يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِنْ جَاۤءَكُمْ فَاسِقٌۢ بِنَبَاٍ فَتَبَيَّنُوْٓا اَنْ تُصِيْبُوْا قَوْمًاۢ بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوْا عَلٰى مَا فَعَلْتُمْ نٰدِمِيْنَ ( الحجرات: ٦ )
Yaaa ayyuhal lazeena aamanoo in jaaa'akum faasqum binaba in fatabaiyanooo an tuseeboo qawmam bijahalatin fatusbihoo 'alaa maa fa'altum naadimeen (al-Ḥujurāt ৪৯:৬)
English Sahih:
O you who have believed, if there comes to you a disobedient one with information, investigate, lest you harm a people out of ignorance and become, over what you have done, regretful. (Al-Hujurat [49] : 6)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
হে মু’মিনগণ! কোন পাপাচারী যদি তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে, তাহলে তার সত্যতা যাচাই করে লও, তা না হলে তোমরা অজ্ঞতাবশতঃ কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে বসবে, অতঃপর তোমরা যা করেছ সেজন্য তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হবে। (আল হুজরাত [৪৯] : ৬)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
হে বিশ্বাসীগণ! যদি কোন পাপাচারী তোমাদের নিকট কোন বার্তা আনয়ন করে, তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে;[১] যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়কে আঘাত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।
[১] এই আয়াতটি অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে অলীদ ইবনে উকবা (রাঃ) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। যাঁকে নবী করীম (সাঃ) বানু-মুসত্বালিক গোত্রের যাকাত আদায় করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি (রাস্তা থেকেই ফেরৎ) এসে খামকা রিপোর্ট দিলেন যে, তারা যাকাত দিতে অস্বীকার করেছে। আর এই খবরের ভিত্তিতে নবী করীম (সাঃ) তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণের ইচ্ছা করলেন। কিন্তু পরক্ষণে জানতে পারলেন যে, এ খবর ভুল ছিল এবং অলীদ (রাঃ) সেখানে যানইনি। তবে সনদ ও বাস্তবতা উভয় দিক দিয়ে এই বর্ণনা সহীহ নয়। তাই এই ধরনের কথা রসূল (সাঃ)-এর একজন সাহাবী সম্পর্কে বলা ঠিক নয়। তবে হ্যাঁ, আয়াতের শানে নুযুলের প্রতি দৃকপাত না করেই বলা যায় যে, এতে অতি গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি নীতি বর্ণনা করা হয়েছে, যা বৈয়াক্তিক ও সামাজিক উভয় জীবনে বড় গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক ব্যক্তি এবং প্রত্যেক শাসকের দায়িত্ব হল, তাদের কাছে যে সংবাদই আসে -- বিশেষ করে চরিত্রহীন, ফাসেক (চুগোলখোর, গীবতকারী) ও ফাসাদী প্রকৃতির লোকদের পক্ষ হতে, সে ব্যাপারে প্রথমে যাচাই করে দেখা। যাতে ভুল বুঝে কারো বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়।