فَاِذَا سَوَّيْتُهٗ وَنَفَخْتُ فِيْهِ مِنْ رُّوْحِيْ فَقَعُوْا لَهٗ سٰجِدِيْنَ ( ص: ٧٢ )
Fa-iza sawwaituhoo wa nafakhtu feehi mir roohee faqa'oo lahoo saajideen (Ṣād ৩৮:৭২)
English Sahih:
So when I have proportioned him and breathed into him of My [created] soul, then fall down to him in prostration." (Sad [38] : 72)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি যখন তাকে সঠিকভাবে বানিয়ে ফেলব আর তার ভিতরে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সামনে সাজদাহয় পড়ে যাবে। (ছোয়াদ [৩৮] : ৭২)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
সুতরাং যখন আমি ওকে সুঠাম করব[১] এবং ওতে আমার রূহ (জীবন)[২] সঞ্চার করব তখন তোমরা ওর প্রতি সিজদার জন্য লুটিয়ে পড়ো।’ [৩]
[১] অর্থাৎ, তাকে মানুষের রূপ দিয়ে দেব এবং তাকে পূর্ণাঙ্গ ও সৌষ্ঠবসম্পন্ন করে দেব।
[২] অর্থাৎ, সেই রূহ বা প্রাণ, যার মালিক একমাত্র আমিই। আমি ছাড়া যার ব্যাপারে কেউ কোন এখতিয়ার রাখে না এবং যা ফুঁকে দিলেই এই মাটির কলেবর জীবন, নড়া-চড়ার ক্ষমতা ও দৈহিক শক্তি অর্জন করবে। মানুষের সম্মান ও মর্যাদার জন্য এ কথাই যথেষ্ট যে, তাতে সেই রূহ ফুঁকা হয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা 'আমার রূহ' বলে আখ্যায়িত করেছেন।
[৩] এখানে যে সিজদার কথা বলা হয়েছে তা অভিনন্দন-জ্ঞাপক বা সম্মানসূচক (তা'যীমী) সিজদা ছিল, ইবাদতের সিজদা নয়। এরূপ সম্মানসূচক সিজদা করা পূর্বে বৈধ ছিল, যার জন্য আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাদের আদম (আঃ)-কে সিজদা করার আদেশ দেন। বর্তমানে ইসলামী শরীয়তে কাউকে সম্মানসূচক সিজদা করা বৈধ নয়। হাদীসে পাওয়া যায়, নবী (সাঃ) বলেছেন, "যদি কাউকে সিজদা করা বৈধ হত, তবে আমি নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে।"
(তিরমিযী, মিশকাত ৩২৫৫নং)