Skip to main content

ضَرَبَ لَكُمْ مَّثَلًا مِّنْ اَنْفُسِكُمْۗ هَلْ لَّكُمْ مِّنْ مَّا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ مِّنْ شُرَكَاۤءَ فِيْ مَا رَزَقْنٰكُمْ فَاَنْتُمْ فِيْهِ سَوَاۤءٌ تَخَافُوْنَهُمْ كَخِيْفَتِكُمْ اَنْفُسَكُمْۗ كَذٰلِكَ نُفَصِّلُ الْاٰيٰتِ لِقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ  ( الروم: ٢٨ )

He sets forth
ضَرَبَ
পেশ করেন (আল্লাহ)
to you
لَكُم
জন্যে তোমাদের
an example
مَّثَلًا
একটি দৃষ্টান্ত
from
مِّنْ
মধ্য হ'তে
yourselves
أَنفُسِكُمْۖ
নিজেদের তোমাদের
Is
هَل
(আছে) কি
for you
لَّكُم
জন্যে তোমাদের
among
مِّن
মধ্য হ'তে
what
مَّا
যাকে
posses
مَلَكَتْ
মালিক করেছে
your right hands
أَيْمَٰنُكُم
ডানহাত তোমাদের (অর্থাৎ তোমাদের দাসদাসী)
any
مِّن
কিছু (সংখ্যক)
partners
شُرَكَآءَ
অংশীদার
in
فِى
মধ্যে
what
مَا
(তার) যা
We have provided you
رَزَقْنَٰكُمْ
আমরা জীবিকা দিয়েছি তোমাদেরকে
so you
فَأَنتُمْ
অতঃপর তোমরা
in it
فِيهِ
মধ্যে তার
(are) equal
سَوَآءٌ
সমান (অংশীদারিত্বে)
you fear them
تَخَافُونَهُمْ
তোমরা ভয় করবে তাদেরকে (কি?)
as you fear
كَخِيفَتِكُمْ
যেমন ভয় তোমাদের
yourselves?
أَنفُسَكُمْۚ
নিজেদের তোমাদের (সমান লোকদের ক্ষেত্রে)
Thus
كَذَٰلِكَ
এরূপে
We explain
نُفَصِّلُ
আমরা বর্ণনা করি বিশদভাবে
the Verses
ٱلْءَايَٰتِ
নিদর্শনাবলী
for a people
لِقَوْمٍ
জন্যে সম্প্রদায়ের
(who) use reason
يَعْقِلُونَ
(যারা) বুদ্ধি কাজে লাগায়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই একটা দৃষ্টান্ত পেশ করছেনঃ আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাতে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসদাসীরা কি অংশীদার যার ফলে তাতে তোমরা সমান? তোমরা কি তাদেরকে তেমনভাবে ভয় কর যেমন ভয় কর তোমাদের নিজেদের পরস্পরকে? এভাবে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষদের জন্য আমি নিদর্শনাবলী বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করি।

English Sahih:

He presents to you an example from yourselves. Do you have among those whom your right hands possess [i.e., slaves] any partners in what We have provided for you so that you are equal therein [and] would fear them as your fear of one another [within a partnership]? Thus do We detail the verses for a people who use reason.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য হতে দৃষ্টান্ত উপস্থিত করছেনঃ তোমাদেরকে আমি যে রুযী দিয়েছি, তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীগণ কি তাতে অংশীদার? যাতে ওরা তোমাদের সমান হতে পারে[১] এবং তোমরা তোমাদের সমকক্ষদের যেরূপ ভয় কর, তোমরা কি ওদের সেরূপ ভয় কর?[২] এভাবেই আমি বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের নিকট নিদর্শনাবলী বিবৃত করি।[৩]

[১] অর্থাৎ, যখন তোমাদের গোলাম-চাকর তোমাদের মতই মানুষ, অথচ তোমরা তাদেরকে তোমাদের ধন-সম্পদে নিজেদের শরীক ও সমান করতে অপছন্দ কর, তখন আল্লাহর কোন বান্দা; ফিরিশতা, পয়গম্বর, ওলী, নেক ব্যক্তি অথবা বৃক্ষ ও পাথরের তৈরি উপাস্য ইত্যাদি কিভাবে আল্লাহর সমকক্ষ ও শরীক হতে পারে। অথচ এ সকল বস্তু আল্লাহর সৃষ্টি এবং তাঁরই দাস বা গোলাম। অর্থাৎ, যেমন (তোমাদের বিচারেই) প্রথম বিষয়টি হয় না, অনুরূপ দ্বিতীয় বিষয়টিও হতে পারে না। অতএব আল্লাহর ইবাদতে অন্যকে শরীক করা এবং তাকেও বিপদ দূরকারী, প্রয়োজন পূরণকারী ভাবা নেহাতই ভ্রষ্টতা।

[২] তোমরা কি নিজেদের অধীনস্থ দাসকে সেরূপ ভয় কর যেরূপ স্বাধীন ব্যক্তিরা এক অপরকে ভয় করে থাকে? অর্থাৎ, যেমন শরীকানার ব্যবসা-বাণিজ্য বা সম্পত্তি ইত্যাদি থেকে খরচ করতে দ্বিতীয় শরীকের জিজ্ঞাসাবাদের আশঙ্কা করে থাক অনুরূপ তোমরা কি আপন দাস থেকে সেই ভয় করে থাক? অর্থাৎ, ভয় কর না। কারণ, তোমরা তাদেরকে তোমাদের ধন-সম্পদে শরীক করে নিজেদের সমমর্যাদা দিতেই চাইবে না, তবে তাদের ব্যাপারে আর ভয় কিসের?

[৩] কারণ, তারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে অবতীর্ণকৃত আয়াত ও সৃষ্টিজগতের নিদর্শনাবলী দ্বারা উপকৃত হয়। আর যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, তওহীদের মত সাফ ও পরিষ্কার বিষয়ও তাদের জন্য বোঝা অসম্ভব।