Skip to main content

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللّٰهُ وَرَسُوْلُهٗٓ اَمْرًا اَنْ يَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ ۗوَمَنْ يَّعْصِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِيْنًاۗ   ( الأحزاب: ٣٦ )

And not
وَمَا
এবং নেই
(it) is
كَانَ
অধিকার
for a believing man
لِمُؤْمِنٍ
কোন মু'মিন পুরুষের জন্যে
and not
وَلَا
আর না
(for) a believing woman
مُؤْمِنَةٍ
মু'মিন নারীর (জন্যে)
when
إِذَا
যখন
Allah has decided
قَضَى
সিদ্ধান্ত দেন
Allah has decided
ٱللَّهُ
আল্লাহ
and His Messenger
وَرَسُولُهُۥٓ
ও রাসূল তাঁর
a matter
أَمْرًا
কোনো বিষয়ের
that
أَن
যে
(there) should be
يَكُونَ
থাকবে
for them
لَهُمُ
জন্যে তাদের
(any) choice
ٱلْخِيَرَةُ
স্বাধীন ইচ্ছা
about
مِنْ
কোনো
their affair
أَمْرِهِمْۗ
(সে) বিষয়ের তাদের
And whoever
وَمَن
এবং যে
disobeys
يَعْصِ
অমান্য করবে
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
and His Messenger
وَرَسُولَهُۥ
ও রাসূলকে তাঁর
certainly
فَقَدْ
তবে নিশ্চয়ই
he (has) strayed
ضَلَّ
সে পথভ্রষ্ট হবে
(into) error
ضَلَٰلًا
পথভ্রষ্টতা
clear
مُّبِينًا
সুস্পষ্ট

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারী উক্ত নির্দেশের ভিন্নতা করার কোন অধিকার রাখে না। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে সে স্পষ্টতই সত্য পথ হতে দুরে সরে পড়ল।

English Sahih:

It is not for a believing man or a believing woman, when Allah and His Messenger have decided a matter, that they should [thereafter] have any choice about their affair. And whoever disobeys Allah and His Messenger has certainly strayed into clear error.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন বিশ্বাসী পুরুষ কিংবা বিশ্বাসী নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না।[১] কেউ আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের অবাধ্য হলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।

[১] এই আয়াতটি যয়নাব (রাঃ) -এর বিবাহের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। যায়েদ বিন হারেসা (রাঃ) যদিও তিনি প্রকৃত পক্ষে আরবী ছিলেন, কিন্তু কেউ তাঁকে শৈশবকালে জোর করে ধরে দাস হিসাবে বিক্রি করে দিয়েছিল। নবী (সাঃ)-এর সাথে খাদীজা (রাঃ) -র বিবাহের পর খাদীজা (রাঃ) তাঁকে রসূল (সাঃ)-কে দান করে দেন। তিনি তাঁকে মুক্ত করে আপন পোষ্যপুত্র বানিয়ে নিয়েছিলেন। একদা নবী (সাঃ) তাঁর বিবাহের জন্য আপন ফুফাতো বোন যয়নাব (রাঃ) -কে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। যাতে তাঁর ও তাঁর ভায়ের বংশ-মর্যাদার ফলে মনে চিন্তা হল যে, যায়েদ (রাঃ) একজন মুক্ত দাস এবং আমাদের সম্পর্ক এক উচ্চ বংশের সাথে। (সুতরাং এ প্রস্তাব কিভাবে গ্রহণ করা যায়?) এই চিন্তা-ভাবনার ফলে উক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। যার উদ্দেশ্য হল যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ফায়সালার পর কোন মু'মিন পুরুষ ও নারীর এ এখতিয়ার ও অধিকার নেই যে, সে নিজের ইচ্ছামত চলবে। বরং তার জন্য অপরিহার্য যে, সে মাথা নত করে তা মেনে নেবে। সুতরাং এ আয়াত শ্রবণ করার পর যয়নাব ও অন্যান্যরা নিজেদের অসম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়ে সম্মত হয়ে যান। অতঃপর বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।