لَيْسَ لَكَ مِنَ الْاَمْرِ شَيْءٌ اَوْ يَتُوْبَ عَلَيْهِمْ اَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَاِنَّهُمْ ظٰلِمُوْنَ ( آل عمران: ١٢٨ )
Laisa laka minal amrishai'un aw yatooba 'alaihim aw yu'az zi bahum fa innahum zaalimoon (ʾĀl ʿImrān ৩:১২৮)
English Sahih:
Not for you, [O Muhammad, but for Allah], is the decision whether He should [cut them down] or forgive them or punish them, for indeed, they are wrongdoers. (Ali 'Imran [3] : 128)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন- এ ব্যাপারে তোমার কিছু করার নেই। কেননা তারা হচ্ছে যালিম। (আল ইমরান [৩] : ১২৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নেই,[১] তিনি (আল্লাহ) তাদের তওবা কবুল করবেন[২] অথবা শাস্তি প্রদান করবেন। কারণ, তারা অত্যাচারী।
[১] অর্থাৎ, এই কাফেরদেরকে হেদায়াত দেওয়া অথবা তাদের ব্যাপারে যে কোন প্রকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সব কিছুই আল্লাহর এখতিয়ারাধীন। বহু হাদীসে এসেছে যে, উহুদ যুদ্ধে নবী করীম (সাঃ)-এর দাঁত শহীদ এবং মুখমন্ডল আহত হলে তিনি বলেছিলেন, "এমন জাতি কিভাবে সফল হতে পারে, যারা তাদের নবীকে আহত করে।" তিনি যেন তাদের হেদায়াত থেকে নিরাশা প্রকাশ করেন। যার ফলে এই আয়াত অবতীর্ণ হল। অনুরূপ অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি (সাঃ) কাফেরদের উপর বদ্দুআ করার জন্য ক্বুনুতে নাযেলার যত্ন নিলে মহান আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। অতঃপর তিনি (সাঃ) বদ্দুআ করা বাদ দেন। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর) এই আয়াত থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত, যারা নবী করীম (সাঃ)-কে ইচ্ছাময় ক্ষমতার মালিক মনে করে। তাঁর তো এতটুকু এখতিয়ারও ছিল না যে, কাউকে সঠিক পথের পথিক করে দেন। অথচ তিনি (সাঃ) এই পথের দিকে আহবান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছিলেন।
[২] এই সেই গোত্র যাদের উপর রসূল (সাঃ) বদ্দুআ করেছিলেন তারা সকলেই আল্লাহর তাওফীকে মুসলমান হয়ে যায়। অতএব এ কথা পরিষ্কার যে, সমস্ত ক্ষমতার মালিক এবং অদৃশ্য জগতের (গায়বী) জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ।