Skip to main content
bismillah

تَنزِيلُ
অবতীর্ণ করা
ٱلْكِتَٰبِ
(এই) কিতাব
مِنَ
পক্ষ হ'তে
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ٱلْعَزِيزِ
( যিনি) পরাক্রমশালী
ٱلْحَكِيمِ
প্রজ্ঞাময়

এ কিতাব নাযিল হয়েছে মহাপরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞানী আল্লাহর নিকট হতে।

ব্যাখ্যা

إِنَّآ
নিশ্চয়ই আমরা
أَنزَلْنَآ
আমরা অবতীর্ণ করেছি
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
ٱلْكِتَٰبَ
(এই) কিতাবকে
بِٱلْحَقِّ
সত্যসহকারে
فَٱعْبُدِ
সুতরাং ইবাদাত করো
ٱللَّهَ
আল্লাহর
مُخْلِصًا
একনিষ্ঠভাবে
لَّهُ
তাঁরই জন্যে
ٱلدِّينَ
আনুগত্যে (নির্দিষ্ট করে)

আমি তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছি সত্যতা সহকারে, (এতে নেই কোন প্রকার মিথ্যে) কাজেই আল্লাহর ‘ইবাদাত কর দ্বীনকে (অর্থাৎ আনুগত্য, হুকুম পালন, দাসত্ব ও গোলামীকে) একমাত্র তাঁরই জন্য নির্দিষ্ট করে।

ব্যাখ্যা

أَلَا
জেনে রাখো
لِلَّهِ
আল্লাহরই জন্যে
ٱلدِّينُ
আনুগত্য
ٱلْخَالِصُۚ
একনিষ্ঠ
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
ٱتَّخَذُوا۟
গ্রহণ করেছো
مِن
ছাড়া
دُونِهِۦٓ
তাঁকে
أَوْلِيَآءَ
অভিভাবকরূপে (অন্যদেরকে)
مَا
"(এবং বলে) না
نَعْبُدُهُمْ
তাদের পূজা করি আমরা
إِلَّا
এ ব্যতীত
لِيُقَرِّبُونَآ
আমাদের নিকটে করে দেয় যেন
إِلَى
দিকে
ٱللَّهِ
আল্লাহর
زُلْفَىٰٓ
(তাঁর) কাছাকাছি"
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
يَحْكُمُ
মীমাংসা করে দিবেন
بَيْنَهُمْ
তাদের মাঝে
فِى
মধ্যে
مَا
(ঐ বিষয়ে) যা
هُمْ
তারা
فِيهِ
যাতে
يَخْتَلِفُونَۗ
মতভেদ করছে
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
لَا
না
يَهْدِى
সৎপথে পরিচালনা করেন
مَنْ
তাকে
هُوَ
যে
كَٰذِبٌ
মিথ্যাবাদী
كَفَّارٌ
কট্টর কাফির

জেনে রেখ, খালেস দ্বীন কেবল আল্লাহরই জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে তারা বলে- আমরা তাদের ‘ইবাদাত একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দেবে। (সত্য পথ থেকে সরে গিয়ে মিথ্যে পথ ও মতের জন্ম দিয়ে) তারা যে মতভেদ করছে, আল্লাহ তার চূড়ান্ত ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যেবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান না।

ব্যাখ্যা

لَّوْ
যদি
أَرَادَ
ইচ্ছে করতেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
أَن
যে
يَتَّخِذَ
গ্রহণ করবেন
وَلَدًا
কোনো পুত্র সন্তান
لَّٱصْطَفَىٰ
মনোনীত করতেন অবশ্যই
مِمَّا
তা হ'তে যা
يَخْلُقُ
তিনি সৃষ্টি করেন
مَا
যাকে
يَشَآءُۚ
তিনি চাইতেন
سُبْحَٰنَهُۥۖ
(কিন্তু তা হ'তে) তিনি পবিত্র/মহান
هُوَ
তিনিই
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ٱلْوَٰحِدُ
এক
ٱلْقَهَّارُ
প্রবল পরাক্রমশালী

আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছে করলে তিনি তার সৃষ্টিকুল থেকে নিজ পছন্দ মত বেছে নিতেন। এসব থেকে তিনি পবিত্র। অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী তিনি এক ও একক আল্লাহ।

ব্যাখ্যা

خَلَقَ
তিনি সৃৃষ্টি করেছেন
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশকে
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবীকে
بِٱلْحَقِّۖ
সুপরিকল্পিতভাবে
يُكَوِّرُ
তিনি ঢেকে রাখেন
ٱلَّيْلَ
রাতকে
عَلَى
উপর
ٱلنَّهَارِ
দিনের
وَيُكَوِّرُ
এবং ঢেকে রাখেন
ٱلنَّهَارَ
দিনকে
عَلَى
উপর
ٱلَّيْلِۖ
রাতের
وَسَخَّرَ
এবং নিয়ন্ত্রিত করেছেন
ٱلشَّمْسَ
সূর্যকে
وَٱلْقَمَرَۖ
ও চাঁদকে
كُلٌّ
প্রত্যেকেই
يَجْرِى
আবর্তন করে
لِأَجَلٍ
একটি কাল পর্যন্ত
مُّسَمًّىۗ
নির্দিষ্ট
أَلَا
জেনে রেখো
هُوَ
তিনিই
ٱلْعَزِيزُ
মহাপরাক্রমশালী
ٱلْغَفَّٰرُ
পরম ক্ষমাশীল

তিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। রাত দিনকে ঢেকে নেয়, আর দিন ঢেকে নেয় রাতকে। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন সুরুজ আর চাঁদকে, প্রত্যেকেই চলছে নির্দিষ্ট সময় অনুসারে। জেনে রেখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল (মহাশক্তিধর হওয়া সত্ত্বেও বার বার ক্ষমা করেন)।

ব্যাখ্যা

خَلَقَكُم
তোমাদের তিনি সৃষ্টি করেছেন
مِّن
থেকে
نَّفْسٍ
ব্যক্তি
وَٰحِدَةٍ
একই
ثُمَّ
এরপর
جَعَلَ
সৃষ্টি করেছেন
مِنْهَا
তার থেকে
زَوْجَهَا
তার জোড়া
وَأَنزَلَ
ও দিয়েছেন
لَكُم
তোমাদের জন্যে
مِّنَ
মধ্যে হতে
ٱلْأَنْعَٰمِ
গবাদি পশুদের
ثَمَٰنِيَةَ
আট
أَزْوَٰجٍۚ
জোড়া
يَخْلُقُكُمْ
তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন
فِى
মধ্যে
بُطُونِ
পেটসমূহের
أُمَّهَٰتِكُمْ
তোমাদের মায়েদের
خَلْقًا
সৃষ্টির
مِّنۢ
থেকে
بَعْدِ
পরে
خَلْقٍ
সৃষ্টি
فِى
মধ্যে
ظُلُمَٰتٍ
অন্ধকারসমূহের
ثَلَٰثٍۚ
তিনটি (আবরণের)
ذَٰلِكُمُ
তিনিই তোমাদের
ٱللَّهُ
আল্লাহ
رَبُّكُمْ
তোমাদের রব
لَهُ
তাঁরই
ٱلْمُلْكُۖ
সার্বভৌমত্ব
لَآ
নেই
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ
إِلَّا
ব্যতীত
هُوَۖ
তিনি
فَأَنَّىٰ
সুতরাং কোথায়
تُصْرَفُونَ
তোমাদের ফিরানো হচ্ছে

তিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তার থেকে তিনি তার জুড়ি সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদের জন্য বানিয়েছেন আট গৃহপালিত পশু (চার) জোড়ায় জোড়ায়। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মায়েদের গর্ভে, এক এক পর্যায়ে এক এক আকৃতি দিয়ে, তিন তিনটি অন্ধকার আবরণের মধ্যে। এই হল তোমাদের প্রতিপালক, সর্বময় কর্তৃত্ব তাঁরই, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই (ভুয়ো ক্ষমতার অধিকারী, দাম্ভিক ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক) তোমাদেরকে কোন্ দিকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে?

ব্যাখ্যা

إِن
যদি
تَكْفُرُوا۟
তোমরা অকৃতজ্ঞ হও
فَإِنَّ
নিশ্চযই তবুও়
ٱللَّهَ
আল্লাহ
غَنِىٌّ
অমুখাপেক্ষী
عَنكُمْۖ
তোমাদের থেকে
وَلَا
কিন্তু না
يَرْضَىٰ
পছন্দ করেন তিনি
لِعِبَادِهِ
তাঁর দাসদের জন্যে
ٱلْكُفْرَۖ
অকৃতজ্ঞতাকে
وَإِن
এবং যদি
تَشْكُرُوا۟
তোমরা কৃতজ্ঞ হও
يَرْضَهُ
তা তিনি পছন্দ করেন
لَكُمْۗ
তোমাদের জন্যে
وَلَا
এবং না
تَزِرُ
বহন করবে
وَازِرَةٌ
কোনো বোঝাবহনকারী
وِزْرَ
বোঝা
أُخْرَىٰۗ
অন্যের
ثُمَّ
এরপর
إِلَىٰ
দিকে
رَبِّكُم
তোমাদের রবের
مَّرْجِعُكُمْ
তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে
فَيُنَبِّئُكُم
তোমাদেরকে অতঃপর তিনি জানিয়ে দিবেন
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
كُنتُمْ
তোমরা
تَعْمَلُونَۚ
কাজ করতেছিলে
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
عَلِيمٌۢ
ভালোভাবেই জানেন
بِذَاتِ
অবস্থা সম্পর্কে
ٱلصُّدُورِ
অন্তরসমূহের

তোমরা যদি কুফুরী কর তবে (জেনে রেখ), আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তাঁর বান্দাহদের জন্য কুফুরী আচরণ পছন্দ করেন না, তোমরা যদি কৃতজ্ঞ হও, তবে তোমাদের জন্য তা তিনি পছন্দ করেন। একের (পাপের) বোঝা অন্যে বহন করবে না। শেষমেষ তোমাদেরকে তোমাদের পালনকর্তার কাছেই ফিরে যেতে হবে, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন তোমরা যা করছিলে। তিনি তো অন্তরের খবর পর্যন্ত জানেন।

ব্যাখ্যা

وَإِذَا
এবং যখন
مَسَّ
স্পর্শ করে
ٱلْإِنسَٰنَ
মানুষকে
ضُرٌّ
কোনো দুঃখদৈন্য
دَعَا
সে ডাকে
رَبَّهُۥ
তার রবকে
مُنِيبًا
একাগ্রচিত্তে
إِلَيْهِ
তাঁর দিকে
ثُمَّ
এরপর
إِذَا
যখন
خَوَّلَهُۥ
তাকে দান করেন
نِعْمَةً
অনুগ্রহ
مِّنْهُ
তাঁর পক্ষ হতে
نَسِىَ
সে ভুলে যায়
مَا
যার(জন্য)
كَانَ
সে
يَدْعُوٓا۟
ডাকছিলো
إِلَيْهِ
তার দিকে (একনিষ্ঠভাবে)
مِن
হ'তে
قَبْلُ
পূর্বে
وَجَعَلَ
এবং দাঁড় করায়
لِلَّهِ
আল্লাহর জন্যে
أَندَادًا
সমকক্ষ
لِّيُضِلَّ
বিভ্রান্ত করে যেন
عَن
হ'তে
سَبِيلِهِۦۚ
তাঁর পথ
قُلْ
(হে নাবী) বলো
تَمَتَّعْ
"উপভোগ করো
بِكُفْرِكَ
তোমার অকৃতজ্ঞ অবস্থার (স্বাদ)
قَلِيلًاۖ
কিছুক্ষণ
إِنَّكَ
তুমি নিশ্চয়ই
مِنْ
অন্তর্ভুক্ত
أَصْحَٰبِ
অধিবাসীদের
ٱلنَّارِ
জাহান্নামের"

দুঃখ-মুসিবত যখন মানুষকে স্পর্শ করে তখন সে তার প্রতিপালককে ডাকতে থাকে তাঁর প্রতি বড়ই একনিষ্ঠ হয়ে। অতঃপর তিনি যখন নিজ পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দিয়ে তাকে ধন্য করেন, তখন পূর্বে সে যেজন্য তাঁকে ডেকেছিল তা ভুলে যায় এবং অন্যদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করায় তাঁর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। বলে দাও, কুফুরীর জীবন কিছুকাল ভোগ করে নাও, (অতঃপর) তুমি তো হবে জাহান্নামের অধিবাসী। (এ ব্যক্তি ভাল, না ঐ ব্যক্তি)

ব্যাখ্যা

أَمَّنْ
সে কি সমান
هُوَ
যে
قَٰنِتٌ
আনুগত্য প্রকাশকারী
ءَانَآءَ
বেলায়
ٱلَّيْلِ
রাতের
سَاجِدًا
অথবা সিজদারত অবস্হায়
وَقَآئِمًا
দাঁড়ানো অবস্হায়
يَحْذَرُ
ভয় করে
ٱلْءَاخِرَةَ
পরকালকে
وَيَرْجُوا۟
ও প্রত্যাশা করে
رَحْمَةَ
অনুগ্রহের
رَبِّهِۦۗ
তার রবের
قُلْ
বলো
هَلْ
"কি
يَسْتَوِى
সমান হয়
ٱلَّذِينَ
যারা
يَعْلَمُونَ
জানে
وَٱلَّذِينَ
ও যারা
لَا
না
يَعْلَمُونَۗ
জানে"
إِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
يَتَذَكَّرُ
শিক্ষা গ্রহণ করে
أُو۟لُوا۟
সম্পন্নরাই
ٱلْأَلْبَٰبِ
বোধ-বুদ্ধি

যে রাত্রির বিভিন্ন প্রহরে সেজদা ও দন্ডায়মান অবস্থায় বিনয় ও শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে, আর তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে? বল- যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।

ব্যাখ্যা

قُلْ
বলো
يَٰعِبَادِ
"হে আমার দাসগণ
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছো
ٱتَّقُوا۟
তোমরা ভয় করো
رَبَّكُمْۚ
তোমাদের রবকে
لِلَّذِينَ
(তাদের) জন্যে যারা
أَحْسَنُوا۟
উত্তম কাজ করেছে
فِى
মধ্যে
هَٰذِهِ
এই
ٱلدُّنْيَا
পৃথিবীতে
حَسَنَةٌۗ
কল্যাণ (রয়েছে)
وَأَرْضُ
এবং পৃথিবী
ٱللَّهِ
আল্লাহর
وَٰسِعَةٌۗ
প্রশস্ত
إِنَّمَا
মূলতঃ
يُوَفَّى
পূর্ণ দেওয়া হবে
ٱلصَّٰبِرُونَ
ধৈর্য্যশীলদেরকে
أَجْرَهُم
প্রতিফল তাদের
بِغَيْرِ
ব্যতীতই
حِسَابٍ
কোনো হিসাব"

বল, হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। এ দুনিয়ায় যারা ভাল কাজ করবে, তাদের জন্য আছে কল্যাণ। আল্লাহর যমীন প্রশস্ত (এক এলাকায় ‘ইবাদাত-বন্দেগী করা কঠিন হলে অন্যত্র চলে যাও)। আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকি।

ব্যাখ্যা
কুরআন মজীদ :
আল-যুমার
القرآن الكريم:الزمر
আধিপত্য একটি আয়াত (سجدة):-
সূরা নাম (latin):Az-Zumar
সূরা না:39
আয়াত:75
মোট শব্দ:1270
মোট অক্ষর:4908
রুকু সংখ্যা:8
অবতীর্ণ:মক্কা
উদ্ঘাটন আদেশ:59
শ্লোক থেকে শুরু:4058