فَالْتَقَمَهُ الْحُوْتُ وَهُوَ مُلِيْمٌ ( الصافات: ١٤٢ )
Faltaqamahul hootu wa huwa muleem (aṣ-Ṣāffāt ৩৭:১৪২)
English Sahih:
Then the fish swallowed him, while he was blameworthy. (As-Saffat [37] : 142)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
পরে একটা বড় মাছে তাকে গিলে ফেলল, সে কাজ করেছিল ধিক্কারযোগ্য। (আস-সাফফাত [৩৭] : ১৪২)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
পরে (তাকে নৌকা হতে সমুদ্রে ঠেলে দেওয়া হলে) এক বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলল, তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগল। [১]
[১] ইউনুস (আঃ)-কে ইরাকের নীনাওয়া (বর্তমান মাওসেল) নামক শহরে নবী করে প্রেরণ করা হয়েছিল। এখানে আশুরীদের শাসন ছিল, যারা এক লক্ষ বানী ইস্রাঈলকে বন্দী করে রেখেছিল, সুতরাং তাদের হিদায়াত ও পথপ্রদর্শনের জন্য আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট ইউনুস (আঃ)-কে প্রেরণ করলেন। কিন্তু তারা তাঁর উপর ঈমান আনল না। শেষে তিনি নিজ সম্প্রদায়কে এই বলে ভীতিপ্রদর্শন করলেন যে, তোমরা অতি সত্বর আল্লাহর শাস্তির সম্মুখীন হবে। শাস্তি আসতে বিলম্ব দেখে তিনি আল্লাহর অনুমতি ছাড়াই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং সমুদ্রে গিয়ে এক নৌকায় সওয়ার হন। নিজের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়াকে এমন শব্দে ব্যবহার করা হয়েছে, যেন একজন দাস তার মনিব থেকে পালিয়ে যায়। কারণ তিনিও আল্লাহর অনুমতি ছাড়াই নিজ সম্প্রদায়কে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। যাত্রী ও মাল-সামানে নৌকা পরিপূর্ণ ছিল। নৌকা সমুদ্রের ঢেউয়ের মাঝে পড়ে যায় ও দাঁড়িয়ে যায়। সুতরাং তার ভার কম করার জন্য এক ব্যক্তিকে নৌকা থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে নৌকার অন্য সব যাত্রীরা বেঁচে যায়। কিন্তু এই কুরবানী দেওয়ার জন্য কেউ তৈরী ছিল না, যার জন্য লটারী করতে হয়। সে লটারীতে ইউনুস (আঃ)-এর নাম আসে এবং তিনি অসহায়দের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান; অর্থাৎ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পালিয়ে যাওয়া দাসের মত নিজেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করতে হয়। এদিকে আল্লাহ তাআলা তিমি মাছকে আদেশ করেন যে, তাঁকে যেন পূর্ণ গিলে ফেলে। এই ভাবে ইউনুস (আঃ) আল্লাহর আদেশে মাছের পেটে চলে যান।