فَلَوْلَا نَصَرَهُمُ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ قُرْبَانًا اٰلِهَةً ۗبَلْ ضَلُّوْا عَنْهُمْۚ وَذٰلِكَ اِفْكُهُمْ وَمَا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ ( الأحقاف: ٢٨ )
Falaw laa nasarahumul lazeenat takhazoo min doonil laahi qurbaanan aalihatam bal dalloo 'anhum' wa zaalika ifkuhum wa maa kaanoo yaftaroon (al-ʾAḥq̈āf ৪৬:২৮)
English Sahih:
Then why did those they took besides Allah as deities by which to approach [Him] not aid them? But they had strayed [i.e., departed] from them. And that was their falsehood and what they were inventing. (Al-Ahqaf [46] : 28)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ব্যতিরেকে যাদেরকে তারা ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে তারা তাদেরকে সাহায্য করল না কেন? বরং তারা (অর্থাৎ কল্পিত ইলাহ) তাদের থেকে হারিয়ে গেল। আসলে তা ছিল তাদের মিথ্যাচার আর মনগড়া উদ্ভাবন। (আল আহক্বাফ [৪৬] : ২৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তারা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল, তারা তাদেরকে সাহায্য করল না কেন? বস্তুতঃ তাদের উপাস্যগুলো তাদের নিকট হতে উধাও হয়ে গেল। আর এ হল তাদের মিথ্যা ও অলীক উদ্ভাবনের পরিণাম। [১]
[১] অর্থাৎ, যে উপাস্যগুলোকে তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম মনে করত, তারা তাদের কোন সাহায্য করল না, বরং তারা সেই মুহূর্তে আসেইনি, তাদের কোন পাত্তাই ছিল না। এ থেকেও জানা গেল যে, মক্কার মুশরিকরা মূর্তিগুলোকে প্রকৃত উপাস্য মনে করত না, বরং তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম ও অসীলা মনে করত। মহান আল্লাহ এই অসীলাগুলোকে 'ইফক' (মিথ্যা) এবং 'ইফতিরা' (মনগড়া উদ্ভাবন) সাব্যস্ত করে স্পষ্ট করে দিলেন যে, এটা অবৈধ ও হারাম।