Skip to main content

كَانُوْا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُّنْكَرٍ فَعَلُوْهُۗ لَبِئْسَ مَا كَانُوْا يَفْعَلُوْنَ  ( المائدة: ٧٩ )

kānū
كَانُوا۟
They had been
তারা ছিলো (এমন যে)
لَا
not
না
yatanāhawna
يَتَنَاهَوْنَ
forbidding each other
তারা পরস্পরে নিষেধ করতো
ʿan
عَن
from
হতে
munkarin
مُّنكَرٍ
wrongdoing
অন্যায় কাজ
faʿalūhu
فَعَلُوهُۚ
they did [it]
তারা যা করতো
labi'sa
لَبِئْسَ
Surely, evil
অবশ্যই নিকৃষ্ট
مَا
(was) what
যা
kānū
كَانُوا۟
they were
তারা ছিলো
yafʿalūna
يَفْعَلُونَ
doing
তারা করতে

Kaanoo laa yatanaahawna 'am munkarin fa'aluhoo; labi'sa maa kaanoo yafa'loon (al-Māʾidah ৫:৭৯)

English Sahih:

They used not to prevent one another from wrongdoing that they did. How wretched was that which they were doing. (Al-Ma'idah [5] : 79)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যে সব অসৎকর্ম করত তাত্থেকে একে অন্যকে নিষেধ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট! (আল মায়িদাহ [৫] : ৭৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তারা যেসব গর্হিত কাজ করত, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করত না।[১] তারা যা করত, নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।

[১] এর উপর (অভিশাপের) অতিরিক্ত কারণ হল, তারা একে অপরকে মন্দ কর্ম হতে বাধা প্রদান করত না, যা স্বস্থানে একটা বড় অপরাধ। কোন কোন ভাষ্যকার (মন্দ কর্মে) বাধা প্রদান না করাকেই অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন হিসাবে গণ্য করেছেন, যা তাদের অভিশপ্ত হওয়ার কারণ। যাই হোক, উভয় অবস্থাতেই মন্দ কাজ দেখে সেই মন্দ থেকে বাধা প্রদান না করা মহা অপরাধ এবং আল্লাহর গযব বা ক্রোধ ও অভিশাপের কারণ। ('অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।') আর হাদীসেও এ ধরনের অপরাধের বড় কঠিন শাস্তির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এক হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেন, "সর্বপ্রথম বানী ইস্রাঈলের মধ্যে যে ত্রুটি প্রবেশ করেছিল তা হচ্ছে, একজন মানুষ যখন অপরকে কোন অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত দেখত, তখন বলত, আল্লাহকে ভয় কর। আর এই পাপ বর্জন কর। এ তোমার জন্য বৈধ নয়। কিন্তু তারপর দিনই তার সাথে পানাহার ও উঠা-বসা করতে কোন প্রকার ঘৃণা বা লজ্জা বোধ করত না। (অর্থাৎ তারা একই মজলিসে এক সঙ্গে বসে পানাহার করত।) অথচ ঈমানের দাবী ছিল, তাদের প্রতি ঘৃণা ও সম্পর্ক ছেদন করা। যার ফলে আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা প্রক্ষিপ্ত করেন এবং তারা আল্লাহর শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যায়।" নবী (সাঃ) তারপর বললেন, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই লোকদেরকে নেকী বা সৎকর্মের নির্দেশ প্রদান করবে এবং মন্দ কর্ম থেকে বাধা দান করবে। আর অত্যাচারীর হাত ধরে নেবে। (তা-না হলে তোমাদের অবস্থাও অনুরূপ হবে।)---।" (আবু দাউদ ৪৩৩৬নং) অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, এই অপরিহার্য কর্তব্য ত্যাগ করার শাস্তি এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত হয়ে যাবে। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তা গ্রহণ করা হবে না। (আহমাদ ৫/৩৮৮)