Skip to main content

اَلَا لِلّٰهِ الدِّيْنُ الْخَالِصُ ۗوَالَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖٓ اَوْلِيَاۤءَۘ مَا نَعْبُدُهُمْ اِلَّا لِيُقَرِّبُوْنَآ اِلَى اللّٰهِ زُلْفٰىۗ اِنَّ اللّٰهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِيْ مَا هُمْ فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ ەۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِيْ مَنْ هُوَ كٰذِبٌ كَفَّارٌ  ( الزمر: ٣ )

alā
أَلَا
Unquestionably
জেনে রাখো
lillahi
لِلَّهِ
for Allah
আল্লাহরই জন্যে
l-dīnu
ٱلدِّينُ
(is) the religion
আনুগত্য
l-khāliṣu
ٱلْخَالِصُۚ
the pure
একনিষ্ঠ
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
And those who
এবং যারা
ittakhadhū
ٱتَّخَذُوا۟
take
গ্রহণ করেছো
min
مِن
besides Him
ছাড়া
dūnihi
دُونِهِۦٓ
besides Him
তাঁকে
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
protectors
অভিভাবকরূপে (অন্যদেরকে)
مَا
"Not
"(এবং বলে) না
naʿbuduhum
نَعْبُدُهُمْ
we worship them
তাদের আমরা পূজা করি
illā
إِلَّا
except
এ ব্যতীত
liyuqarribūnā
لِيُقَرِّبُونَآ
that they may bring us near
যেন আমাদের নিকটে করে দেয়
ilā
إِلَى
to
দিকে
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহর
zul'fā
زُلْفَىٰٓ
(in) position"
(তাঁর) কাছাকাছি"
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
yaḥkumu
يَحْكُمُ
will judge
মীমাংসা করে দিবেন
baynahum
بَيْنَهُمْ
between them
তাদের মাঝে
فِى
in
মধ্যে
مَا
what
(ঐ বিষয়ে) যা
hum
هُمْ
they
তারা
fīhi
فِيهِ
[in it]
যাতে
yakhtalifūna
يَخْتَلِفُونَۗ
differ
মতভেদ করছে
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
لَا
(does) not
না
yahdī
يَهْدِى
guide
সৎপথে পরিচালনা করেন
man
مَنْ
(one) who
তাকে
huwa
هُوَ
[he]
যে
kādhibun
كَٰذِبٌ
(is) a liar
মিথ্যাবাদী
kaffārun
كَفَّارٌ
and a disbeliever
কট্টর কাফির

Alaa lillaahid deenul khaalis; wallazeenat takhazoo min dooniheee awliyaaa'a maa na'buduhum illaa liyuqar riboonaaa ilal laahi zulfaa; innal laaha yahkumu baina hum fee maa hum feehi yakhtalifoon; innal laaha laa yahdee man huwa kaazibun kaffaar (az-Zumar ৩৯:৩)

English Sahih:

Unquestionably, for Allah is the pure religion. And those who take protectors besides Him [say], "We only worship them that they may bring us nearer to Allah in position." Indeed, Allah will judge between them concerning that over which they differ. Indeed, Allah does not guide he who is a liar and [confirmed] disbeliever. (Az-Zumar [39] : 3)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

জেনে রেখ, খালেস দ্বীন কেবল আল্লাহরই জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে তারা বলে- আমরা তাদের ‘ইবাদাত একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দেবে। (সত্য পথ থেকে সরে গিয়ে মিথ্যে পথ ও মতের জন্ম দিয়ে) তারা যে মতভেদ করছে, আল্লাহ তার চূড়ান্ত ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যেবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না। (আল-যুমার [৩৯] : ৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

জেনে রাখ, খাঁটি আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য।[১] যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা বলে, ‘আমরা এদের পূজা এ জন্যই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দেবে।’[২] ওরা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে, আল্লাহ তার ফায়সালা করে দেবেন।[৩] নিশ্চয় আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না, যে মিথ্যাবাদী অবিশ্বাসী। [৪]

[১] এটা সেই খালেস ইবাদতের তাকীদ যার আদেশ পূর্বের আয়াতে দেওয়া হয়েছে, আর তা হল ইবাদত ও আনুগত্য একমাত্র এক আল্লাহর জন্যই শোভনীয়, তাঁর ইবাদতে কাউকে অংশীদার করা যাবে না এবং তিনি ব্যতীত অন্য কেউ এর যোগ্যও নয়। তবে রসূল (সাঃ)-এরও আনুগত্য করতে হবে, কারণ রাসূলের আনুগত্য প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই আনুগত্য; অন্য কারোর নয়। এ কথা আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন। এর পরেও ইবাদতের ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য নয়। কারণ ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কোন বড় থেকে বড় রসূলেরও করা বৈধ নয়; সাধারণ মানুষের, যাদেরকে মানুষ নিজের ইচ্ছামত আল্লাহর আসনে বসিয়ে রেখেছে, তারা তো দূরের কথা। (مَا أَنْزَلَ اللهُ بِهَا مِنْ سُلْطَان) 'আল্লাহর পক্ষ থেকে এর কোন প্রমাণ নেই।'

[২] এখান হতে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, মক্কার মুশরিকরা আল্লাহ তাআলাকেই স্রষ্টা, রুযীদাতা এবং বিশ্বজাহানের নিয়ন্ত্রণকারী বলে বিশ্বাস করত। অথচ তারা অন্যের ইবাদত কেন করত? এর উত্তর তারা এই বলে দিত, যা কুরআন পাক এখানে বর্ণনা করেছে। তা হল 'সম্ভবতঃ এদের দ্বারা আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারব অথবা এরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করবে।' যেমন অন্য জায়গায় বলেছেন, (هَؤُلآءِ شُفَعَآؤُنَا عِنْدَ اللهِ) "এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী হবে।"

(সূরা ইউনুস ১০;১৮ আয়াত)

[৩] কারণ, পৃথিবীতে কেউ এটা স্বীকার করতে প্রস্তুত নয় যে, সে শিরক করছে বা সে ভুল পথে আছে। ফলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলাই ফায়সালা করবেন এবং ফায়সালা অনুযায়ী প্রতিদান ও শাস্তি দেবেন।

[৪] সেই মিথ্যা উপাস্য দ্বারা তারা আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বা ওরা তাদের জন্য সুপারিশ করবে --এ কথা একেবারে মিথ্যা এবং আল্লাহ ব্যতীত ক্ষমতাহীন ব্যক্তিদেরকে উপাস্য মনে করাও বড় অকৃতজ্ঞতা। এমন মিথ্যুক ও অকৃতজ্ঞরা কিভাবে হিদায়াত পাবে?