جَنّٰتُ عَدْنٍ يَّدْخُلُوْنَهَا يُحَلَّوْنَ فِيْهَا مِنْ اَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَّلُؤْلُؤًا ۚوَلِبَاسُهُمْ فِيْهَا حَرِيْرٌ ( فاطر: ٣٣ )
jannaatu 'adniny yad khuloonahaa yuhallawna feeha min asaawira min zahabinw wa lu'lu'anw wa libaa suhum feehaa hareer (Fāṭir ৩৫:৩৩)
English Sahih:
[For them are] gardens of perpetual residence which they will enter. They will be adorned therein with bracelets of gold and pearls, and their garments therein will be silk. (Fatir [35] : 33)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
স্থায়ী জান্নাতে তারা প্রবেশ করবে। যেখানে তাদেরকে স্বর্ণ ও মুক্তার কঙ্কণে অলঙ্কৃত করা হবে। যেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের। (ফাতির [৩৫] : ৩৩)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তারা প্রবেশ করবে স্থায়ী জান্নাতে,[১] যেখানে তাদের স্বর্ণ নির্মিত কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। [২]
[১] অনেকে বলেন, শুধু সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। কুরআনের পূর্বাপর বাগধারার দাবী অনুযায়ী তিন দলই জান্নাতী হবে। তবে একথা স্বতন্ত্র যে সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিগণ বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং মধ্যপন্থী ব্যক্তিগণ সহজ ও সরল হিসাবের পর এবং নিজের প্রতি অত্যাচারিগণ সুপারিশ অথবা শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ কথাই হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হয়। মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়্যাহ বলেন, 'এই উম্মত হচ্ছে উম্মাতে মারহূমাহ (করুণার পাত্র), যালেম বা গুনাহগারদেরকে ক্ষমা করা হবে, মধ্যপন্থীরা আল্লাহর নিকট জান্নাতে থাকবে এবং সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে।' (ইবনে কাসীর)
[২] মহানবী (সাঃ) বলেছেন, "রেশম ও দীবাজ (এক প্রকার মোটা রেশম) পৃথিবীতে পরিধান করো না। কারণ, যে তা পৃথিবীতে পরিধান করবে, সে তা আখেরাতে পরিধান করতে পাবে না।" (বুখারী -মুসলিম)