Skip to main content

وَلَا يَمْلِكُ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الشَّفَاعَةَ اِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ  ( الزخرف: ٨٦ )

And not
وَلَا
এবং না
have power
يَمْلِكُ
ক্ষমতা রাখে
those whom
ٱلَّذِينَ
যাদেরকে
they invoke
يَدْعُونَ
তারা ডাকে
besides Him
مِن
মধ্য হতে
besides Him
دُونِهِ
তাঁকে ছাড়া
(for) the intercession
ٱلشَّفَٰعَةَ
সুপারিশের
except
إِلَّا
কিন্তু
who
مَن
যে
testifies
شَهِدَ
সাক্ষ্য দেয়
to the truth
بِٱلْحَقِّ
সত্যের
and they
وَهُمْ
তারা যখন
know
يَعْلَمُونَ
জানেও

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে তারা ডাকে তারা সুপারিশের অধিকারী নয়, তবে যে জ্ঞানের ভিত্তিতে সত্যের সাক্ষ্য দেয় সে ছাড়া।

English Sahih:

And those they invoke besides Him do not possess [power of] intercession; but only those who testify to the truth [can benefit], and they know.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহর পরিবর্তে ওরা যাদেরকে ডাকে, সুপারিশের অধিকার তাদের নেই।[১] তবে যারা সত্য উপলব্ধি করে ওর (সত্যের) সাক্ষ্য দেয় তাদের কথা স্বতন্ত্র। [২]

[১] অর্থাৎ, দুনিয়াতে যে বাতিল উপাস্যগুলোর এরা পূজা-অর্চনা করে এই মনে করে যে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করবে। তাদের সুপারিশ করার মোটেই কোন এখতিয়ার ও যোগ্যতা নেই।

[২] হক বা সত্য বলতে বুঝানো হয়েছে, তাওহীদের কালেমা 'লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ'কে। এর স্বীকৃতি ও সাক্ষ্য জ্ঞান ও উপলব্ধির ভিত্তিতে হবে। (এর অর্থ না বুঝে) কেবল প্রথাগত ও (অন্যের) দেখাদেখির ভিত্তিতে যেন না হয়। অর্থাৎ, মৌখিকভাবে কালেমা তাওহীদের ঘোষণাদাতাকে জেনে রাখতে হবে যে, এতে কেবল এককভাবে আল্লাহর উপাস্যত্বকেই সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং অন্যান্য সমস্ত উপাস্যের উপাস্যত্ব নাকচ করা হয়েছে। অতঃপর (আন্তরিকভাবে) এই অনুযায়ী হবে তার আমল। এ রকম লোকের ব্যাপারে সুপারিশকারীদের সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে। অথবা অর্থ হল, সুপারিশ করার অধিকার কেবল তাঁরাই লাভ করবেন, যাঁরা সত্যকে স্বীকার করবেন। অর্থাৎ, আম্বিয়া, নেকলোক এবং ফিরিশতাগণ এই অধিকার লাভ করবেন। সেই বাতিল উপাস্যরা নয়, যাদেরকে মুশরিকরা মনগড়াভাবে নিজেদের সুপারিশকারী মনে করে থাকে।