لَا تُدْرِكُهُ الْاَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْاَبْصَارَۚ وَهُوَ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ ( الأنعام: ١٠٣ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
দৃষ্টি তার নাগাল পায় না বরং তিনিই সকল দৃষ্টি নাগালে রাখেন, তিনি অতিশয় সূক্ষ্ণদর্শী, সব বিষয়ে ওয়াকিফহাল।
English Sahih:
Vision perceives Him not, but He perceives [all] vision; and He is the Subtle, the Aware.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
দৃষ্টিসমূহ তাঁকে আয়ত্ব করতে পারে না,[১] কিন্তু দৃষ্টিসমূহ তাঁর আয়ত্বে আছে এবং তিনিই সূক্ষ¹দর্শী; সম্যক পরিজ্ঞাত।
[১] أَبْصَارٌ হল بَصَرٌ (দৃষ্টি)এর বহুবচন। অর্থাৎ, মানুষ আল্লাহর প্রকৃতত্বের গভীরে পৌঁছতে পারে না। আর যদি এর অর্থ হয় চোখে দেখা, তাহলে এর সম্পর্ক হবে দুনিয়ার সাথে। অর্থাৎ, দুনিয়ার চোখে কেউ আল্লাহকে দেখতে পারবে না। তবে শুদ্ধ এবং বহুধা সূত্রে বর্ণিত বহু হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত যে, কিয়ামতের দিন ঈমানদাররা মহান আল্লাহকে দেখবে এবং জান্নাতেও তাঁর দর্শনলাভে ধন্য হবে। কাজেই মু'তাযিলাদের এই আয়াতকে দলীল বানিয়ে এ কথা বলা সঠিক নয় যে, আল্লাহ তাআলাকে কেউ দেখতেই পাবে না; না দুনিয়াতে, আর না আখেরাতে। কেননা, এই (না দেখার) সম্পর্ক দুনিয়ার সাথে। এই জন্যই আয়েশা (রাঃ) এই আয়াতের ভিত্তিতেই বলতেন, যে ব্যক্তিই এ দাবী উত্থাপন করবে যে, নবী করীম (সাঃ) (মি'রাজ রজনীতে) আল্লাহকে দেখেছেন, সে ডাঁহা মিথ্যাবাদী। (বুখারী, তাফসীর সূরা আনআম) কারণ, এই আয়াতের ভিত্তিতে নবীরা সহ কেউই ইহলোকে আল্লাহকে দেখতে সক্ষম নয়। অবশ্য পারলৌকিক জীবনে এ দর্শন সম্ভব হবে। যেমন, অন্যত্রও কুরআন এ কথা সাব্যস্ত করেছে। {وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ* إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ} "সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের পালনকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।" (সূরা ক্বিয়ামাহ ৭৫;২২-২৩)