وَبٰرَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلٰٓى اِسْحٰقَۗ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَّظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ مُبِيْنٌ ࣖ ( الصافات: ١١٣ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর আমি বরকত দিলাম তাকে আর ইসহাককে; (তাদের দু’জনের) বংশধরদের কতক সৎকর্মশীল, আর কতক নিজেদের প্রতি সুস্পষ্ট যুলুমকারী।
English Sahih:
And We blessed him and Isaac. But among their descendants is the doer of good and the clearly unjust to himself [i.e., sinner].
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তাকে এবং ইসহাককে আমি সমৃদ্ধি দান করেছিলাম;[১] তাদের উভয়ের বংশধরদের মধ্যে কিছু সৎকর্মপরায়ণ এবং কিছু নিজেদের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারী। [২]
[১] অর্থাৎ, তাঁদের উভয়ের বংশ বিস্তার করেছিলাম। অধিকাংশ আম্বিয়া ও রসূলদের আগমন তাঁদের বংশ থেকেই ঘটেছে। ইসহাক (আঃ)-এর পুত্র ইয়াকুব (আঃ) ছিলেন, যাঁর বারটি সন্তান থেকে বানী ইস্রাঈলের বারটি গোত্র সৃষ্টি হয়েছিল এবং তাঁদের বংশ থেকেই বানী ইস্রাঈল জাতি বিস্তার লাভ করে এবং অধিকাংশ আম্বিয়া তাঁদের মধ্য থেকেই আগমন করেন। ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বিতীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ) থেকে আরবদের বংশ বিস্তার হয় এবং তাদের মধ্য হতে শেষ পয়গম্বর মুহাম্মাদ (সাঃ) জন্মগ্রহণ করেন।
[২] তারা শিরক, পাপাচার, অত্যাচার ও ফাসাদ করে। ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধরে বরকত থাকা সত্ত্বেও এখানে তাদের মধ্যে সৎকর্মপরায়ণ ও অত্যাচারী বলে ইঙ্গিত করে দিয়েছেন যে, মর্যাদাসম্পন্ন বাপদাদা ও বংশের সম্পর্ক আল্লাহর নিকট কোন মূল্য রাখে না। সেখানে শুধু ঈমান ও নেক আমলের গুরুত্ব আছে। ইয়াহুদী ও নাসারাগণ যদিও ইসহাক (আঃ)-এর সন্তান, অনুরূপ আরবের মুশরিকরা ইসমাঈল (আঃ)-এর সন্তান, কিন্তু তাদের আমল যেহেতু স্পষ্ট ভ্রষ্টতা বা শিরক ও অবাধ্যতার উপর ছিল, সেহেতু উক্ত উচ্চ বংশ-মর্যাদা তাদের আমলের পরিবর্ত হতে পারে না।