Skip to main content

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللّٰهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللّٰهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللّٰهَ كَثِيْرًاۗ  ( الأحزاب: ٢١ )

laqad
لَّقَدْ
Certainly
নিশ্চয়ই
kāna
كَانَ
is
রয়েছে
lakum
لَكُمْ
for you
তোমাদের জন্যে
فِى
in
মধ্যে
rasūli
رَسُولِ
(the) Messenger
রাসূলের
l-lahi
ٱللَّهِ
(of) Allah
আল্লাহর
us'watun
أُسْوَةٌ
an excellent example
আদর্শ
ḥasanatun
حَسَنَةٌ
an excellent example
উত্তম
liman
لِّمَن
for (one) who
(তার) জন্যে যে
kāna
كَانَ
has
হলো
yarjū
يَرْجُوا۟
hope
আশা রাখে
l-laha
ٱللَّهَ
(in) Allah
আল্লাহর
wal-yawma
وَٱلْيَوْمَ
and the Day
ও দিনের
l-ākhira
ٱلْءَاخِرَ
the Last
শেষ
wadhakara
وَذَكَرَ
and remembers
এবং স্মরণ করে
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহকে
kathīran
كَثِيرًا
much
অধিক

Laqad kaana lakum fee Rasoolil laahi uswatun hasanatul liman kaana yarjul laaha wal yawmal Aakhira wa azkaral laaha kaseeraa (al-ʾAḥzāb ৩৩:২১)

English Sahih:

There has certainly been for you in the Messenger of Allah an excellent pattern for anyone whose hope is in Allah and the Last Day and [who] remembers Allah often. (Al-Ahzab [33] : 21)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। (আল আহযাব [৩৩] : ২১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে[১] তাদের জন্য রাসূলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। [২]

[১] অর্থাৎ হে মুসলিমগণ এবং হে মুনাফিকদল! তোমাদের জন্য রসূল (সাঃ)-এর ব্যক্তিত্বে উত্তম আদর্শ রয়েছে, অতএব তোমরা জিহাদে এবং ধৈর্যশীলতা ও পদদৃঢ়তায় তাঁরই অনুসরণ কর। মহানবী (সাঃ) ক্ষুধার্ত থেকে জিহাদ করেছেন; এমনকি তাঁকে পেটে পাথর বাঁধতে হয়েছে। তাঁর চেহারা মুবারক যখম হয়েছে, তাঁর দাঁত ভেঙ্গে গেছে, তিনি নিজ হাতে পরিখা খনন করেছেন এবং প্রায় এক মাস শত্রু বাহিনীর অবরোধের মুখে সাহসিকতার সাথে মুকাবেলা করেছেন। উক্ত আয়াত যদিও আহযাব যুদ্ধের সময় অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে যুদ্ধের সময় বিশেষভাবে রসূল (সাঃ)-এর আদর্শকে সামনে রাখা ও তাঁর অনুসরণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি একটি ব্যাপক আদেশ। অর্থাৎ নবী (সাঃ)-এর সকল কথা, কাজ ও অবস্থাতে মুসলিমের জন্য তাঁর অনুসরণ আবশ্যিক; তা ইবাদত সম্পর্কিত হোক বা সমাজ সম্পর্কিত, জীবিকা সম্পর্কিত হোক বা রাজনীতি সম্পর্কিত, জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁরই নির্দেশ পালন করা একান্ত কর্তব্য। (ومَآاََتَكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ) সূরা হাশরের ৫৯;৭ নং আয়াত এবং (اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ) সূরা আলে ইমরানের ৩;৩১ নং আয়াতের দাবীও তাই।

[২] এই আয়াতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, রসূল (সাঃ)-এর আদর্শে ঐ ব্যক্তি আদর্শবান হবে, যে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে বিশ্বাসী এবং যে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমান উক্ত দুই গুণ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে তাদের অন্তরে রসূল (সাঃ)-এর আদর্শের কোন গুরুত্ব নেই। এদের মধ্যে যারা দ্বীনদার তাদের আদর্শ হল পীর ও বুযুর্গরা। আর যারা দুনিয়াদার বা রাজনৈতিক তাদের আদর্শ ও পথপ্রদর্শক হল পাশ্চাত্যের নেতারা। রসূল (সাঃ)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার কথা এরা মুখে খুব দাবী করে, কিন্তু কার্যতঃ তাঁকে নিজেদের আদর্শ, নেতা ও পথপ্রদর্শক মানার ব্যাপারে অধিকাংশই পিছনে। সুতরাং এ বিচার আল্লাহই করবেন।