Skip to main content

اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ۗ قُلْ اِنِ افْتَرَيْتُهٗ فَلَا تَمْلِكُوْنَ لِيْ مِنَ اللّٰهِ شَيْـًٔا ۗهُوَ اَعْلَمُ بِمَا تُفِيْضُوْنَ فِيْهِۗ كَفٰى بِهٖ شَهِيْدًا ۢ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ ۗ وَهُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ  ( الأحقاف: ٨ )

Or
أَمْ
অথবা
they say
يَقُولُونَ
তারা বলে
"He has invented it"
ٱفْتَرَىٰهُۖ
"সে তা রচনা করেছে"
Say
قُلْ
বলো
"If
إِنِ
"যদি
I have invented it
ٱفْتَرَيْتُهُۥ
তা আমি রচনা করে থাকি
then not
فَلَا
না তবে
you have power
تَمْلِكُونَ
তোমরা সক্ষম
for me
لِى
আমাকে (রক্ষা করতে)
against
مِنَ
হতে
Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহ
anything
شَيْـًٔاۖ
কিছুমাত্র
He
هُوَ
তিনি
knows best
أَعْلَمُ
খুব জানেন
of what
بِمَا
ঐ বিষয়ে
you utter
تُفِيضُونَ
তোমরা আলোচনা করে বেড়াচ্ছ
concerning it
فِيهِۖ
যে সম্বন্ধে
Sufficient is He
كَفَىٰ
(তিনিই) যথেষ্ট
Sufficient is He
بِهِۦ
সে বিষয়ে
(as) a Witness
شَهِيدًۢا
সাক্ষী (হিসাবে)
between me
بَيْنِى
আমার মাঝে
and between you
وَبَيْنَكُمْۖ
ও তোমাদের মাঝে
and He
وَهُوَ
এবং তিনিই
(is) the Oft-Forgiving
ٱلْغَفُورُ
ক্ষমাশীল
the Most Merciful
ٱلرَّحِيمُ
দয়াময়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা কি বলতে চায় যে, রসূল নিজেই তা রচনা করেছে? বল, তা যদি আমি রচনা করে থাকি তাহলে তোমরা আল্লাহর শাস্তি হতে আমাকে কিছুতেই বাঁচাতে পারবে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন যে বিষয়ে তোমরা মত্ত আছ। আমার আর তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট, আর তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।

English Sahih:

Or do they say, "He has invented it"? Say, "If I have invented it, you will not possess for me [the power of protection] from Allah at all. He is most knowing of that in which you are involved. Sufficient is He as Witness between me and you, and He is the Forgiving, the Merciful."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তবে কি তারা বলে যে, ‘সে (মুহাম্মাদ) এটা (কুরআন) উদ্ভাবন করেছে?’ [১] তুমি বল, ‘যদি আমি এটা উদ্ভাবন করে থাকি, তাহলে তোমরা তো আল্লাহর শাস্তি হতে আমাকে কিছুতেই রক্ষা করতে পারবে না।[২] তোমরা যে বিষয়ে আলোচনায় লিপ্ত আছ, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। [৩] আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে তিনিই যথেষ্ট[৪] এবং তিনিই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [৫]

[১] এখানে তাদের কাছে আগত 'হক' বা 'সত্য' হল কুরআন। তারা তার অলৌকিকতা ও আকর্ষণ শক্তি দেখে তাকে 'যাদু' বলে আখ্যায়িত করত। আবার এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অথবা যখন এ কথায় কোন ফল বুঝত না বা কোন কাজ হত না, তখন তারা বলত, এটা তো মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিজের উদ্ভাবন করা (স্বরচিত) বাণী।

[২] অর্থাৎ, তোমাদের এ কথা যদি সঠিক হয় যে, আমি আল্লাহ-প্রেরিত রসূল নই এবং এ বাণী আমারই রচনা করা, তাহলে তো নিশ্চয় আমি এক বড় অপরাধী। এত বড় মিথ্যা অপরাধে মহান আল্লাহ আমাকে পাকড়াও না করে কিছুতেই ছেড়ে দেবেন না। আর এ ধরনের কোন ধর-পাকড় যদি হয়, তাহলে জেনে নিও যে, আমি মিথ্যুক এবং তোমরা আমার কোন সাহায্যও করো না। বরং এমতাবস্থায় আল্লাহর শাস্তি হতে আমাকে রক্ষা করার তোমাদের কোন এখতিয়ারই থাকবে না। এই বিষয়টিকে অন্যত্র এইভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে, ﴿وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْأَقَاوِيلِ، لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِينِ، ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ، فَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَاجِزِينَ﴾ (الحاقة;৪৪-৪৭) অর্থাৎ, সে যদি আমার নামে কিছু রচনা করে চালাতে চেষ্টা করত। তবে অবশ্যই আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং কেটে দিতাম তার জীবন-ধমনী। অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে তাকে রক্ষা করতে পারত। (সূরা হাক্কাহ ৬৯;৪৪-৪৭)

[৩] অর্থাৎ, যত রকম ভাবেই তোমরা এ কুরআনকে মিথ্যাজ্ঞান করছ; কখনো যাদু বলে, কখনো জ্যোতিষীর বাণী বলে, আবার কখনো মস্তিস্ক-প্রসূত (স্বকপোলকল্পিত) বলে, আল্লাহ এসব খুব ভালোভাবেই জানেন। অর্থাৎ, তিনিই তোমাদেরকে তোমাদের এসব জঘন্য কার্যকলাপের বদলা দেবেন।

[৪] এই কুরআন যে তাঁরই পক্ষ হতে অবতীর্ণ এ কথার উপর সাক্ষীর জন্য তিনি নিজেই যথেষ্ট এবং তোমাদের মিথ্যাজ্ঞান ও বিরোধিতা করার উপর সাক্ষীও তিনিই। এ কথায় তাদের জন্য কঠিন হুমকি ও ধমক রয়েছে।

[৫] তার জন্য, যে তাওবা করে ঈমান আনবে এবং কুরআনকে আল্লাহর সত্য বাণী বলে বিশ্বাস করে নিবে। অর্থাৎ, সময় এখনও আছে। কাজেই তাওবা করে আল্লাহর ক্ষমা ও দয়ার অধিকারী হয়ে যাও।