Skip to main content

وَاِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ اَعْدَاۤءً وَّكَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كٰفِرِيْنَ   ( الأحقاف: ٦ )

wa-idhā
وَإِذَا
And when
এবং যখন
ḥushira
حُشِرَ
are gathered
একত্র করা হবে
l-nāsu
ٱلنَّاسُ
the people
সব মানুষকে
kānū
كَانُوا۟
they will be
তারা হবে
lahum
لَهُمْ
for them
তাদের জন্যে
aʿdāan
أَعْدَآءً
enemies
শত্রু
wakānū
وَكَانُوا۟
and they will be
এবং তারা হবে
biʿibādatihim
بِعِبَادَتِهِمْ
of their worship
তাদের উপাসনা সম্বন্ধে
kāfirīna
كَٰفِرِينَ
deniers
অস্বীকারকারী

Wa izaa hushiran naasu kaanoo lahum a'daaa'anw wa kaanoo bi'ibaadatihim kaafireen (al-ʾAḥq̈āf ৪৬:৬)

English Sahih:

And when the people are gathered [that Day], they [who were invoked] will be enemies to them, and they will be deniers of their worship. (Al-Ahqaf [46] : 6)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে যখন একত্রিত করা হবে, তখন ঐগুলো (অর্থাৎ উপাস্যরা) হবে মানুষের শত্রু আর মানুষ যে তাদের ‘ইবাদাত করেছিল তা তারা অস্বীকার করবে। (আল আহক্বাফ [৪৬] : ৬)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যখন কিয়ামতের দিন মানুষকে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের উপাসনাকে অস্বীকার করবে। [১]

[১] এই বিষয়টি কুরআনের একাধিক জায়গায় বর্ণিত হয়েছে। যেমন, সূরা ইউনুস ১০;২৯ নং আয়াতে, সূরা মারয়্যামের ১৯;৮১-৮২ নং আয়াতে এবং সূরা আনকাবুতের ২৯;২৫ নং আয়াত সহ আরো অন্য আয়াতেও বর্ণিত হয়েছে। দুনিয়াতে দু' প্রকারের উপাস্য বিদ্যমান রয়েছে। এক তো হল, নিষ্প্রাণ জড়পদার্থ, উদ্ভিদ এবং মহান আল্লাহর মহাশক্তির নিদর্শনাবলী (সূর্য, আগুন প্রভৃতি)। আল্লাহ তাআলা এগুলোর মধ্যে প্রাণ এবং বাকশক্তি দান করবেন। ফলে এ জিনিসগুলো মুখের ভাষায় ব্যক্ত করবে যে, এ কথা আমরা আদৌ জানতাম না যে, এরা আমাদের পূজা করত এবং তোমার উপাস্যত্বে আমাদেরকে শরীক করত। কেউ কেউ বলেছেন, বাচনিক জবানে নয়, বরং অবস্থার জবানে তারা নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করবে। আর আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। দ্বিতীয় প্রকার উপাস্য হল, নবী, ফিরিশতা ও নেক লোক বা সৎব্যক্তিদের মধ্য থেকে। যেমন, ঈসা, উযাইর (আলাইহিমাস্ সালাম) এবং আল্লাহর অন্যান্য নেক বান্দাগণ। এঁরাও আল্লাহর সমীপে সেইরূপই উত্তর দেবেন, যেমন ঈসা (আঃ)-এর উত্তর পবিত্র কুরআনে বর্ণিত রয়েছে। এ ছাড়া শয়তানও অস্বীকার করবে। যেমন সকল শরীকদের উক্তি কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। ﴿ تَبَرَّأْنَا إِلَيْكَ مَا كَانُوا إِيَّانَا يَعْبُدُونَ﴾ (القصص;৬৩) "আমরা তোমার সম্মুখে (আমাদের পূজারীদের সাথে) সম্পর্ক ছিন্নতার কথা ঘোষণা করছি, এরা আমাদের পূজা করত না।" (সূরা কাসাস ২৮;৬৩)