Skip to main content

اِنْ تَمْسَسْكُمْ حَسَنَةٌ تَسُؤْهُمْۖ وَاِنْ تُصِبْكُمْ سَيِّئَةٌ يَّفْرَحُوْا بِهَا ۗ وَاِنْ تَصْبِرُوْا وَتَتَّقُوْا لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْـًٔا ۗ اِنَّ اللّٰهَ بِمَا يَعْمَلُوْنَ مُحِيْطٌ ࣖ  ( آل عمران: ١٢٠ )

If
إِن
যদি
touches you
تَمْسَسْكُمْ
তোমাদেরকে স্পর্শ করে
a good
حَسَنَةٌ
কোন কল্যাণ
it grieves them
تَسُؤْهُمْ
খারাপ লাগে তাদের
and if
وَإِن
আর যদি
strikes you
تُصِبْكُمْ
তোমাদের পৌঁছে
misfortune
سَيِّئَةٌ
কোন অকল্যাণ
they rejoice
يَفْرَحُوا۟
তারা আনন্দ করে
at it
بِهَاۖ
তাতে
And if
وَإِن
এবং যদি
you are patient
تَصْبِرُوا۟
তোমরা সবর কর
and fear (Allah)
وَتَتَّقُوا۟
ও তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর
not
لَا
না
will harm you
يَضُرُّكُمْ
তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে
their plot
كَيْدُهُمْ
তাদের চক্রান্ত
(in) anything
شَيْـًٔاۗ
কিছুমাত্রই
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ
of what
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
they do
يَعْمَلُونَ
তারা কাজ করছে
(is) All-Encompassing
مُحِيطٌ
বেষ্টন করে আছেন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যদি তোমাদের কল্যাণ হয়, তা তাদেরকে দুঃখ দেয়, আর যদি তোমাদের অকল্যাণ হয়, তাতে তারা আনন্দিত হয়, যদি তোমরা ধৈর্যশীল হও এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে তাদের চক্রান্ত তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না, নিশ্চয় তারা যা কিছু করছে, আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে আছেন।

English Sahih:

If good touches you, it distresses them; but if harm strikes you, they rejoice at it. And if you are patient and fear Allah, their plot will not harm you at all. Indeed, Allah is encompassing of what they do.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যদি তোমাদের কোন মঙ্গল হয়, তাহলে তারা নাখোশ হয়, আর তোমাদের অমঙ্গল হলে তারা খোশ হয়।[১] যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং সাবধান হয়ে চল, তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। [২] তারা যা করে, নিশ্চয় তা আল্লাহর জ্ঞানায়ত্তে।

[১] মুনাফিকরা মু'মিনদের সাথে যে কঠোর শত্রুতা পোষণ করত, সে কথা এখানে তুলে ধরে বলা হচ্ছে যে, যখন মুসলিমরা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করত, আল্লাহর পক্ষ হতে যখন তারা সমর্থন ও সাহায্য পেত এবং তাদের সংখ্যা ও শক্তি বৃদ্ধি লাভ করত, তখন মুনাফিকদেরকে বড়ই খারাপ লাগত। আর যখন মুসলিমরা অনাবৃষ্টি ও সংকীর্ণতার শিকার হত অথবা আল্লাহর ইচ্ছা ও কৌশলের ভিত্তিতে শত্রু সাময়িকভাবে তাদের উপর জয়লাভ করত (যেমন উহুদ যুদ্ধে হয়েছিল), তখন এরা বড়ই খুশী হত। বলার উদ্দেশ্য হল, যাদের অবস্থা হল এই, তারা কি এই যোগ্যতার অধিকারী যে, মুসলিমরা তাদের প্রতি সম্প্রীতির হাত বাড়াবে এবং তাদেরকে রহস্যবিদ্ ও অন্তরঙ্গ বন্ধু বানিয়ে নেবে? এই কারণেই মহান আল্লাহ ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের সাথেও বন্ধুত্ব স্থাপন করতে নিষেধ করেছেন (যেমন কুরআনের অন্যত্র এসেছে)। কেননা, তারাও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ করে। মুসলিমদের সফলতায় তারা নিরানন্দ এবং তাদের অসফলতায় তারা আনন্দ বোধ করে।

[২] এটা হল তাদের প্রবঞ্চনা ও প্রতারণা থেকে বাঁচার পথ ও চিকিৎসা। অর্থাৎ, মুনাফিক এবং ইসলাম ও মুসলিমদের অন্যান্য সকল শক্রর চক্রান্ত থেকে বাঁচার জন্য ধৈর্য ও আল্লাহভীরুতার প্রয়োজন অত্যধিক। মুসলিমদের মাঝে এই ধৈর্য ও তাকওয়া না থাকার ফলেই অমুসলিমদের যাবতীয় চক্রান্ত সাফল্যমন্ডিত হয়েছে। মানুষ মনে করে যে, কাফেরদের সফলতার কারণ হল, আর্থিক উপায়-উপকরণের প্রাচুর্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যায় তাদের উন্নতি। অথচ প্রকৃত ব্যাপার হল, মুসলিমদের অবনতির মূল কারণ তাদের দ্বীনের উপর ধৈর্যের সাথে প্রতিষ্ঠিত না থাকা এবং তাকওয়া-শূন্যতা। পক্ষান্তরে এই দু'টি জিনিসই হল মুসলিমদের উন্নতির চাবিকাঠি এবং আল্লাহর বিজয় লাভের অসীলা।