Skip to main content

مِنْ قَبْلُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَاَنْزَلَ الْفُرْقَانَ ەۗ اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيٰتِ اللّٰهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ ۗوَاللّٰهُ عَزِيْزٌ ذُو انْتِقَامٍۗ  ( آل عمران: ٤ )

From
مِن
থেকে
before (this)
قَبْلُ
ইতিপূর্ব
(as) guidance
هُدًى
সঠিকপথ (হিসেবে)
for the mankind
لِّلنَّاسِ
মানুষের জন্য
And (He) revealed
وَأَنزَلَ
এবং তিনি অবতীর্ণ করেছেন
the Criterion
ٱلْفُرْقَانَۗ
ফুরকান(ন্যায়-অন্যায়ের মীমাংসা)
Verily
إِنَّ
নিশ্চয়ই
those who
ٱلَّذِينَ
যারা
disbelieve[d]
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
in (the) Verses
بِـَٔايَٰتِ
নিদর্শনগুলোর প্রতি
(of) Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
for them
لَهُمْ
তাদের জন্য
(is) a punishment
عَذَابٌ
শাস্তি (রয়েছে)
severe
شَدِيدٌۗ
কঠিন
And Allah
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
(is) All-Mighty
عَزِيزٌ
পরাক্রমশালী
All-Able
ذُو
(একটি)
(of) retribution
ٱنتِقَامٍ
প্রতিশোধ ক্ষমতা সম্পন্ন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ইতোপূর্বে মানবজাতির পথ প্রদর্শনের জন্য; আর তিনি সেই মানদন্ড নাযিল করেছেন যা হাক্ব ও বাতিলের পার্থক্য দেখিয়ে দেয়; নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর আয়াতের সাথে কুফুরী করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, দন্ডদাতা।

English Sahih:

Before, as guidance for the people. And He revealed the Criterion [i.e., the Quran]. Indeed, those who disbelieve in the verses of Allah will have a severe punishment, and Allah is Exalted in Might, the Owner of Retribution.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

পূর্বে তিনি মানবজাতিকে সৎপথ প্রদর্শনের জন্য[১] তাওরাত ও ইঞ্জীল অবতীর্ণ করেছেন এবং তিনি ফুরক্বান (ন্যায়-অন্যায়ের মীমাংসাকারী; কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। [২] নিশ্চয় যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অমান্য করে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। বস্তুতঃ আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

[১] ইতিপূর্বে নবীদের উপর যে কিতাবসমূহ নাযিল হয়েছে, এই কিতাব সেগুলোর সত্যায়ন করে। অর্থাৎ, সে কিতাবগুলোতে যে কথাগুলো লিপিবদ্ধ ছিল, তার সত্যায়ন করে এবং তাতে যে সব ভবিষ্যদ্বাণী বর্ণিত হয়েছে, তা সত্য বলে স্বীকার করে। আর এর পরিষ্কার অর্থ হল, কুরআন কারীমও সেই সত্তার পক্ষ হতে অবতীর্ণ, যে সত্তা পূর্বেও বহু কিতাব নাযিল করেছেন। এটা যদি কোন অন্য পক্ষ হতে আসত অথবা মানুষের চেষ্টার ফল হত, তাহলে এর এবং উক্ত কিতাবগুলোর মধ্যে পারস্পরিক মিল থাকার পরিবর্তে অমিলই থাকত।

[২] অর্থাৎ, অবশ্যই তাওরাত এবং ইঞ্জীল সব সব সময়ে মানুষের হিদায়াতের উৎস ছিল। কারণ এগুলোর অবতীর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল এটাই। এরপর 'তিনি ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন' বলে এ কথা পরিষ্কার করে দিলেন যে, তাওরাত ও ইঞ্জীলের যামানা শেষ হয়ে গেছে। এখন তো কুরআন অবতীর্ণ হয়ে গেছে। আর কুরআনই হল ফুরকান এবং সত্য ও মিথ্যা জানার এটাই হল কষ্টিপাথর। এটাকে সত্য বলে বিশ্বাস না করলে আল্লাহর নিকট কেউ মুসলিম ও মু'মিন হতে পারবে না।