrān ৩:১২১)

English Sahih:

And [remember] when you, [O Muhammad], left your family in the morning to post the believers at their stations for the battle [of Uhud] – and Allah is Hearing and Knowing – (Ali 'Imran [3] : 121)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(স্মরণ কর) যখন তুমি সকাল বেলায় তোমার পরিজন হতে বের হয়ে মু’মিনদেরকে যুদ্ধের জন্য জায়গায় জায়গায় মোতায়েন করছিলে, আল্লাহ সবকিছুই শুনেন, সবকিছুই জানেন।। (আল ইমরান [৩] : ১২১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

(স্মরণ কর) যখন (উহুদ) যুদ্ধের[১] জন্য বিশ্বাসীদেরকে যথাস্থানে সংস্থাপিত করার লক্ষ্যে তুমি তোমার পরিজনবর্গের নিকট থেকে প্রত্যূষে বের হয়েছিলে; এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

[১] বেশীরভাগ মুফাসসেরদের মতানুযায়ী এটা হল উহুদ যুদ্ধের ঘটনা, যা ৬ই শাওয়াল হিজরী ৩য় সনে সংঘটিত হয়েছিল। এর সংক্ষিপ্ত প্রেক্ষাপট হল, হিজরী ২য় সনে বদরের যুদ্ধে কাফেররা শিক্ষামূলক পরাজয় বরণ করে, তাদের ৭০জন লোক মারা যায় এবং ৭০জন বন্দী হয়। আর এই পরাজয় ছিল তাদের জন্য বড়ই লাঞ্ছনাকর ও অপমানজনক। তাই তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অতীব শক্তিশালী এক প্রতিশোধমূলক যুদ্ধের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করে এবং এতে তাদের মহিলারাও শরীক হয়। এদিকে মুসলিমরা যখন জানতে পারলেন যে, তিন হাজার কাফের উহুদ পাহাড়ের নিকটে যুদ্ধের তাঁবু খাটিয়েছে, তখন নবী করীম (সাঃ) সাহাবাদের নিয়ে এ ব্যাপারে পরামর্শ করলেন যে, তাঁরা মদীনার ভিতরে থেকেই যুদ্ধ করবেন, না মদীনার বাইরে গিয়ে তাদের সাথে লড়বেন। কোন কোন সাহাবী ভিতর থেকেই যুদ্ধ করার পরামর্শ দিলেন এবং মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইও এই মত প্রকাশ করেছিল। কিন্তু উদ্দীপনায় উদ্বুদ্ধ কিছু সাহাবী যাঁরা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি, তাঁরা মদীনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করার কথা সমর্থন করলেন। মহানবী (সাঃ) হুজরার ভিতরে গিয়ে যুদ্ধের পোশাক পরে বাইরে এলেন। তা দেখে দ্বিতীয় মত প্রকাশকারীগণ অনুতপ্ত হলেন। তাঁরা ভাবলেন, হয়তো আমরা নবী করীম (সাঃ)-এর ইচ্ছার বিপরীত তাঁকে মদীনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করতে বাধ্য করে সঠিক কাজ করিনি। তাই তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনি শহরের ভিতরে থেকে মোকাবেলা করা পছন্দ করে থাকেন, তবে তা-ই করুন! তিনি বললেন, যুদ্ধের পোশাক পরে নেওয়ার পর কোন নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি আল্লাহর ফয়সালা ব্যতিরেকে ফিরে যাবেন অথবা পোশাক খুলে ফেলবেন। সুতরাং এক হাজার মুসলিম যোদ্ধা যুদ্ধের জন্য রওনা হয়ে গেলেন। অতি সকালে যখন তাঁরা 'শাউত্ব' নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এই বলে তার ৩ শ' জন সাথীকে নিয়ে ফিরে গেল যে, তার মত গ্রহণ করা হয়নি। সুতরাং অকারণে জান দিয়ে লাভ কি? তার এই ফায়সালায় সাময়িকভাবে কোন কোন মুসলিম প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তাঁদের অন্তর দুর্বল হয়ে পড়েছিল। (ইবনের কাষীর)