Skip to main content

وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ مِّنْ شُرَكَاۤىِٕهِمْ شُفَعٰۤؤُا وَكَانُوْا بِشُرَكَاۤىِٕهِمْ كٰفِرِيْنَ  ( الروم: ١٣ )

And not
وَلَمْ
এবং না
will be
يَكُن
হবে
for them
لَّهُم
জন্যে তাদের
among
مِّن
মধ্য থেকে (কেউ)
theirs partners
شُرَكَآئِهِمْ
শরিকদের তাদের
any intercessors
شُفَعَٰٓؤُا۟
সুপারিশকারী
and they will be
وَكَانُوا۟
এবং তারা হবে
in their partners
بِشُرَكَآئِهِمْ
প্রতি শরিকদের তাদের(বানানো)
disbelievers
كَٰفِرِينَ
অস্বীকারকারী

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যাদেরকে শরীক গণ্য করত তাদের মধ্যে কেউ তাদের জন্য সুপারিশকারী সাজবে না এবং তারা তাদের শরীকদেরকে অস্বীকার করবে।

English Sahih:

And there will not be for them among their [alleged] partners any intercessors, and they will [then] be disbelievers in their partners.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ওদের শরীক (উপাস্য)গুলি ওদের জন্য সুপারিশ করবে না[১] এবং ওরা ওদের শরীক (উপাস্য)গুলিকে অস্বীকার করবে। [২]

[১] শরীক বলতে ঐ সকল বাতিল উপাস্যসমূহকে বুঝানো হয়েছে, মুশরিকরা যাদের এই ভেবে ইবাদত করত যে, তারা আল্লাহর নিকট তাদের জন্য সুপারিশ করবে এবং তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচিয়ে নেবে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে, আল্লাহর সাথে অংশীস্থাপনকারীদের জন্য আল্লাহর নিকট কোন সুপারিশকারী হবে না।

[২] অর্থাৎ, সেখানে (কিয়ামতের দিন) ওরা তাদের উপাস্যত্বকে অস্বীকার করবে। কারণ, ওরা বুঝতে পারবে যে, (ওদের বাতিল উপাস্য) কারো কোন উপকার করতে পারবে না। (ফাতহুল ক্বাদীর) এর দ্বিতীয় অর্থ হল, ওদের উক্ত উপাস্যগুলো এই কথা অস্বীকার করবে যে, ওরা তাদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করে তাদের ইবাদত করেছিল। কারণ, এই সকল উপাস্য তো ওদের ইবাদত থেকেই বেখবর ছিল।