Skip to main content

هُوَ الْاَوَّلُ وَالْاٰخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ   ( الحديد: ٣ )

huwa
هُوَ
He
তিনিই
l-awalu
ٱلْأَوَّلُ
(is) the First
প্রথম
wal-ākhiru
وَٱلْءَاخِرُ
and the Last
ও (তিনিই) শেষ
wal-ẓāhiru
وَٱلظَّٰهِرُ
and the Apparent
এবং (তিনিই) ব্যক্ত
wal-bāṭinu
وَٱلْبَاطِنُۖ
and the Unapparent
ও তিনিই অব্যক্ত
wahuwa
وَهُوَ
and He
এবং তিনিই
bikulli
بِكُلِّ
(is) of every
সব সম্বন্ধে
shayin
شَىْءٍ
thing
কিছু
ʿalīmun
عَلِيمٌ
All-Knower
খুব অবহিত

Huwal Awwalu wal'Aakhiru waz Zaahiru wal Baatinu wa huwa bikulli shai'in Aleem (al-Ḥadīd ৫৭:৩)

English Sahih:

He is the First and the Last, the Ascendant and the Intimate, and He is, of all things, Knowing. (Al-Hadid [57] : 3)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনি প্রকাশিত আবার গুপ্ত, তিনি সকল বিষয় পূর্ণরূপে জ্ঞাত। (আল হাদীদ [৫৭] : ৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনিই আদি, অন্ত, ব্যক্ত ও গুপ্ত[১] এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।

[১] তিনিই আদি বা প্রথম; তাঁর পূর্বে কিছু ছিল না। তিনিই অন্ত বা সর্বশেষ; তাঁরপর কিছু থাকবে না। তিনি ব্যক্ত বা প্রকাশমান। অর্থাৎ, তিনি সবার উপর জয়ী, তাঁর উপর কেউ জয়ী নয়। তিনি গুপ্ত বা অপ্রকাশমান। অর্থাৎ, যাবতীয় গোপন খবর একমাত্র তিনিই জানেন। অথবা তিনি মানুষের দৃষ্টি ও জ্ঞানের অন্তরালে। (ফাতহুল ক্বাদীর) নবী করীম (সাঃ) তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) কে এই দু'আটি পাঠ করতে তাকীদ করেছিলেনঃ

اَللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ، مُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْفُرْقَانِ، فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ، أَنْتَ الْأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الْآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ، اقْضِ عَنِّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنِا مِنْ الْفَقْرِ

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! হে আকাশ মন্ডলী, পৃথিবী ও মহা আরশের অধিপতি। হে আমাদের ও সকল বস্তুর প্রতিপালক! হে শস্যবীজ ও আঁটির অঙ্কুরোদয়কারী! হে তাওরাত, ইনজীল ও ফুরকানের অবতারণকারী! আমি তোমার নিকট প্রত্যেক অনিষ্টকারীর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি- যার ললাটের কেশগুচ্ছ তুমি ধারণ করে আছ। হে আল্লাহ! তুমিই আদি তোমার পূর্বে কিছু নেই। তুমিই অন্ত তোমার পরে কিছু নেই। তুমিই ব্যক্ত (অপরাজেয়), তোমার ঊর্ধ্বে কিছু নেই এবং তুমিই (সৃষ্টির গোচরে) অব্যক্ত, তোমার নিকট অব্যক্ত কিছু নেই। আমাদের তরফ থেকে আমাদের ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাদেরকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়ে সচ্ছল (অভাবশূন্য) করে দাও। (মুসলিমঃ যিকর ও দু'আ অধ্যায়) ঋণ পরিশোধের জন্য পঠনীয় এই দু'আর মধ্যে 'আওয়াল', 'আখির' এবং 'যাহির' ও 'বাতিন'এর ব্যাখ্যা করে দেওয়া হয়েছে।