Skip to main content

۞ يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ اَنْتُمُ الْفُقَرَاۤءُ اِلَى اللّٰهِ ۚوَاللّٰهُ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ   ( فاطر: ١٥ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O
হে
l-nāsu
ٱلنَّاسُ
mankind!
মানব সম্প্রদায়
antumu
أَنتُمُ
You
তোমরা
l-fuqarāu
ٱلْفُقَرَآءُ
(are) those in need
মুখাপেক্ষী
ilā
إِلَى
of
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِۖ
Allah
আল্লাহর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
while Allah
কিন্তু আল্লাহ (এমন যে)
huwa
هُوَ
He
তিনিই
l-ghaniyu
ٱلْغَنِىُّ
(is) Free of need
অভাবমুক্ত
l-ḥamīdu
ٱلْحَمِيدُ
the Praiseworthy
প্রশংসিত

Yaaa ayyunhan naasu antumul fuqaraaa'u ilallaahi wallaahu Huwal Ghaniyyul Hameed (Fāṭir ৩৫:১৫)

English Sahih:

O mankind, you are those in need of Allah, while Allah is the Free of need, the Praiseworthy. (Fatir [35] : 15)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে মানুষ! তোমরাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী, আর আল্লাহ তিনি তো অভাবহীন, প্রশংসিত। (ফাতির [৩৫] : ১৫)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে মানুষ! তোমরা তো আল্লাহর মুখাপেক্ষী,[১] কিন্তু আল্লাহ; তিনিই অভাবমুক্ত,[২] প্রশংসার্হ। [৩]

[১]ناس (মানুষ) শব্দটি সাধারণ অর্থে ব্যবহার হয়েছে, যাতে সাধারণ ও বিশেষ ব্যক্তি; এমনকি আম্বিয়া ও স্বালেহীন সকলকে বোঝানো হয়েছে। সকলেই আল্লাহর মুখাপেক্ষী; কিন্তু আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন।

[২] তিনি এমন অমুখাপেক্ষী ও অভাবমুক্ত যে, যদি সকল মানুষ তাঁর অবাধ্য হয়ে যায়, তাহলে তাঁর রাজত্বে বিন্দুমাত্র হ্রাস পাবে না। আর যদি সকলে তাঁর অনুগত হয়ে যায়, তাহলে তাঁর শক্তিতে কোন বৃদ্ধি হবে না। বরং অবাধ্যতা করাতে মানুষের নিজেরই ক্ষতি এবং ইবাদত ও আনুগত্য করাতে মানুষের নিজেরই উপকার সাধন হয়।

[৩] অর্থাৎ, তিনি আপন নিয়ামতের কারণে প্রশংসার্হ। সুতরাং তিনি বান্দাগণকে যে সকল নিয়ামত প্রদান করেছেন তার ফলে তিনি প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার অধিকারী।