আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, তিনি যা কিছু ইচ্ছা করেন তা হয়েই যায়। আর যা তিনি ইচ্ছা করেন না তা কখনো হয় না। যখন তিনি কাউকেও কিছু দেন তখন তা কেউ বন্ধ করতে পারে না। আর যাকে তিনি দেন না তাকে কেউ দিতে পারে না। ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ (সঃ) সদা নিম্নের কালেমাগুলো পাঠ করতেনঃ
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدِّ
অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই, রাজ্য-রাজত্ব ও প্রশংসা তারই এবং তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আপনি যা দেন তা কেউ রোধ বা বন্ধ করতে পারে না এবং আপনি যা দেন না কেউ দিতে পারে না। আর ধনবানকে ধন আপনা হতে কোন উপকার পৌঁছাতে পারে না।”
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বাজে কথা বলতে, বেশী প্রশ্ন করতে এবং টাকা অপচয় করতে নিষেধ করতেন। তিনি মেয়েদেরকে জীবন্ত পুঁতে ফেলতে, মাতাদের অবাধ্যাচরণ করতে, নিজে গ্রহণ করা ও অন্যকে না দেয়া ইত্যাদি কাজগুলো হতে নিষেধ করেছেন। (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে হযরত মুগীরা ইবনে শু’বা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে এবং ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) এটা তাখরীজ করেছেন)
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) রুকূ' হতে মাথা উঠাবার পর سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ বলতেন এবং তারপর নিম্নলিখিত কালেমাগুলো বলতেনঃ
اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ، مِلْءَ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ـ اَللّٰهُمَّ اَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ اَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ ـ اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
অর্থাৎ “হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্যেই প্রশংসা আকাশপূর্ণ, যমীনপূর্ণ এবং এর পরে আপনি যা চান সবকিছু পূর্ণ। হে আল্লাহ! আপনি প্রশংসা ও মর্যাদা বিশিষ্ট। বান্দা যা বলে আপনি তার হকদার। আমাদের প্রত্যেকেই আপনার বান্দা। হে আল্লাহ! আপনি যা দেন তা কেউ বন্ধ করতে পারে না এবং যা দেন না কেউ দিতে পারে না এবং ধনীকে তার ধন আপনা (আপনার শাস্তি) হতে কোন উপকার পৌছাতে পারে না।” (এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে) এ আয়াত আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার নিম্নের আয়াতের মতঃ
وَ اِنْ یَّمْسَسْكَ اللّٰهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهٗۤ اِلَّا هُوَ وَ اِنْ یُّرِدْكَ بِخَیْرٍ فَلَا رَآدَّ لِفَضْلِهٖ
অর্থাৎ “যদি আল্লাহ্ তোমাকে কোন কষ্ট ও বিপদে আবদ্ধ করে ফেলেন তবে তিনি ছাড়া কেউ তা উন্মুক্তকারী নেই, আর যদি তিনি তোমার প্রতি কল্যাণের ইচ্ছা করেন তবে কেউ তার অনুগ্রহকে নিবারণ করতে পারে না।” (১০:১০৭)
ইমাম মালিক (রঃ) বলেন যে, যখন বৃষ্টি বর্ষিত হতো তখন হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলতেনঃ “আমাদের উপর فَتْح -এর তারকা হতে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। অতঃপর তিনি مَايَفْتَحُ اللهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ-এই আয়াতটি পাঠ করতেন। (ইবনে আবি হাতিম (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন)