Skip to main content

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيْرِ وَمَآ اُهِلَّ لِغَيْرِ اللّٰهِ بِهٖ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوْذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيْحَةُ وَمَآ اَكَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْۗ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَاَنْ تَسْتَقْسِمُوْا بِالْاَزْلَامِۗ ذٰلِكُمْ فِسْقٌۗ اَلْيَوْمَ يَىِٕسَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ دِيْنِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِۗ اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَاَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِيْنًاۗ فَمَنِ اضْطُرَّ فِيْ مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍۙ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ  ( المائدة: ٣ )

Are made unlawful
حُرِّمَتْ
অবৈধ করা হয়েছে
on you
عَلَيْكُمُ
উপর তোমাদের
the dead animals
ٱلْمَيْتَةُ
মৃত (পশু পাখী)
and the blood
وَٱلدَّمُ
ও (প্রবাহিত) রক্ত
and flesh
وَلَحْمُ
ও গোশত
(of) the swine
ٱلْخِنزِيرِ
শুকরের
and what
وَمَآ
ও যা
has been dedicated
أُهِلَّ
জবাই করা হয়েছে
to other than
لِغَيْرِ
(জন্যে নয়) ছাড়া
Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর (নামে)
[on it]
بِهِۦ
তা
and that which is strangled (to death)
وَٱلْمُنْخَنِقَةُ
ও শ্বাসরোধে মৃত জন্তু
and that which is hit fatally
وَٱلْمَوْقُوذَةُ
ও আঘাতে মৃত জন্তু
and that which has a fatal fall
وَٱلْمُتَرَدِّيَةُ
ও উপর থেকে পড়ে মৃত জন্তু
and that which is gored by horns
وَٱلنَّطِيحَةُ
ও শিঙের আঘাতে মৃত (পশু)
and that which
وَمَآ
ও যাকে
ate (it)
أَكَلَ
খেয়েছে
the wild animal
ٱلسَّبُعُ
হিংস্র পশুতে
except
إِلَّا
এ ছাড়া
what
مَا
যা
you slaughtered
ذَكَّيْتُمْ
তোমরা (জবাই করে) পবিত্র করেছো
and what
وَمَا
এবং (হারাম) যা
is sacrificed
ذُبِحَ
বলি দেয়া হয়েছে
on
عَلَى
উপর
the stone altars
ٱلنُّصُبِ
পূজার বেদীসমূহের
and that
وَأَن
এবং (এও হারাম) যে
you seek division
تَسْتَقْسِمُوا۟
তোমরা ভাগ্য নির্ণয় করো
by divining arrows -
بِٱلْأَزْلَٰمِۚ
দিয়ে জুয়ার তীরগুলো
that
ذَٰلِكُمْ
এসব
(is) grave disobedience
فِسْقٌۗ
পাপকাজ (কাজ)
This day
ٱلْيَوْمَ
আজ
(have) despaired
يَئِسَ
নিরাশ হয়েছে
those who
ٱلَّذِينَ
যারা
disbelieved
كَفَرُوا۟
অবিশ্বাস করেছে
of
مِن
হতে
your religion
دِينِكُمْ
দীন তোমাদের
so (do) not
فَلَا
অতএব না
fear them
تَخْشَوْهُمْ
তোমরা ভয় কর তাদেরকে
but fear Me
وَٱخْشَوْنِۚ
এবং তোমরা ভয় কর আমাকে
This day
ٱلْيَوْمَ
আজ
I have perfected
أَكْمَلْتُ
আমি পূর্ণ করলাম
for you
لَكُمْ
জন্যে তোমাদের
your religion
دِينَكُمْ
দীনকে তোমাদের
and I have completed
وَأَتْمَمْتُ
ও আমি সম্পূর্ণ করলাম
upon you
عَلَيْكُمْ
উপর তোমাদের
My Favor
نِعْمَتِى
আমার অনুগ্রহ
and I have approved
وَرَضِيتُ
ও আমি পছন্দ করলাম
for you
لَكُمُ
জন্যে তোমাদের
[the] Islam
ٱلْإِسْلَٰمَ
ইসলামকে
(as) a religion
دِينًاۚ
দীন (হিসেবে)
But whoever
فَمَنِ
অত:পর যে
(is) forced
ٱضْطُرَّ
বাধ্য হয় (খেতে)
by
فِى
কারণে
hunger
مَخْمَصَةٍ
ক্ষুধার
(and) not
غَيْرَ
নয়
inclining
مُتَجَانِفٍ
ইচ্ছাকৃত ঝুঁকে
to sin
لِّإِثْمٍۙ
প্রতি পাপের
then indeed
فَإِنَّ
তবে নিশ্চয়ই
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ (তার উপর)
(is) Oft-Forgiving
غَفُورٌ
ক্ষমাশীল
Most Merciful
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃতজন্তু, (প্রবাহিত) রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবহকৃত পশু, আর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত জন্তু, উপর থেকে পতনের ফলে মৃত, সংঘর্ষে মৃত আর হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু- তবে জীবিত পেয়ে যা তোমরা যবহ করতে পেরেছ তা বাদে, আর যা কোন আস্তানায় (বা বেদীতে) যবহ করা হয়েছে, আর জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা (এগুলো তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে)। এসবগুলো পাপ কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরোধিতা করার ব্যাপারে পুরোপুরি নিরাশ হয়ে গেছে, কাজেই তাদেরকে ভয় করো না, কেবল আমাকেই ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিআমাত পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে কবূল করে নিলাম। তবে কেউ পাপ করার প্রবণতা ব্যতীত ক্ষুধার জ্বালায় (নিষিদ্ধ বস্তু খেতে) বাধ্য হলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

English Sahih:

Prohibited to you are dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah, and [those animals] killed by strangling or by a violent blow or by a head-long fall or by the goring of horns, and those from which a wild animal has eaten, except what you [are able to] slaughter [before its death], and those which are sacrificed on stone altars, and [prohibited is] that you seek decision through divining arrows. That is grave disobedience. This day those who disbelieve have despaired of [defeating] your religion; so fear them not, but fear Me. This day I have perfected for you your religion and completed My favor upon you and have approved for you IsLam as religion. But whoever is forced by severe hunger with no inclination to sin – then indeed, Allah is Forgiving and Merciful.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমাদের জন্য হারাম (অবৈধ) করা হয়েছে মৃত পশু, রক্ত ও শূকর-গোশত, আল্লাহ ভিন্ন অন্যের নামে উৎসর্গীকৃত পশু,[১] শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত জন্তু,[২] ধারবিহীন কিছু দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত জন্তু,[৩] পতনে মৃত জন্তু,[৪] শৃঙ্গাঘাতে মৃত জন্তু[৫] এবং হিংস্র পশুর খাওয়া জন্তু;[৬] তবে তোমরা যা যবেহ দ্বারা পবিত্র করেছ তা ছাড়া।[৭] আর যা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেওয়া হয় তা[৮] এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা,[৯] এ সব পাপকার্য। আজ অবিশ্বাসীগণ তোমাদের ধর্মের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে। সুতরাং তাদেরকে ভয় করো না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম (ইসলাম) পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসাবে মনোনীত করলাম। তবে যদি কেউ ক্ষুধার তাড়নায় (নিষিদ্ধ জিনিষ খেতে) বাধ্য হয়; কিন্তু ইচ্ছা করে পাপের দিকে ঝুঁকে না, তাহলে (তার জন্য) আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [১০]

[১] এখান থেকে ঐ সমস্ত নিষিদ্ধ বা হারামকৃত (পশুর) ব্যাপারে আলোচনা শুরু হচ্ছে, যার ইঙ্গিত সূরার প্রারম্ভে দেওয়া হয়েছে। আয়াতের এই অংশটুকু সূরা বাক্বারাতে উল্লেখ হয়েছে। (দেখুন আয়াত নং ২;১৭৩)




[২] যাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে অথবা নিজেই কোনভাবে ফাঁস লাগা অবস্থায় শবাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে, উভয় অবস্থায় এই মৃত (পশু ভক্ষণ) করা হারাম।




[৩] অর্থাৎ, পাথর অথবা লাঠি অথবা অন্য কোন জিনিস দ্বারা আঘাত করার কারণে বিনা যবেহতে মারা গেছে। জাহেলী যুগে এই সমস্ত পশুকে (হালাল মনে করে) ভক্ষণ করা হত। ইসলামী শরীয়তে তা নিষেধ করে দেওয়া হয়ছে। বন্দুকের শিকার; বন্দুক দ্বারা শিকার করা হয়েছে এমন পশুর ব্যাপারে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম শাওকানী (রঃ) বন্দুক দ্বারা শিকার করা পশুর ব্যাপারে একটি হাদীস থেকে প্রমাণ উল্লেখ করে তা হালাল বলেছেন। অর্থাৎ (শিকারী) যদি 'বিসমিল্লাহ' বলে গুলি ছুঁড়ে এবং যবেহ করার পূর্বেই শিকার মারা যায়, তাহলে তাঁর মতানুসারে তা ভক্ষণ করা বৈধ। (ফাতহুল ক্বাদীর) (অন্য মতে, যে বন্দুকের গুলি শিকারের দেহ ভেদ করে যায়, চামড়া কেটে ফেলে রক্তপাত ঘটায় সে বন্দুকের শিকার হালাল। পক্ষান্তরে ভেদ না করে কেবল আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেলে তা খাওয়া বৈধ নয়।) (সিলসিলাহ সহীহাহ ৫/৫১১)




[৪] (ঐ পশু) যে কোনভাবে পড়ে অথবা কেউ পাহাড় বা অন্য কোন উঁচু জায়গা থেকে ধাক্কা মারার কারণে পড়ে গিয়ে মারা যায়।




[৫] نطيحة , منطوحة ঐ পশুকে বলা হয়; যাকে অন্য পশু শিং দ্বারা ধাক্কা মেরেছে বা শিং-লড়ায়ে বিনা যবাইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।




[৬] অর্থাৎ সিংহ, চিতা ও নেকড়ে বাঘ ইত্যাদি (শিকারী বা ছেদক দাঁতবিশিষ্ট) হিংস্রজন্তু যদি কোন শিকারকে নিজে খাওয়ার উদ্দেশ্যে ধরার ফলে মৃত্যু হয়েছে (এমন পশু)। জাহেলী যুগে এই ধরণের মৃত জানোয়ার খাওয়া হত। (কিন্ত ইসলাম এই ধরণের মৃত পশু খাওয়া হারাম করে দিয়েছে।)




[৭] অধিকাংশ মুফাসসিরগণের নিকটে এই ব্যতিক্রম পূর্বে উল্লিখিত শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত জন্তু, ধারবিহীন কিছু দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃঙ্গাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুর খাওয়া জন্তুর ব্যাপারে। অর্থাৎ, ব্যতিক্রম হল, যদি ঐ সকল পশুকে তোমরা এমন অবস্থায় পাও যে, তার মৃত্যু হয়নি; এখনো জীবিত আছে, তারপর তাকে শরয়ী পদ্ধতিতে যবেহ কর, তাহলে তোমাদের জন্য (ঐ পশু) খাওয়া বৈধ হবে। জীবিত থাকার চিহ্ন হল, যবেহ করার সময় যেন তার হাত-পা নড়ে ওঠে। কিন্তু ছুরি চালানোর সময় যদি এই অবস্থা না হয়, তাহলে জানতে হবে সে পশুটি মৃত। যবেহর শরয়ী পদ্ধতি হল, 'বিসমিল্লাহ' বলে ধারালো ছুরি দ্বারা এমনভাবে তার গলায় পেঁচাতে হবে যেন তার সমস্ত মোটা শিরাগুলি কেটে যায়। যবেহ ছাড়াও শরীয়তে 'নহর' করা বৈধ; যার পদ্ধতি হল, পশু দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সিনায় ছুরি (বা বর্শা) দ্বারা আঘাত করতে হবে; যাতে তার কণ্ঠনালী ও রক্তবাহী বিশেষ শিরা কেটে যায় এবং সমস্ত রক্ত প্রবাহিত হয়ে যায়।




[৮] মুশরিকগণ তাদের পূজ্যপ্রতিমার নিকটে পাথর বা অন্য কিছু স্থাপন করে একটি নির্দিষ্ট জায়গা বানিয়ে নিত; যাকে نصب (বেদী, থান বা আস্তানা) বলা হত। আর সেই স্থানে মানত ও নযর মানা পশু ঐ পূজ্যপ্রতিমার নামে বলি দিত। অর্থাৎ, এটি {وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللهِ} (গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ) এরই একটি ধরন। সুতরাং এখান থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আস্তানা, কবরস্থান ও দর্গায় গিয়ে লোকেরা নিজের মনষ্কামনা পূরণ করার জন্য এবং কবরস্থ বুযুর্গের সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য যে পশু (মুরগী, ছাগল ইত্যাদি) যবেহ বা উৎসর্গ করে কিংবা পোলাও বা (সিন্নি, মিঠাই) খাবার বণ্টন করে, তা ভক্ষণ করা হারাম। আর এ সব আল্লাহর বাণীঃ {وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ} এর শামিল।




[৯] {وَأَن تَسْتَقْسِمُواْ بِالأَزْلاَمِ} এই অংশের দুটি অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে ; (ক) তীরের মাধ্যমে বণ্টন করা (খ) তীরের মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষা করা। প্রথম অর্থের ব্যাপারে বলা হয় যে, জুয়া ইত্যাদিতে যবেহকৃত পশুর গোশত বণ্টনের ক্ষেত্রে উক্ত তীর (লটারী হিসাবে) ব্যবহার করা হত। যার ফলে কেউ প্রাপ্য অংশের চাইতে বেশী পেত, আবার কেউ সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হত। দ্বিতীয় অর্থের ব্যাপারে বলা হয় যে, বিশেষ তীর হত, তারা কোন কর্মের প্রারম্ভে তার মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষা করত। তারা তিন ধরণের তীর তৈরী করে রেখেছিল। তার মধ্যে একটিতে (افْعَلْ ) অর্থাৎ 'কর' এবং দ্বিতীয়টিতে (لاَ تَفْعَلْ ) অর্থাৎ 'করো না' লিখা থাকত। আর তৃতীয়টিতে কোন কিছু লেখা থাকত না। ভাগ্য পরীক্ষার সময় যদি প্রথম তীরটি (যাতে 'কর' লেখা আছে) বের হত, তাহলে তারা সে কর্মটি সম্পাদন করত, যদি দ্বিতীয় তীরটি (যাতে 'করো না' লেখা আছে) বের হত, তাহলে তারা সে কর্মটি সম্পাদন করত না, আর যদি তৃতীয় তীরটি (যাতে কোন কিছু লেখা থাকত না) বের হত, তাহলে তারা পুনরায় ভাগ্য পরীক্ষা করত। আর এটাও এক ধরণের গণকের কাজ এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট সাহায্য প্রার্থনারই একটি চিত্র মাত্র। এই জন্য (ইসলামে) একে হারাম বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। استقسام এর অর্থ হল, ভাগ্য পরীক্ষা করা।




[১০] এখানে ক্ষুধার শেষ পর্যায়ের অবস্থায় উল্লিখিত হারাম খাদ্য ভক্ষণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, তবে তাতে যেন আল্লাহর অবাধ্যাচরণ উদ্দেশ্য না হয় এবং সীমালঙ্ঘন করা না হয়। অর্থাৎ প্রাণ বাঁচানোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন শুধুমাত্র ততটুকু ছাড়া বেশী যেন ভক্ষণ করা না হয়।