Skip to main content

আল মায়িদাহ শ্লোক ৩৪

اِلَّا الَّذِيْنَ تَابُوْا مِنْ قَبْلِ اَنْ تَقْدِرُوْا عَلَيْهِمْۚ فَاعْلَمُوْٓا اَنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ࣖ   ( المائدة: ٣٤ )

Except
إِلَّا
কিন্তু
those who
ٱلَّذِينَ
যারা
repent
تَابُوا۟
তওবা করে
from
مِن
থেকে
before
قَبْلِ
পূর্ব
that
أَن
যে
you overpower
تَقْدِرُوا۟
তোমরা সক্ষম হবে
[over] them
عَلَيْهِمْۖ
উপর তাদের(আধিপত্য বিস্তারে)
then know
فَٱعْلَمُوٓا۟
তবে তোমরা জেনে রেখো
that
أَنَّ
যে
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ
(is) Oft-Forgiving
غَفُورٌ
ক্ষমাশীল
Most Merciful
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(তবে এ শাস্তি) তাদের জন্য নয় যারা তোমাদের আয়ত্বে আসার পূর্বে তাওবা করবে। জেনে রেখ, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

English Sahih:

Except for those who return [repenting] before you overcome [i.e., apprehend] them. And know that Allah is Forgiving and Merciful.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তবে তোমাদের আয়ত্তাধীনে আসার পূর্বে যারা তওবা করবে (তাদের জন্য) জেনে রাখ যে, আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[১]

[১] অর্থাৎ যে ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তওবা করে ইসলামী শাসনের আনুগত্যের কথা ঘোষণা করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে আর ইসলামী দন্ড-বিধি তার উপর প্রয়োগ করা হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও উলামাগণের মধ্যে এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে, যেমন কোন ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল অথবা ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করল অথবা কারো মান-ইজ্জত হরণ করল, তাহলে কি এই অপরাধগুলি ক্ষমা হয়ে যাবে, অথবা তার প্রতিশোধ গ্রহণ করা যাবে? কোন কোন উলামার উক্তি হচ্ছে, ক্ষমা হবে না; বরং প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে। ইমাম শাওকানী (রঃ) ও ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) গণের উক্তি হচ্ছে, আয়াতের বাহ্যিক শব্দ দ্বারা এটা জানা যাচ্ছে যে, সমস্ত শাস্তিই তার উপর থেকে উঠে যাবে। কিন্তু হ্যাঁ ! যদি গ্রেফতার হওয়ার পর তওবা করে, তাহলে তার অপরাধ ক্ষমার যোগ্য হবে না; বরং সে শাস্তির উপযুক্তই থাকবে। (ফাতহুল ক্বাদীর, ইবনে কাসীর)